বৃহস্পতিবার, ২০ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

অনেক ছাত্রছাত্রী এখন কান্নাকাটি করছে

অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ

অনেক ছাত্রছাত্রী এখন কান্নাকাটি করছে

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘গত বছর ৫ এপ্রিল থেকে অনলাইন ক্লাস শুরু করেছি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে। ক্লাস শেষ করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চতুর্থ বর্ষ ও মাস্টার্সের পরীক্ষাও নেওয়া হয়েছে। কোনো কোনো বিভাগের হয়তো টিউটোরিয়াল বা মৌখিক পরীক্ষা বাকি ছিল। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে এসব পরীক্ষাও বন্ধ করতে হয়েছে। এ সময় আমরা মৌখিক পরীক্ষাও নিতে পারিনি। কেউ কেউ পরীক্ষা শেষ করে শুধু রেজাল্টের অপেক্ষায় রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে অনেক ছাত্র-ছাত্রী কান্নাকাটি করছে। তাদের অনেকের পড়াশোনা শেষ করে কর্মক্ষেত্রে গিয়ে সংসারের হাল ধরতে হবে।’ বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় সরকারের নির্দেশে বন্ধ রয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার কথা ছিল। কিন্তু টিকার কিছুটা সংকট রয়েছে। টিকা দিয়েই বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে এটি নিশ্চিত করে বলা যায়। টিকা দেওয়ার আগে ছাত্র-ছাত্রীদের হলে এনেও রাখতে পারব না।’ তিনি বলেন, সম্প্রতি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন। তবে এর আগে একাডেমিক কাউন্সিলে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কীভাবে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া হবে তা নিয়ে বৃহস্পতিবার (আজ) একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা শেষে এরপর আবার শুরু হবে অনলাইনে ক্লাস। যত দিন সরাসরি ক্লাস নেওয়া যাবে না তত দিন অনলাইনেই চালিয়ে নিতে হবে। ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, শিক্ষার্থীদের কেউ কম মেধাবী কেউ বেশি। একটা স্ট্যান্ডার্ড ফলো করে নিতে হবে অনলাইনে পরীক্ষা। অনলাইন পরীক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের কেউ যেন অসদুপায় অবলম্বন করতে না পারে এ বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে।

সর্বশেষ খবর