মঙ্গলবার, ১ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

আশা জাগাচ্ছে ফাইজার চলছে চীনের টিকা

দেশে পৌঁছাল ফাইজারের ১ লাখ ৬২০ টিকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

আশা জাগাচ্ছে ফাইজার চলছে চীনের টিকা

অবশেষে দেশে পৌঁছেছে ফাইজারের টিকা। গতকাল রাত ১১টা ১৩ মিনিটে এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে ফাইজার-বায়োএনটেকের উদ্ভাবিত করোনার টিকা ‘কমিরনাটি’র ১ লাখ ৬২০ ডোজ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। স্বাস্থ্য অধিদফতরের ভ্যাকসিন ডেপলয়মেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, মহাখালীতে অবস্থিত সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) হিমাগারে এসব টিকা সংরক্ষণ করা হবে।

এ ছাড়া দেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজ এবং চীনের সিনোফার্ম টিকার প্রথম ডোজ টিকাদান চলছে। 

সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই টিকা মূলত ঢাকা শহরের মানুষকে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে নিবন্ধন করেছেন এমন ব্যক্তিরা এই টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। ফাইজারের টিকা কবে নাগাদ দেওয়া শুরু হবে, তা এখনো ঠিক করেনি স্বাস্থ্য অধিদফতর।

করোনার টিকা সংগ্রহ ও বিতরণের বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্স থেকে বাংলাদেশ প্রাথমিকভাবে ১ লাখ ৬২০ ডোজ ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা পেল। ২৭ মে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয় ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। এই টিকা মাইনাস ৯০ ডিগ্রি থেকে মাইনাস ৬০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়। এই তাপমাত্রার সংরক্ষণ পাত্র দেশে খুব কম আছে। ইপিআইয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সরকারের জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান (আইপিএইচ), রোগতত্ত্ব, রোগ                 নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর), আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর-বি), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারে এই টিকা রাখার মতো উপযুক্ত পাত্র আছে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিয়ে দেশে করোনাভাইরাসের গণটিকাদান শুরু হয়। গতকাল সারা দেশে ১২ হাজার ২১৬ জনকে এই টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে। এই টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ৫৮ লাখ ২০ হাজার ১৫ জনকে। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ৪১ লাখ ৭৩ হাজার ৯৩০ জনকে। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার মজুদ শেষ হয়ে আসছে। এই টিকার প্রথম ডোজ পাওয়া প্রায় ১৫ লাখ মানুষের দ্বিতীয় ডোজ পাওয়া এখনো অনিশ্চিত হয়ে আছে। এরই মধ্যে দেশে সিনোফার্মের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। চীন সরকার বাংলাদেশকে ৫ লাখ টিকা উপহার হিসেবে দিয়েছে। এ ছাড়া সরকার চীন থেকে দেড় কোটি টিকা কেনার প্রক্রিয়া প্রায় শেষ করেছে। ২৮ এপ্রিল টিকাটির জরুরি ব্যবহারের অনুমোদনের সুপারিশে বলা হয়েছিল, ১ হাজার মানুষকে টিকা প্রয়োগ করে সাত দিন নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। পর্যবেক্ষণে সন্তোষজনক ফল পাওয়া গেলে এই টিকা গণহারে দেওয়া যাবে। ২৫ মে দেশে চীনা টিকা দেওয়া শুরু হয়। মেডিকেল কলেজের ৫০১ জন শিক্ষার্থীকে দিয়ে এই টিকাদান শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেওয়া তথ্য বলছে, ঢাকার চারটি হাসপাতালে চীনের টিকা দেওয়া হচ্ছে।

এগুলো হচ্ছে- ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। গতকাল পর্যন্ত ২ হাজার ১৪২ জনকে এই টিকা দেওয়া হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর