শর্ত সাপেক্ষে দেশের সব পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়কে সরাসরি ও অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একাডেমিক কাউন্সিলের পরামর্শে পরীক্ষা গ্রহণ ও মূল্যায়ন করতে হবে। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কভিড-১৯ এর টিকা প্রদানের আওতায় আনা হবে। গত সোমবার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সূহ খোলার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ইউজিসি ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের এক মতবিনিময় সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। গতকাল এসব তথ্য সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায় ইউজিসি।
সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে রয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কভিড-১৯ এর টিকা প্রদানের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এই টিকা প্রদানের কর্মসূচি আবাসিক হলসমূহের শিক্ষার্থীদের দিয়ে শুরু হবে। সরাসরি উপস্থিতিতে পরীক্ষা গ্রহণ এবং সুনির্দিষ্ট নীতিমালার আলোকে অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহণের জন্য যে দুটি নির্দেশনা ইউজিসি প্রদান করেছে, তা স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলে অনুমোদন করে পরীক্ষা গ্রহণ ও মূল্যায়ন করা হবে। শিক্ষার্থীদের কভিড-১৯ এর টিকা প্রদান সম্পন্ন হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলসমূহ খুলে দেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সরাসরি উপস্থিতিতে শিক্ষাকার্যক্রম আগের মতো চালু হবে। মহামারীর কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনে যে ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে নেওয়ার জন্য প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব সক্ষমতা ও বাস্তবতা অনুযায়ী রিকভারি প্ল্যান করে তা বাস্তবায়নে কার্যক্রম গ্রহণ করবে।
