রবিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

ঘণ্টায় ঘণ্টায় খালেদা জিয়ার আপডেট নিচ্ছেন চিকিৎসকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। তবে ব্লাড টেস্টসহ আরও বেশ কয়েকটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে তাঁর শরীরে। সেগুলোর রিপোর্টও ভালো রয়েছে। তাঁকে ক্লোজ মনিটরিংয়ে রেখেছেন চিকিৎসকরা। গতকাল সারা দিন জ্বর না থাকলেও রাতে ছিল ১০০ ডিগ্রির মতো। ফলে বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সব মিলিয়ে আপাতত স্থিতিশীল। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এ তথ্য জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘এখন তাঁর শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে। আজ নয় দিন অতিবাহিত হয়েছে। আর পাঁচ-ছয় দিন পরে আবারও তাঁর কভিড টেস্ট করা হবে। আশা করি তখন তাঁর রিপোর্ট নেগেটিভ আসবে এবং তিনি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবেন।’ রাত ১১টার দিকে বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসক দল তাঁর শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং দেয়। এ সময় চিকিৎসক দলের প্রধান অধ্যাপক ডা. এফ এম সিদ্দিকী বলেন, ‘আগের তুলনায় তাপমাত্রা কমে এসেছে। নতুন অ্যান্টিভাইরাল ওষুধটা কাজ করছে বলে মনে হচ্ছে। অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৯৭ থেকে ৯৮-এর মধ্যেই থাকছে। আমরা ক্লোজ মনিটরিং চালিয়ে যাচ্ছি। সবকিছু ঠিকঠাকমতোই চলছে। এখন পর্যন্ত তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। তবে যে কোনো করোনা রোগীর জন্য দ্বিতীয় সপ্তাহটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ম্যাডামের ক্ষেত্রেও আগামী সপ্তাহটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর পরও করোনা আক্রান্তের অবস্থা কখন কী হয় বলা যায় না। এজন্য প্রয়োজনে যে কোনো পরিস্থিতিতে হাসপাতালে নেওয়ার জন্যও আমরা প্রস্তুত। তবে এখনো পর্যন্ত তাঁর মনোবল অত্যন্ত শক্ত আছে। কিছুক্ষণ আগেও তিনি টেলিভিশনে দলীয় নেতাদের ছবি দেখে মন্তব্য করেছেন যে, “তারা কেন মাস্ক ঠিকমতো পরছেন না! অনেকেই মাস্ক পরলেও থুতনির ওপরে পরছেন। এটা ঠিক নয়”।’ এদিকে করোনা আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসনের হাই রেজুলেশন সিটিস্ক্যানের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর তৎক্ষণাৎ ভার্চুয়াল পর্যালোচনা বৈঠকে বসে চিকিৎসকেরা সর্বসম্মতিক্রমে খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় নতুন একটি ওষুধ যুক্ত করেন শুক্রবার। বর্তমান শারীরিক অবস্থায় তাঁকে বাসায় রেখেই চিকিৎসা চলবে।

 পর্যালোচনা সভায় খালেদা জিয়ার চিকিৎসক দলের প্রধান অধ্যাপক ডা. এফ এম সিদ্দিকী, সাকুর খান, অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ডা. আল মামুন, লন্ডন থেকে ডা. জোবায়দা রহমান ও নিউইয়র্ক থেকে অন্য একজন চিকিৎসক অংশগ্রহণ করেন। তাঁর শারীরিক অবস্থার ওপর চিকিৎসকদের নিয়মিত পর্যবেক্ষণ চলছে। ঘণ্টায় ঘণ্টায় আপডেট নিচ্ছেন চিকিৎসকরা। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় পরবর্তী চিকিৎসার বিষয়টিও সব সময় সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা মাথায় রেখেই কাজ করছেন।

সর্বশেষ খবর