রবিবার, ১১ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস কুক্ষিগত করেছে আওয়ামী লীগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস কুক্ষিগত করেছে আওয়ামী লীগ

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে কুক্ষিগত করেছে আওয়ামী লীগ। ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের সময়ও আমরা দেখেছি পাকিস্তান সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য একটি গোষ্ঠী চেষ্টা করেছিল। এখনো একটি মহল ঠিক একইভাবে চেষ্টা করছে। দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে ফ্যাসিবাদী সরকারের কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থার অবসান ঘটানোর আহ্বান জানান জেএসডি সভাপতি। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে গতকাল জেএসডি আয়োজিত ‘ঐতিহাসিক প্রবাসী সরকারের ভূমিকা ও প্রস্তাবিত প্রজাতন্ত্র দিবস’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। আ স ম রব বলেন, সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারভিত্তিক রাষ্ট্রীয় রাজনীতির আমূল সংস্কার করে অংশীদারিত্ব ভিত্তিক শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে। এ লক্ষ্যে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রই ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ বিনির্মাণের সুনির্দিষ্ট দার্শনিক ভিত্তি। তিনি বলেন, ২৫ মার্চ বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার এবং গণহত্যা শুরুর মধ্য দিয়ে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের কবর রচিত হয়। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে এক ভয়াবহ অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ তাজউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে সম্পন্ন হয়। স্বাধীনতা অর্জনের সর্বোচ্চ স্তর হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধে সুযোগ্য নেতৃত্ব না থাকলে আমাদের স্বাধীনতা অর্জন চরম ঝুঁকিতে পড়ত। এসব গভীর সত্য উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হলে জাতির ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলির মূল্যায়ন করা সম্ভব হবে না। স্বাধীনতা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ কিংবা কোনো আদর্শিক সংগ্রাম কারও একক কৃতিত্বে সম্পন্ন হতে পারে না। স্বাধীনতা ও  জাতীয় মুক্তিসংগ্রামে যাদের অসামান্য অবদান রয়েছে তাদের সরকার সামান্য মর্যাদা দিতেও কুণ্ঠাবোধ করে। বর্তমান সরকার অতিরিক্ত পরশ্রীকাতরতা সম্পন্ন।

আলোচনা সভায় আ স ম রব পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করেন। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- মুক্তিযুদ্ধের উজ্জ্বল কীর্তির স্মারক হিসেবে ১০ এপ্রিল বা ১৭ এপ্রিলকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’  ঘোষণা করা। ঢাকায় প্রজাতন্ত্রের প্রতীক হিসেবে ‘প্রজাতন্ত্র স্তম্ভ’ স্থাপন করা। সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার এ দর্শনের ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালনায় ‘অংশীদারিত্ব ভিত্তিক শাসনব্যবস্থা’ প্রবর্তন করা। সব রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে এবং পাঠ্যপুস্তকে প্রবাসী সরকার, মুজিব বাহিনীসহ অন্যদের ভূমিকা অন্তর্ভুক্ত করা। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধে যার যা অবদান তার স্বীকৃতি প্রদানের দাবি জানান তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর