বুধবার, ২৬ মে, ২০২১ ০০:০০ টা
জাতিসংঘের এলডিসি কনফারেন্সের রূপান্তরধর্মী কর্মসূচি

নেতৃত্বে বাংলাদেশ ও কানাডা

লাবলু আনসার, যুক্তরাষ্ট্র

নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে ২৪ মে পঞ্চম এলডিসি সম্মেলনের সপ্তাহব্যাপী প্রস্তুতি সভা শুরু হয়েছে। যৌথভাবে এ সভা আহ্‌বান করেছেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা ও কানাডার স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত বব রে।

উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত সভায় বাংলাদেশ ও কানাডার স্থায়ী প্রতিনিধিদ্বয়কে যৌথ সভাপতি নির্বাচিত করা হয় কাতারের রাজধানী দোহায় আগামী জানুয়ারিতে ওই সম্মেলনের বিস্তারিত প্রস্তুতির জন্য। ধারণা করা হচ্ছে, পঞ্চম এলডিসি কনফারেন্সটি হবে জাতিসংঘের অন্যতম বৃহৎ সম্মেলন। সম্মেলনে এলডিসির পরবর্তী কর্মসূচির জন্য একটি নতুন বৈশ্বিক কমপ্যাক্ট গৃহীত হবে, যা দেশগুলোর আশু ও দীর্ঘমেয়াদি কাঠামোগত উভয় ধরনের সমস্যার সমাধানে ভূমিকা রাখবে। সম্মেলনটির কো-চেয়ার হিসেবে টেকসই উন্নয়ন ও উত্তরণের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা পদক্ষেপসহ বেশ কিছু অগ্রাধিকারমূলক বিষয় এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের তাৎপর্যপূর্ণ সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারিতে জাতিসংঘ বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের চূড়ান্ত স্বীকৃতি দিয়েছে।

স্বল্পোন্নত দেশসমূহের বৈশ্বিক সভাপতি হিসেবে মালাওয়ির রাষ্ট্রপতি ম্যাককার্থি চাকওয়েরা সোমবার এ ইভেন্টে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে কি-নোট স্পিকার হিসেবে বক্তব্য দেন। এ ছাড়া কি-নোট স্পিকার হিসেবে আরও বক্তব্য দেন সম্মেলনটির স্বাগতিক দেশ কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল-মুরাইখি। উদ্বোধনী পর্বে আরও কথা বলেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি ভলকান বজ্কির, আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল আমিনা জে. মুহাম্মদ, ওইসিডির উন্নয়ন সহায়তা কমিটির সভাপতি সুজানা মুরিহেড এবং স্বল্পোন্নত দেশ, ভূবেষ্টিত উন্নয়নশীল দেশ ও উন্নয়নশীল ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্রসমূহের দায়িত্বপ্রাপ্ত জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ফেকিতামইলোয়া কাটোয়া উতয়কামানু।

প্রথম সেশনের সাধারণ বিতর্ক পর্বে করোনার বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জের উদাহরণ টেনে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, এখন স্বল্পোন্নত দেশসমূহের জন্য সর্বোচ্চ প্রাধিকার হচ্ছে কভিড-১৯-এর টিকার সহজ ও বাধাহীন প্রাপ্তি। তিনি বলেন, যদি টিকার বিষয়টি এখনই সমাধান করা না হয় তবে সামনের বছরগুলোয় স্বল্পোন্নত দেশসমূহ তীব্র মানবিক ও অর্থনৈতিক দূরবস্থার মধ্যে নিপতিত হবে। এলডিসি থেকে উত্তরিত ও উত্তরণের পথে থাকা দেশগুলোর জন্য প্রণোদনাভিত্তিক উত্তরণ প্যাকেজের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেন, এটি করা না হলে কভিড-১৯-এর প্রভাব এবং এলডিসি-সংশ্লিষ্ট সহায়তা পদক্ষেপের অভাবে দেশগুলোর নিচের ধাপে পিছলে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় সপ্তাহব্যাপী এ সভার পরবর্তী সেশনসমূহে অংশ নেবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।

সর্বশেষ খবর