সোমবার, ১৭ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিলেও এখনো সিসিইউতে খালেদা জিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে এখন আর অতিরিক্ত অক্সিজেন লাগছে না। বাইরের অক্সিজেন সাপোর্ট ছাড়াই স্বাভাবিকভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারছেন তিনি। আর কভিড-১৯ টেস্ট রিপোর্ট ঈদের আগেই নেগেটিভ এসেছে। এ ছাড়া আর ইতিবাচক কোনো দিক নেই। বরং তাঁর ডায়াবেটিস এখনো অনিয়ন্ত্রিত। তাঁর কিডনিতে সমস্যা আছে। হার্টের সমস্যা রয়েছে। আর্থ্রাইটিসের কারণে তাঁর হাত-পা ফুলে যাওয়াসহ হাঁটু ও হাতে যে ব্যথা ছিল সেটি এখনো আছে। এসব সমস্যার তেমন কোনো উন্নতি নেই। এ ছাড়া তাঁর হৃদরোগের ঝুঁকি তো রয়েছেই। অন্যদিকে নিয়মিত যেসব পরীক্ষা হচ্ছে সেগুলোর রিপোর্টও আশাব্যঞ্জক নয়। ফলে তাঁর বিপজ্জনক অবস্থা এখনো কাটেনি। চিকিৎসকরা তাঁকে সিসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করতে পারছেন না। সংশ্লিষ্ট মেডিকেল বোর্ডের একাধিক চিকিৎসক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। তবে অনুষ্ঠানিকভাবে গতকাল কেউ মুখ খোলেননি। এভারকেয়ার হাসপাতালে ডিউটি ম্যানেজার সিনময় এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা রোগীর গোপনীয়তা রক্ষায় কিছু বলতে পারি না। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সিসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন, এটুকুই বলতে পারি। এ ছাড়া তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা ব্রিফ করে থাকেন।’

এদিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ প্রসঙ্গে গতকাল বলেছেন, দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। তবে এখনো তিনি শঙ্কামুক্ত নন। দেশবাসীকে তিনি ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন। শুধু নিজের জন্য নয়, সারা দেশের মানুষের জন্যও দোয়া চেয়েছেন তিনি। আল্লাহ যেন তাঁকে সুস্থতা দান করেন।

একই বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব আগের দিন এক কর্মসূচিতে আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া তো বেঁচে আছেন, এটা ভেবেই আমরা উজ্জীবিত হই। কারণ বিএনপি নেতা-কর্মীদের সব প্রেরণার উৎস তিনি। বেগম খালেদা জিয়া যখন আমাদের সঙ্গে থাকেন, আমরা উজ্জীবিত হই। তিনি আমাদের অনুপ্রাণিত করেন। এখন আমরা এটা ভেবেই উজ্জীবিত হই, তিনি তো বেঁচে আছেন! এটাই আমাদের প্রেরণা দেয়। এই অনুপ্রেরণা নিয়েই সামনের দিকে এগিয়ে যাব।’

ঈদের দিন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে খাবার খেলেন : ঈদুল ফিতরের দিন শুক্রবার দুপুরে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে খাবার খেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শুক্রবার জুমার নামাজের পর ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার ও তাঁর স্ত্রী কানিজ ফাতিমা নিজেদের ঘরে রান্না করা খাবার নিয়ে হাসপাতালে যান। এরপর সবাই মিলে সেখানে দুপুরের খাবার খান। সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা হাসপাতালেই ছিলেন। এদিন ফোনে লন্ডনে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, তাঁর স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান, নাতনি ব্যারিস্টার জায়মা রহমানের সঙ্গেও ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন খালেদা জিয়া। সংশ্লিষ্ট নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। রাজধানীর বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে ২৭ এপ্রিল থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে তাঁর চিকিৎসা চলছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর