শনিবার, ২৯ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

হলো না হোয়াইটওয়াশ

বাংলাদেশের ২-১ এ সিরিজ জয়

মেজবাহ্-উল-হক

হলো না হোয়াইটওয়াশ

সিরিজ জয়ের ট্রফি হাতে বাংলাদেশ দলের উল্লাস -রোহেত রাজীব

আগের ম্যাচেই সিরিজ নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের। শ্রীলঙ্কাকে প্রথমবারের মতো হোয়াইটওয়াশ করার দারুণ সুযোগ এসেছিল। কিন্তু টাইগাররা শেষ ম্যাচ জিততে পারেনি। গতকাল ৯৭ রানে হেরে যায় তামিম ইকবালের দল। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শেষ হলো ২-১ ব্যবধানে।

তিন ম্যাচ মিলে ২৩৭ রান করে সিরিজ সেরা হয়েছেন মুশফিকুর রহিম। গতকাল পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে মিস্টার ডিপেন্ডেবল বলেন, ‘কয়েক মাস ধরে আমরা আমাদের সেরা পারফর্ম করতে পারছিলাম না। সে কারণেই সিরিজের আগে দলের সবাই কঠোর পরিশ্রম করেছি। তার পুরস্কার হাতেনাতে পেলাম। যদিও শেষ ম্যাচে ভালো করতে পারিনি, তবে প্রথম দুই ম্যাচে আমরা আমাদের সামর্থ্যরে প্রমাণ দিয়েছি।’

গতকাল প্রথমে ব্যাট করে ২৮৬ রান করে শ্রীলঙ্কা। সেঞ্চুরি করেন শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক কুশল পেরেরা। তিনি ১২২ বলে খেলেন ১২০ রানের ইনিংস। হাফ সেঞ্চুরি করেছেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। জয়ের জন্য ২৮৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১৮৯ রানে আটকে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। হাফ সেঞ্চুরি করেছেন মোসাদ্দেক হোসেন ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। লঙ্কান বোলার দুষ্মন্ত চামিরা মাত্র ১৬ রানে নেন ৫ উইকেট।

বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে ২৮ রানের মধ্যেই ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় স্বাগতিকরা। এ ম্যাচেও ব্যর্থ হয়েছেন দলের দুই সেরা ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান। লিটন দাসের জায়গায় ওপেন করতে নেমে সুযোগটা কাজে লাগাতে পারলেন না মোহাম্মদ নাঈম। দলীয় খাতায় তিনি মাত্র ১ রান যোগ করতে পেরেছেন।

৩ উইকেট পতনের পর মোসাদ্দেকের সঙ্গে মুশফিকের জুটিটি আশার আলো দেখাচ্ছিল। আগের দুই ম্যাচে ৮৪ ও ১২৫ রান করা মিস্টার ডিপেন্ডেবল গতকাল তার ইনিংসটাকে বেশি বড় করতে পারেননি। ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ হয়ে যান। ২৮ রানে থেমে যায় তার ইনিংস।

একদিকে যেমন নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়ছিল অন্য আস্কিং রানরেট ধাঁ করে বাড়ছিল। মোসাদ্দেক হাফ সেঞ্চুরি করার পর নতুন করে আশাও জাগছিল। কিন্তু হঠাৎই স্কুপ খেলতে গিয়ে যেন নিজের উইকেটটা উপহার দিয়ে আসেন। মোসাদ্দেকের আউটের পর টিমটিম

করে জ্বলতে থাকা বাংলাদেশের আশার আলোও নিভে যায়।

গতকাল বাংলাদেশের বোলিং ও ফিল্ডিং হতাশার। লঙ্কান অধিনায়ক কুশল পেরেরা তিনবার নতুন জীবন পান। যেখানে একটি ক্যাচই ম্যাচ হারার জন্য বড় কারণ হয়ে যায়, সেখানে তিনটি ক্যাচ মিস। শেষ পর্যন্ত লঙ্কান ক্যাপ্টেন ১২০ রানের ইনিংস খেলে দলকে এনে দেন ২৮৬ রানের বিশাল স্কোর। বোলাররাও অনেক শট বল করেছেন। ‘পার্টটাইমার’ বোলার মোসাদ্দেক হোসেন ৩ ওভারে দিয়েছেন ৩২ রান। তবে দারুণ বোলিং করেছেন পেসার তাসকিন আহমেদ। একাই নিয়েছেন ৪ উইকেট। শেষ ম্যাচে ব্যাটে-বলে ব্যর্থ সাকিব। ব্যাট হাতে ডাবল ফিগারে পৌঁছার আগেই আউট হয়ে যান। বল হাতে ১টি উইকেট পেলেই মাশরাফি বিন মর্তুজাকে টপকে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বোলার হতেন সাকিব। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার গতকাল কোনো উইকেটই পাননি। অবশ্য দুবার আউটের সুযোগ তৈরি করেছিলেন। কিন্তু ফিল্ডাররা ক্যাচ লুফে নিতে ব্যর্থ হন। তবে সিরিজে সাকিবের সময়টা ভালো না কাটলেও দল হিসেবে দুর্দান্ত খেলেছে বাংলাদেশ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর