রাজধানীর পল্লবীতে চাঞ্চল্যকর সাহিনুদ্দিন হত্যা মামলায় লক্ষীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এম এ আউয়ালকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত। গতকাল আউয়ালকে চার দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক সৈয়দ ইফতেখার হোসেন। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এম এ আউয়ালকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম মাহমুদা আক্তার। এর আগে ২০ মে এম এ আউয়ালকে গ্রেফতারের কথা জানায় র্যাব। সাহিনুদ্দিন হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় একই দিন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বিভিন্ন মেয়াদে তিনজনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ওই তিনজন হলেন মো. সুমন বেপারী, মো. রকি তালুকদার ও মুরাদ। ১৬ মে রাজধানীর পল্লবীতে নিজ সন্তানের সামনে সাহিনুদ্দিনকে সন্ত্রাসীরা চাপাতি ও রামদাসহ বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। ওই ঘটনায় ১৭ মে নিহতের মা মোসা. আকলিমা রাজধানীর পল্লবী থানায় ২০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। সাহিনুদ্দিনকে হত্যার নির্মম দৃশ্য ধরা পড়ে সিসি ক্যামেরায়। এতে দেখা যায়, দুই তরুণ দুই পাশ থেকে সাহিনুদ্দিনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাচ্ছেন। মামলায় নিহতের মা আকলিমা অভিযোগ করেন, পল্লবীর সেকশন-১২ বুড়িরটেকের আলীনগর আবাসিক এলাকার হ্যাভেলি প্রোপার্টি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের এমডি এবং লক্ষীপুর-১ আসনের সাবেক এমপি এম এ আউয়ালের সঙ্গে জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ভাড়া করা সন্ত্রাসীরা সাহিনুদ্দিনকে হত্যা করেছে। আনুমানিক ৫ কোটি টাকা মূল্যের ১০ একর জমি জবরদখলে বাধা দেওয়ায় তাকে খুন করা হয়।