নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, এই সরকার অমানবিক সরকার। তাদের কাছে কেঁদে কোনো লাভ নেই। অমানবিক সরকার কান্নার আওয়াজ শুনতে পায় না। তাই এখন আর কান্না নয়, ঐক্যবদ্ধভাবে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। দেশে গণতন্ত্র ও জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। আন্তর্জাতিক গুম  সপ্তাহ উপলক্ষে মায়ের ডাকের উদ্যোগে গতকাল সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে তিনি এ কথা বলেন। ডাকসুর সাবেক ভিপি মান্না বলেন, আপনারা সবাই প্রধানমন্ত্রীকে ‘মাননীয়’ বলে যেভাবে আবেদন-নিবেদন করছেন, তিনি কখনো এই আবেদন-নিবেদন শুনবেন না। একটি শিশু আজকে বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেছে, ‘মাননীয়’ প্রধানমন্ত্রী আপনি দেখে যান, আমরা এখানে যারা দাঁড়িয়েছি। কান্না করছি। স্বজনদের ফিরে পাওয়ার জন্য আবেদন করছি, এটি মিথ্যা নয়। গত ৮ বছর এভাবে স্বজনরা কান্নাকাটি করেছেন। তাদের কান্না দেখে আমার চোখেও পানি এসেছে। কিন্তু কোনো ফল হয়নি। তিনি বলেন, আমি আগেও বলেছি, এখনো বলছি, আপনারা অনুষ্ঠানটি ভিডিও ধারণ করে দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে দিন। এর আগে এই অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বৃদ্ধা মা হাজেরা খাতুন। তিনি এখন আসতে পারেন না। কারণ, কাঁদতে কাঁদতে তিনি বিছানায় শায়িত আছেন। কত মা যে মৃত্যুবরণ করেছে, কত বাবা কাঁদতে কাঁদতে মারা গেছে নতুন করে সেই তালিকা করতে হচ্ছে। কিন্তু গুম হওয়া স্বজনরা কেউ ফিরে আসছেন না।

তিনি বলেন, আমাকেও ২৩ ঘণ্টা গুম করা হয়েছিল। যদিও আমার সঙ্গে অত খারাপ ব্যবহার করেনি কিন্তু এই ২৩ ঘণ্টা মানসিক যে যন্ত্রণা সেই যন্ত্রণা আমি ও আমার পরিবার এখনো হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করছি। মায়ের ডাকের সমন্বয়কারী আফরোজা ইসলাম আঁখির সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসার পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, দৃকের প্রতিষ্ঠাতা শহীদুল আলম, ডাকসুর সাবেক ভিপি নূরুল হক নুর, ছাত্রনেতা মামুন খান, গুম হওয়া পরিবারের পক্ষ থেকে ব্যারিস্টার আবরার ইলিয়াস,  মারুফা ইসলাম ফেরদৌসী, রিপন জ্যোতি চাকমা, শহিদুল্লাহ, লামিয়া আক্তার মিম, হাসিনা বেগম, আনিসা ইসলাম ইনশা ও কামাল হোসেন।