মঙ্গলবার, ১ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

জীবন-জীবিকা সচল রেখে মানুষ বাঁচাতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

জীবন-জীবিকা সচল রেখে মানুষ বাঁচাতে হবে

ড. হোসেন জিল্লুর রহমান

আগামী বাজেট এমন হতে হবে যাতে মানুষের জীবন-জীবিকা সচল থাকে। মানুষ যেন খেয়ে পরে বাঁচতে পারে। এ জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও কর্মসংস্থানকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। একই সঙ্গে করোনা মহামারীতে অর্থনীতির যে ক্ষতি হয়েছে সেটার একটা আর্থিক মূল্যায়ন হওয়া দরকার। যার মাধ্যমে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণটা নিরূপণ করা যায়। এবং সে অনুযায়ী অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পরিকল্পনাটাও করা যায়। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে আগামী অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে তার এই প্রত্যাশার কথা জানান সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের চেয়ারপারসন ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান। ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, করোনাভাইরাস মহামারীতে আমাদের সবকিছুই ল-ভ- হয়ে গেছে। জীবন-জীবকা থেমে গেছে। বহু মানুষ কাজ হারিয়েছে। প্রতিদিন প্রাণহানি ঘটছে। এতে দেশের অর্থনীতির যে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে সেটির স্বীকৃতি দিতে হবে। ‘করোনায় অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এবং এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি’- এটা শুধু মুখে বললে হবে না। করোনায় গত এক বছরে প্রকৃতপক্ষে কত ক্ষতি হয়েছে তার একটা আর্থিক মূল্যায়ন হতে হবে। এবং এর আলোকে আগামী অর্থবছরের বাজেটে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পরিকল্পনা নিতে হবে। যে পরিকল্পনা নেওয়া হবে তা হতে হবে বাস্তবভিত্তিক। একই সঙ্গে তা বাস্তবায়ন করতে অত্যন্ত শক্তিশালী মনিটরিং ব্যবস্থাও থাকতে হবে। করোনায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের তথ্য-উপাত্ত নিয়ে পূর্ণাঙ্গ পরিসংখ্যান তৈরি করতে হবে। যার ভিত্তিতে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের সুষ্ঠু পরিকল্পনা করতে হবে। তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা দিয়ে মানুষকে কাজ করার সুযোগ করে দিতে হবে। অনেকেই কাজ হারিয়েছেন। আবার অনেকেই নতুন করে দরিদ্র হয়ে গেছেন। করোনার কারণে দুই ধরনের দরিদ্র তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে যারা আগে থেকে দারিদ্র্য ছিল, তারা আরও দরিদ্র হয়েছে। যারা আগে দারিদ্র্যসীমার বাইরে ছিল, তাদের আয় কমে যাওয়ার কারণে নতুন করে দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে গেছে। গ্রামের তুলনায় শহর এলাকায় দারিদ্র্যের হার বেশি বেড়েছে। কাজহারা ও কর্মহীনদের কাজ ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। বাজেটে এ সংক্রান্ত সুস্পষ্ট উদ্যোগ ও ঘোষণা থাকতে হবে। এবং সে উদ্যোগ বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি বলেন, বাজেটের অগ্রাধিকার খাত হিসেবে এবার স্বাস্থ্য খাতকে সর্বাগ্রে বেছে নিতে হবে। এরপরই নজর দিতে হবে কর্মসংস্থান বাড়ানোর দিকে। কর্মসংস্থানের চাকা ঘোরাতে সরকারি খাতের পাশাপাশি বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এ জন্য প্রয়োজনে বেসরকারি খাতকে উৎসাহমূলক প্রণোদনাও দিতে হবে বলে মনে করেন তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর