বৃহস্পতিবার, ২০ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

আটকে থাকা চার আসনে উপনির্বাচন জুলাইয়ে

নিজস্ব প্রতিবেদক

সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যেও চার সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন জুলাইয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে আটকে থাকা ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভা সাধারণ নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকারের অন্যান্য উপনির্বাচনের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এক্ষেত্রে চার উপনির্বাচনের ভোটের তারিখ নির্ধারণ ও স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে আগামী ২৪ মে কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

গতকাল বিকালে কমিশন সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ইসি সচিব  হুমায়ুন কবীর খোন্দকার। বিকাল ৩টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হয়। ইসি বৈঠক শেষে সচিব বলেন, চার উপনির্বাচনের বিষয়ে কমিশন সভায় আলোচনা হয়েছে। করোনার কারণে লকডাউন থাকায় এ চারটি নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি। ২৪ মে কমিশনের পরবর্তী সভায় ভোটের তারিখ নির্ধারিত হবে। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকায় জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচন করা হবে। জুলাইয়ের কোন সময়ে ভোট হবে সে বিষয়টি কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত হবে বলে জানান সচিব। স্থানীয় সরকারের ভোট বিষয়ে সচিব বলেন, এ বিষয়ে কমিশন সভায় আলোচনা হয়নি। পরবর্তী কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত হতে পারে। লক্ষীপুর-২, সিলেট-৩, ঢাকা-১৪ ও কুমিল্লা-৫ শূন্য আসনের উপনির্বাচন করতে হবে। আসন শূন্য ঘোষণার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব না হলে পরবর্তী ৯০ দিনে উপনির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যে গেল ১১ এপ্রিলের অনুষ্ঠিতব্য সব নির্বাচন স্থগিত করা হয়। চার সংসদীয় উপনির্বাচন, ৩৭১ ইউপি ও ১১ পৌরসভার ভোট আটকে রয়েছে। কুয়েতের আদালতে দন্ডিত সংসদ সদস্য কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলের লক্ষীপুর-২ আসন শূন্য ঘোষণা করা হয় ২৮ জানুয়ারি। ১১ এপ্রিল এই উপনির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। করোনাভাইরাস সংক্রমণের উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকায় নির্বাচনটি স্থগিত করা হয়। এখন এই নির্বাচন ২১ জুলাইয়ের মধ্যে করতে হবে। সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদের ৪ দফায় বলা হয়েছে, সংসদের কোনো সদস্যপদ শূন্য হলে তার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। তবে নির্বাচন কমিশনারের মতে কোনো দৈব-দুর্বিপাকের কারণে এই নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব না হলে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে ভোট করতে হবে। গেল ১১ মার্চ সিলেট-৩ আসনের মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর মৃত্যুতে; ৪ এপ্রিল ঢাকা-১৪ এর আসলামুল হকের মৃত্যুতে এবং ১৪ এপ্রিল কুমিল্লা-৫ এর আবদুল মতিন খসরুর মৃত্যুতে তিনটি আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর গত বছর সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার মধ্যে পরবর্তী ৯০ দিনে করে ইসি।

স্থানীয় সরকারের ভোটও স্থগিত রেখেছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর নভেম্বর থেকে ভোট শুরু হয়। গত ৩০ নভেম্বরের পর থেকে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত সংক্রমণ ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকে। মহামারীর এক বছর পার হতেই ফের সংক্রমণ বাড়ায় নতুন করে সিদ্ধান্ত নেয় ইসি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এপ্রিল থেকে আবার ভোট স্থগিত রাখা হয়।

সর্বশেষ খবর