শিরোনাম
বুধবার, ২৬ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

ইয়াসের প্রভাবে প্লাবিত নিম্নাঞ্চল

ভেঙে গেছে বাঁধ, আতঙ্কে উপকূলবাসী

নিজস্ব প্রতিবেদক

ইয়াসের প্রভাবে প্লাবিত নিম্নাঞ্চল

উপকূলে প্লাবিত এলাকা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, পটুয়াখালীসহ উপকূলীয় এলাকায় থেমে থেমে বৃষ্টিপাত ও দমকা বাতাসের সৃষ্টি হয়েছে। নদীতে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের তুলনায় দুই-তিন ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। খুলনার কয়রা, পাইকগাছার ৫টি পয়েন্টে বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি ঢুকছে। পটুয়াখালীর উপকূলে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ থেকে ৬ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। জোয়ারের পানি ঢুকে জেলার কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী উপজেলার ১৭টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে অর্ধশত  চরসহ নিম্নাঞ্চল। বরগুনায় বাঁধ ভেঙে অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও আশাশুনির কপোতাক্ষ নদ ও খোলপেটুয়া নদীসহ উপকূলের সব নদ-নদীর জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে দুই থেকে তিন ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। গাবুরা ইউনিয়নের নেবুবুনিয়া এলাকায় কপোতাক্ষ নদের বাঁধ ছাপিয়ে হু হু করে লোকালয়ে পানি প্রবেশ শুরু করে। এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ‘জলোচ্ছ্বাসের আতঙ্কে’ প্রহর গুনছে উপকূলবাসী। আশঙ্কা করা হচ্ছে পূর্ণিমার প্রভাবে উপকূলীয় জেলার নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২ থেকে ৪ ফুটের বেশি উচ্চতায় প্লাবিত হতে পারে। এদিকে আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠার আশঙ্কা নিয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ পৌঁছে গেছে ভারতের উড়িষ্যা উপকূলের আড়াইশ কিলোমিটারের মধ্যে; বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে সংকেত বাড়িয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর। আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়াসহ অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। সেই সঙ্গে পূর্ণিমায় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উচ্চতার জোয়ারে প্লাবিত হতে পারে উপকূলের নিচু এলাকাগুলো। আজ (বুধবার) দুপুর নাগাদ এ ঘূর্ণিঝড় পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপ এবং উড়িষ্যার পারাদ্বীপের মাঝামাঝি এলাকা দিয়ে উপকূল পেরিয়ে স্থলভাগে উঠে আসতে পারে। তখন বাতাসের গতি ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠতে পারে বলে ধারণা দিয়েছেন ভারতের আবহাওয়াবিদরা। বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস বলছে, গতকাল বিকাল ৩টায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াস চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে; কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে; পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪২০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার; যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছিল। আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান জানান, উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড়টি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর উত্তর-পশ্চিমে অগ্রসর হতে পারে। সাগর উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর। এ পরিস্থিতিতে উত্তর বঙ্গোসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। সাগরে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে এরই মধ্যে উপকূলীয় জেলাগুলোর নদ-নদীর পানি ফুলে ওঠার খবর আসছে। আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় উপকূল অতিক্রম করার সময় খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও চট্টগ্রাম জেলা এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণের সঙ্গে ঘণ্টায় ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। পূর্ণিমার প্রভাবে উপকূলীয় জেলার নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২ থেকে ৪ ফুটের বেশি উচ্চতার জোয়ার প্লাবিত হতে পারে।

তাপমাত্রাও কমছে : ঘূর্ণিঝড় এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে দেশজুড়ে বয়ে চলা মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহও প্রশমিত হতে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টি হয়েছে। এ সময় স›দ্বীপে দেশের সর্বোচ্চ ১৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছে ৩৬ মিলিমিটার। সোমবার সীতাকুন্ডে দেশের সর্বোচ্চ ৩৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। ঢাকায় ছিল ৩৮.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।

আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যানুযায়ী-

খুলনা : ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা উপকূলীয় এলাকায় থেমে থেমে বৃষ্টিপাত ও দমকা বাতাসের সৃষ্টি হয়েছে। সেই সঙ্গে নদীতে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের তুলনায় দুই তিন ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে খুলনার কয়রা ও পাইকগাছার ৫টি পয়েন্টে বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি ঢুকছে। এ ছাড়া দাকোপে ৯টি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাওয়ায় সেখানে জরুরি ভিত্তিতে মাটি ও জিও ব্যাগ দিয়ে মেরামত কাজ করা হচ্ছে।  জানা যায়, গতকাল সকাল থেকে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে উপকূলে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করতে থাকে। নদীতে স্বাভাবিকের তুলনায় জোয়ারের পানি বাড়তে থাকলে পাইকগাছার গড়ইখালী কুমখালী ও দেলুটি ইউনিয়নের চুকড়িবুকড়িতে বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে। এ ছাড়া কয়রার মহারাজপুর মঠবাড়ি, দক্ষিণ বেতকাশি আংটিহারা ও মাটিভাঙ্গা পয়েন্টে বেড়িবাঁধ উপচে পানি প্রবেশ করেছে। পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী জানান, নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়ায় সামান্য জোয়ারের পানি বৃদ্ধি হলেই বেড়িবাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি ঢুকতে থাকে। তিনি বলেন, বেড়িবাঁধে পানি প্রবেশ ঠেকাতে গড়ইখালী উত্তর কুমখালীতে মাটি ও জিও ব্যাগ দিয়ে বাঁধ উঁচু করা হয়েছে। এ ছাড়া লতা ইউনিয়নে পুটলাখালীতে মাটি দিয়ে বাঁধ মেরামত করা হয়েছে। এদিকে খুলনায় ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় ২৮৩টি আশ্রয় কেন্দ্রের পাশাপাশি ৭৬৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছে। দুর্যোগকালীন সময়ের জন্য শুকনা খাবার, সুপেয় পানি মজুদ রাখা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী উপকূলীয় বাসিন্দাদের সতর্ক করতে কাজ করছেন। দাকোপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিন্টু বিশ্বাস বলেন, ঘূর্ণিঝড় শুরুর আগেই সাধারণ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হবে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, উপকূলবাসীকে সুরক্ষার জন্য ১ হাজার ৪৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী, ১১৬টি মেডিকেল টিম কাজ করেছে।

পটুয়াখালী : ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে পটুয়াখালীর উপকূলে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ থেকে ৬ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। গতকাল বেলা ১১টা থেকে কয়েক ঘণ্টা জোয়ারের পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে বলে জানায় পানি উন্নয়ন বোর্ড। পানির চাপে বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে জেলার উপকূলীয় কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী উপজেলার ১৭টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে অর্ধশত চরসহ নিম্নাঞ্চল। এসব এলাকার পানিবন্দী মানুষজন এখন দুর্বিষহ জীবন-যাপন করছেন। কলাপাড়ার লালুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত হোসেন তপন বিশ্বাস জানান, লালুয়া ইউনিয়নের বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে অন্তত ১২ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। রাঙ্গাবালী উপজেলার চালিতাবুনিয়ার ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহিদুল ইসলাম হাওলাদার জানান, ’৭০-এর পর এমন ভয়াবহ পানি হয়নি। পানির তোড়ে গতকাল সকালে ইউনিয়নের চরলতা বেড়িবাঁধের ৭টি পয়েন্টের প্রায় ৪০০ মিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। এসব বেড়িবাঁধ দিয়ে এবং আগের ৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ বিধ্বস্ত দিয়ে প্রবলবেগে জোয়ারের পানি ঢুকে চালিতাবুনিয়ার সাতটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ইউনিয়নের ৯ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। এসব পানিবন্দী মানুষ তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে এখন দুর্বিষহ জীবন-যাপন করছেন।

বরগুনা : বরগুনার তিনটি নদীর পানির বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে হয়েছে। এতে বাঁধ ভেঙে ও উপচে প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। গতকাল বেলা ১১টার দিকে জোয়ারের পানির তোড়ে বেশ কিছু এলাকার নাজুক বেড়িবাঁধ ভেঙে ও উপচে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে। এ ছাড়াও নিম্নাঞ্চলের বাঁধের বাইরের বাসিন্দাদের ঘর-বাড়িতে জোয়ারের পানি প্রবেশ করেছে।

বরিশাল : ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ এর প্রভাবে জানমালের ক্ষতি কমাতে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বরিশাল বিভাগীয় ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি)। এ ছাড়া বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসন এবং উপজেলা প্রশাসন দফায় দফায় বৈঠক করে যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। গতকাল সকালে নগরীর ভাটারখাল এলাকায় কীর্তনখোলা নদীর তীরে সিপিপি কার্যালয়ে স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে  প্রস্তুতি সভা করেন সিপিপি বরিশাল অঞ্চলের উপ-পরিচালক শাহাবুদ্দিন মিয়া। সভা শেষে তিনি জানান, বরিশাল বিভাগে ৩৩ হাজার ৪০০ স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

সাতক্ষীরা : বঙ্গোপসাগরের সৃষ্ট সুপার সাইক্লোন ইয়াস ক্রমেই সাতক্ষীরার উপকূলে ধেয়ে আসছে। গতকাল দুপুর থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়া বইতে শুরু করেছে। সুন্দরবন সংলগ্ন শ্যামনগর ও আশাশুনির কপোতাক্ষ নদ ও খোলপেটুয়া নদীসহ উপকূলের সব নদ-নদীর জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ২ থেকে ৩ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে।

বাগেরহাট : ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে তলিয়ে গেছে সুন্দরবন। ম্যানগ্রোভ এই বনের দুবলায় ৫ ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। সুন্দরবনের সব থেকে উঁচু এলাকা করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রও পানিতে তলিয়ে গেছে। তবে এই কেন্দ্রের বন্যপ্রাণীগুলো এখনো নিরাপদ রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ফুঁসে উঠেছে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে নদ-নদী। তলিয়ে গেছে জেলার শত-শত বাড়ি-ঘর। প্লাবিত হয়েছে বাগেরহাট শহরের রাস্তাঘাটও। তলিয়ে গেছে মোরেলগঞ্জ উপজেলা সদরের বাজার। মোংলা পৌর শহরের বিভিন্ন সড়কসহ নিচু এলাকা তলিয়ে গেছে। পশুর নদীর পাড়ের কানাইনগর, চিলা, কলাতলা, সুন্দরতলা, জয়মনি এলাকার নিচু এলাকা দেড় থেকে দুই ফুট কোথাও এর বেশিও পানি উঠেছে। রাতের জোয়ারে আরও বেশি পানি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই অবস্থায় হুমকির মুখে রয়েছে জেলার হাজার-হাজার চিংড়ি খামার।

সর্বশেষ খবর