বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। চিকিৎসকরা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছেন। অতিরিক্ত অক্সিজেন ছাড়াই তিনি স্বাভাবিকভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছেন। ডায়াবেটিসও অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। তবে কিডনিতে কিছুটা সমস্যা রয়েছে। হাসপাতালের সিসিইউতে রেখেই তাঁকে করোনা-পরবর্তী জটিলতার চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন অন্তত একবার করে হলেও বৈঠকে বসে খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করছেন প্রফেসর ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃতে গঠিত্ব ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড। সংশ্লিষ্ট মেডিকেল বোর্ডের একাধিক চিকিৎসক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ম্যাডামের অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। তিনি সিসিইউতেই রয়েছেন। চিকিৎসক হিসেবে এ ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে কী হবে তা কিছুতেই বলা সম্ভব নয়।’ তবে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি। তাঁর পক্ষ থেকে সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন। এদিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রবিবার জানিয়েছিলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। তবে শঙ্কা এখনো কাটেনি। অপর একজন চিকিৎসক বলেন, রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। তাঁর শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণও কিছুটা বেড়েছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণমুক্ত হলেও তাঁর পুরনো রোগ আর্থ্রারাইটিস, ডায়াবেটিসের পাশাপাশি হৃদযন্ত্র ও কিডনি জটিলতাও রয়েছে। তিনি জানান, বেগম জিয়ার পোস্ট কভিড নানা রোগের বিষয়ে চিকিৎসকরা প্রতিক্ষণেই নিবিড় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ব্যবস্থা নিচ্ছেন। এর বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়। কারণ এটা একটা দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা। ১১ এপ্রিল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন বেগম খালেদা জিয়া। ২৭ এপ্রিল তাঁকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে ৩ মে তাঁকে একই হাসপাতালের সিসিইউতে নেওয়া হয়।