সোমবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

বাঁশখালীর ঘটনায় দুই মামলা, সাড়ে তিন হাজার আসামি

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

বাঁশখালীতে নির্মাণাধীন বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সংঘর্ষের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। দুই মামলায় ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মরত শ্রমিক ও বহিরাগত মিলিয়ে ২২ জনের নাম উল্লেখ করে আরও প্রায় সাড়ে ৩ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। শনিবার রাতে পুলিশ ও বিদ্যুৎ কেন্দ্র এসএস পাওয়ার প্লান্টের পক্ষ থেকে বাঁশখালী থানায় মামলাগুলো হয়েছে বলে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন নিশ্চিত করেছেন।

বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিউল কবির জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ভাঙচুর, লুটতরাজ, অগ্নিসংযোগের অভিযোগে এসএস পাওয়ার প্লান্টের পক্ষ থেকে যে মামলা করা হয়েছে, সেটির এজাহারে ২২ জন শ্রমিকের  নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাতনামা আরও ১ হাজার ৪০ জনকে। আর পুলিশের ওপর হামলা, কর্তব্যকাজে বাধার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় অজ্ঞাতনামা আড়াই হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। এখানে শ্রমিক ছাড়া বহিরাগতরাও রয়েছেন। ডিআইজি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা অতিরিক্ত ডিআইজির নেতৃত্বে একটা তদন্ত কমিটি করেছি। কমিটি ঘটনার কারণ, সূত্রপাত, শ্রমিকদের কী ভূমিকা, কর্তৃপক্ষের কী ভূমিকা, পুলিশের কী ভূমিকা তা তদন্ত করবে। এ ক্ষেত্রে পুলিশের কোনো দায় থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়নের পূর্ব বড়ঘোনা এলাকায় নির্মাণাধীন ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমিকদের সঙ্গে শনিবার পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশের গুলিতে পাঁচ শ্রমিক নিহত হন। আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে অর্ধশতাধিক, যাদের মধ্যে পুলিশও রয়েছে। এ ঘটনায় নিহতরা হলেন- কিশোরগঞ্জের ফারুক আহমদের ছেলে মাহমুদ হাসান রাহাত (২২), চুয়াডাঙ্গার অলিউল্লাহর ছেলে মো. রনি হোসেন (২৩), নোয়াখালীর আবদুল মতিনের ছেলে মো. রায়হান (১৯), চাঁদপুরের মো. নজরুলের ছেলে মো. শুভ (২২) এবং বাঁশখালীর পূর্ব বড়ঘোনার আবু ছিদ্দিকীর ছেলে মাহমুদ রেজা (১৯)। আহতদের মধ্যে তিন পুলিশসহ ১৯ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২০১৬ সালে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের বিরোধিতা করে স্থানীয়দের আন্দোলনের সময়?পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ছয়জন নিহত হয়েছিলেন। পাঁচ বছর পর এবার ফের শ্রমিকবিক্ষোভের ঘটনায় নিহত হলেন আরও পাঁচজন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর