আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপিই এদেশে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিল। মুখে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ফেনা তুললেও বিএনপিই এদেশে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির ধারক ও বাহক। বিপরীতে শেখ হাসিনা সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে গ্রহণ করেছে ‘শূন্য সহিষ্ণুতা’ নীতি। গতকাল সকালে ময়মনসিংহ সড়ক জোন, বিআরটিএ ও বিআরটিসির কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন। তিনি তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নিজেদের শাসনামলে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিল, তাদের আমলে তারা দুর্নীতিবান্ধব ও দুর্নীতি সহায়ক ছিল। এখন তারা তাদের সেই ব্যর্থতা ও দুর্নীতি ঢাকতে সরকারের বিরুদ্ধে নানা সময়ে নানা কল্পিত অভিযোগ হাজির করে।
করোনা পরিস্থিতিতে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, করোনা কখন কমে আবার কখন বাড়ে তা বলা যায় না। তাই আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। করোনা নিয়ে আত্মতুষ্টিতে ভোগার কোনো কারণ নেই। তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে আমাদের সবার শিক্ষা নিতে হবে এবং সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক পরিধান করতে হবে। সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণ ও নগদ অর্থ সাহায্যের প্রস্তাবে এবারের ঈদে ৩৬ লাখ পরিবারের জন্য দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় অর্থ সাহায্য পৌঁছে গেছে। যারা এই অর্থ বিতরণের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে গতবারও অনেক অভিযোগ এসেছিল এবং অনেককেই শাস্তি পেতে হয়েছে এমনকি অনেক জনপ্রতিনিধিদেরকেও কারাগারে যেতে হয়েছে। গণপরিবহন চলাচলের বিষয়ে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, জেলার গাড়িগুলো জেলার মধ্যেই চলবে, এবং কোনো ভাবেই জেলার সীমানা অতিক্রম করতে পারবে না। সিটির ক্ষেত্রেও সিটি পরিবহন সিটির বাইরে যেতে পারবে না। তিনি বলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া কোনো গাড়ি ঢাকা জেলার সীমারেখার বাইরে যেতে পারবে না। পরিবহনগুলোকে অবশ্যই অর্ধেক আসন খালি রেখে নতুন সমন্বয়কৃত ভাড়ায় চলতে হবে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না। পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীদের মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং প্রতি ট্রিপে গাড়ি জীবাণুমুক্ত করাও বাধ্যতামূলক হতে হবে।
