বুধবার, ৫ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

বিল গেটস ও মেলিন্ডার সংসার ভাঙল

প্রতিদিন ডেস্ক

বিল গেটস ও মেলিন্ডার সংসার ভাঙল

বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ধনকুবের দানবীর দম্পতি বিল গেটস ও মেলিন্ডা গেটস তাদের ২৭ বছরের সম্পর্কের ইতি টানার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদের যৌথ ঘোষণা মানবহিতৈষী জগৎকে নাড়িয়ে দিয়েছে বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। মাইক্রোসফট করপোরেশনের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের টুইটার অ্যাকাউন্টে এক বিবৃতিতে দুজন বলেন, ‘আমাদের সম্পর্ক নিয়ে অনেক চিন্তাভাবনার পর আমরা বিয়ের ইতি টানার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের জীবনের পরবর্তী পর্বে দম্পতি হিসেবে একসঙ্গে জীবন এগিয়ে নিতে পারব বলে আর বিশ্বাস করি না। নতুন জীবনের পথে চলা শুরুরকালে আমাদের পরিবারের জন্য একান্ত পরিসর চাইছি।’ এ প্রসঙ্গে বিল ও মেলিন্ডার বড় মেয়ে ২৫ বছর বয়সী জেনিফার গেটস ইনস্টাগ্রার্মে লিখেছেন, ‘এ ঘোষণায় পুরো পরিবার কঠিন সময় পার করছে। এ পরিস্থিতিতে কীভাবে নিজের আবেগ সামলানো যায় এবং সেই সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের সামলে রাখা যায়, তা নিয়ে এখনো আমি কাজ করছি। এতে আমাকে সুযোগ ও সমর্থন দেওয়ায় আমি কৃতজ্ঞ।’ এই বিচ্ছেদের বিষয়ে আমি ব্যক্তিগত পর্যায়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। কিন্তু এটি মনে রাখবেন, আপনাদের সহানুভূতিশীল বক্তব্য ও সমর্থন আমার কাছে অনেক বড় বিষয়। ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার ক্ষেত্রে আমাদের চাওয়া বুঝতে পারায় সবার প্রতি ধন্যবাদ। আমরা এখন আমাদের জীবনের পরবর্তী পর্যায় নিয়ে কাজ করব।’ আশির দশকের শেষ দিকে মেলিন্ডা যখন বিল গেটসের প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফটে যোগ দেন, তখন থেকে তাঁদের পরিচয়। এই দম্পতির তিন সন্তান রয়েছে। বিবাহবিচ্ছেদের এই সিদ্ধান্তের অর্থনৈতিক কী প্রভাব পড়বে সে বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট হয়নি। ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত সিয়াটল-ভিত্তিক অলাভজনক দাতব্য প্রতিষ্ঠান বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের কো- চেয়ার ও ট্রাস্টি তাঁরা। সর্বশেষ হালনাগাদ আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী, ২০১৯ সাল শেষে ফাউন্ডেশনের মোট সম্পদের পরিমাণ ৪ হাজার ৩৩০ কোটি ডলার। বিল ও মেলিন্ডার গড়ে তোলা এ দাতব্য প্রতিষ্ঠান বিশ্বজুড়ে সংক্রামক ব্যাধির বিরুদ্ধে লড়াই ও শিশুদের টিকাদানে উৎসাহিত করতে কাজ করছে। ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, ৬৫ বছর বয়সী বিল ও ৫৬ বছর বয়সী মেলিন্ডা মিলে ১৯৯৪ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে এই ফাউন্ডেশনে ৩ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের বেশি দান করেছেন। গেটস দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদের পর প্রতিষ্ঠান পরিচালনা বিষয়ে জানতে চাইলেও তাৎক্ষণিকভাবে ফাউন্ডেশনের কাছ থেকে কোনো জবাব মেলেনি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

সর্বশেষ খবর