শিরোনাম
বুধবার, ৫ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলে লকডাউন

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলে লকডাউন

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করতেই সরকার লকডাউন দিয়েছে। গতকাল দুপুরে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, পরিবহন শ্রমিকরা আন্দোলন করছে। তারা  আন্দোলনে যেতে বাধ্য হচ্ছে, পেটের ক্ষুধায়। সরকার দুস্থ, খেটে খাওয়া মানুষের জন্য, নিম্ন আয়ের শ্রমজীবীদের জন্য কোনো ব্যবস্থা না করেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলে লকডাউনের নামে ক্র্যাকডাউন করে। সরকার এখন বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন, ছাত্র সংগঠন ও ইসলামিক সংগঠনের ওপর আক্রমণ করে তাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করেছে। মূলত, যারাই সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলছে, তাদেরই গ্রেফতার করছে। সরকারের কাছে পুরো জাতি জিম্মি হয়ে গেছে। শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জুর পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকারের অব্যবস্থাপনায় স্পিডবোটের দুঘর্টনা ঘটেছে। এতে ২৭ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এটাই সরকারের সার্বিক অব্যবস্থাপনার চিত্র। স্পিডবোট চালু করেছে ঠিক আছে কিন্তু স্পিডবোটের লোকসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই। সরকার লকডাউন দিয়েছে, কোথাও কোনো লকডাউন নেই। তিনি বলেন, আজ আওয়ামী লীগের লোকেরা সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছে। তাদের মদদপুষ্ট আমলাদেরও একই অবস্থা।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) শ্বাসকষ্ট হওয়ায় সিসিইউতে নেওয়া হয়েছে। তাঁকে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে। তাঁর অবস্থা এখন স্থিতিশীল। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসকেরা আশাবাদী, ম্যাডাম দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। আমরা আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করি। সমগ্র জাতি আজ প্রার্থনা করছে, এ দেশের স্বাধীনতার শেষ আশ্রয়স্থল গণতন্ত্রের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যেন অতিদ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন। মে দিবস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, করোনার মধ্যে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছেন আমাদের শ্রমিক ভাই-বোনেরা। করোনার যে প্রণোদনা সরকার ঘোষণা করেছে তাতে শ্রমিকদের জন্য কোনো বরাদ্দ সে ভাবে রাখা হয়নি। যা কিছু প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে, মালিকশ্রেণিকে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের। আমরা বলেছিলাম, নিম্ন আয়ের শ্রমিকদের তিন মাসের এককালীন ১৫ হাজার টাকা অনুদান দিতে হবে। কিন্তু সরকার কর্ণপাত করেনি।

সর্বশেষ খবর