শনিবার, ২২ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

সুস্থ সামাজিক জীবনের অভাবে বাড়ছে মানসিক সমস্যা

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহমুদুর রহমান

সুস্থ সামাজিক জীবনের অভাবে বাড়ছে মানসিক সমস্যা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহমুদুর রহমান বলেন, সুস্থ সামাজিক জীবনের অভাবে বাড়ছে মানসিক সমস্যা। করোনা পরিস্থিতিতে এখন একটি পরিবেশগত পরিবর্তন হয়েছে। মানুষ স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারছে না। স্বাভাবিক জীবন-যাপন ব্যাহত হচ্ছে। মানুষ বেঁচে থাকার জন্যই নতুন নিয়মে চলছে। মানুষের আয়-রোজগার কমেছে। বিষণ্ণতা, হতাশা বেড়েছে। বাড়ছে মানসিক রোগী। পরিবেশগত নানা কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। অনেকেই এখন স্বাভাবিক চিকিৎসাও পাচ্ছে না। সেখানেও নানা সমস্যা হচ্ছে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে ফোনে আলাপচারিতায় তিনি এ কথা বলেন। আলাপচারিতায় অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহমুদুর রহমান বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে নানাজন নানা সমস্যায় ভুগছেন। এতে অনেকেই ভুল আচরণ করছেন। এখন করোনাকে মোকাবিলা করেই আমাদের বেঁচে থাকতে হবে। এটাকে অস্বীকার করা যাবে না। জীবন গুটিয়ে রাখলে হবে না। সবাইকে টিকা দিতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। নইলে স্বাভাবিক জীবন-যাপন করা যাবে না। তিনি বলেন, সমাজ রাষ্ট্র যদি সঠিকভাবে না চলে, তাহলে মানুষের মধ্যে হতাশাবোধ বাড়বেই। দেশটি যদি পরিপাটি বা পরিচ্ছন্নভাবে চলে তাহলে এমন সমস্যা হবে না। যখন সঠিকভাবে চলে না তখনই এমনটা ঘটে। মূল কথা হচ্ছে সুস্থ স্বাভাবিক সমাজ ব্যবস্থা জরুরি। তরুণদের বেকারত্ব গোছাতে হবে। তাদের দক্ষতা অনুযায়ী কাজের ব্যবস্থা করতে হবে। এতে তারা ব্যস্ত থাকার পাশাপাশি পরিবার ও সমাজের উপকার করতে পারেন। কিন্তু তারা বেকার থাকলে নানা ধরনের ক্রাইমে জড়িয়ে পড়ে। প্রত্যেকের বয়স অনুযায়ী কাজ থাকতে হবে। এই নজরদারিটা রাষ্ট্রের করতে হবে।

ড. মাহমুদুর রহমান আরও বলেন, মানুষ কর্ম না থাকায় হতাশাবোধ থেকেই মানসিক সমস্যায় ভোগে। প্রতিটি মানুষের যোগ্যতা অনুযায়ী কাজের ব্যবস্থা থাকতে হবে। এ জন্য সরকার, সমাজ সবাইকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। কাউকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য বা মৌলিক চাহিদার বাইরে রাখা যাবে না। তারপরও কিছু মানুষ মানসিক রোগে ভুগবে। তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু তারা সঠিক চিকিৎসা না পেলে সমস্যা আরও বাড়বে। এ জন্য নিয়মিত কাউন্সিলিং করাতে হবে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করাতে হবে। পরিচ্ছন্ন সমাজ ও সেবার মান বাড়াতে হবে।

সর্বশেষ খবর