নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা জামাই বাজার এলাকায় একটি তিনতলা ভবনে গ্যাস বিস্ফোরণে শিশুসহ ১১ জন দগ্ধ হয়েছেন। গতকাল ভোরে মো. আল আমিনের মালিকানাধীন ওই ভবনের তৃতীয়তলায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে দুটি পরিবারের ১১ সদস্য আহত হন। যাদের মধ্যে পাঁচজন নারায়ণগঞ্জের ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা নেন। বাকি ছয়জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহতরা হলেন- হাবিবুর রহমান (৫০), লিমন (২০), সাথী (২০), মীম (২০), মাহিরা (৩ মাস), আলেয়া (৫০), সোনাহার (৪০), শান্তি (৩২), সামিউল (২০), ফাহাদ, মনোয়ারা (২২)। এদের মধ্যে লিমন, সাথী, মীম, মাহিরা ও আলেয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তা, তিতাস গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের কর্মকর্তা, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড নারায়ণগঞ্জের কর্মকর্তাসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে (এডিএম) আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওই কমিটির সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটি সিলগালা করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং অগ্নিদগ্ধদের সরকারি সহায়তা প্রদানের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফীন জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ঘরে গ্যাস লিকেজ হয়ে জমা ছিল। পরে কোনো আগুনের স্পার্ক থেকে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবু তদন্ত করে বিষয়টি দেখা হচ্ছে।
