শনিবার, ২২ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

হাসপাতালে রোগীর চাপ এখন ঊর্ধ্বমুখী

ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান

হাসপাতালে রোগীর চাপ এখন ঊর্ধ্বমুখী

পাবনা মানসিক হাসপাতালের পরিচালক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, হাসপাতালে মানসিক রোগীর চাপ এখন অনেক বেশি। পাবনা মানসিক হাসপাতালে ২৮০টি নন পেয়িং বেড আছে। সবকটিতেই রোগী ভর্তি থাকে। এক-দুটা কখনো কখনো ফাঁকা হলেও মুহুর্তেই ভর্তি হয়ে যায়। ৫০০ সিটের বাকিগুলো পেয়িং বেড। আমাদের কাছে প্রতিদিন রোগী ভর্তি করাতে অনেক তদবির আসে। তদবির ছাড়াও অনেক রোগী আসে পাবনায়। সবাইকে আমরা ভর্তি করাতে পারছি না। আর সব তদবিরই উচ্চপর্যায়ের। সিট খালি না থাকলে আমরা কোথায় জায়গা দেব? অনেক রোগীকে ফেরত পাঠিয়ে দেই। আমি মনে করি, যেভাবে রোগী বাড়ছে তাতে প্রতিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একটি করে মানসিক রোগীদের ইউনিট খোলা উচিত। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে ফোনালাপে তিনি এ কথা বলেন।

আলাপচারিতায় তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে মানুষের মধ্যে নানা পরিবর্তন ঘটেছে। অর্থনীতির কারণে সমস্যা হচ্ছে। মানুষের কাজ নেই। পরিবেশের অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। মানুষ এখন কাজের চেয়ে স্বপ্ন দেখে বেশি। স্বপ্ন যখন বাস্তবায়ন না হয়, তখন সে উদ্ভট আচরণ করে।

তিনি বলেন, আগে দুই মাসের টাকা নিয়ে রোগী ভর্তি করতাম। চাপ কমিয়ে দেওয়ার জন্য এক মাসের টাকা নিয়ে রোগী ভর্তি করি। যাতে পেয়িং বেডে রোগী চলে গেলে নন পেয়িং বেডে চাপ কমে আসে। তাতেও পেরে উঠছি না। লকডাউন থাকলেও নানা বাহনে করে প্রতিদিন রোগী আসছে। মানসিক হাসপাতাল হলেও সাইক্রিয়াটিক চিকিৎসক নেই। এ জন্য কাজ করতে অনেক সমস্যা হচ্ছে। ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান আরও বলেন, আমরা ১৮ থেকে ২৫ বছরের তরুণ রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি পাই। তবে এর কোনো জরিপ করা নেই। ৪০ ঊর্ধ্ব বয়স্করাও আসছেন। পারিবারিক কারণে বয়স্ক রোগীরাও আসছে। সব নন পেয়িং বেড করে দিলে একটি সিটও খালি থাকবে না।

সর্বশেষ খবর