শুক্রবার, ৪ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

করোনাকালীন বাজেট হয়নি

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনাকালীন বাজেট হয়নি

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ‘করোনাকালীন’ সংকটের বাজেট হয়নি। পুরোপুরি ঋণনির্ভর বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে। বাজেটে উপেক্ষিত হয়েছে স্বাস্থ্য খাত। এতে সরকারের কিছু লোকের উন্নয়ন হতে পারে, কিন্তু গরিব বা সাধারণ মানুষের কোনো উন্নয়ন হবে না। আর বাজেটে যে প্রবৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে তাও পুরোপুরি ভাঁওতাবাজি। সরকার সাধারণ মানুষের প্রতি অবিচার করেছে। জাতীয় সংসদে গতকাল বাজেট উপস্থাপনের পর সন্ধ্যায় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি গণমাধ্যমকে এ কথা বলেন। বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে দরিদ্র, হতদরিদ্র, নিম্ন মধ্যবিত্ত, ক্ষুদ্র এবং কুটির শিল্পে সংযুক্ত দেশের প্রায় ৫ থেকে ৬ কোটি মানুষের ব্যাপারে কোনো নতুন বিষয় নেই। স্বাস্থ্য খাতকে গতিশীল করতে জিডিপির অন্তত ৫ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া উচিত ছিল, সেটি নেই। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, যারা হতদরিদ্র, দরিদ্র, দিন আনে দিন খায়, অনানুষ্ঠানিক খাতে যারা কাজ করে, রিকশাওয়ালা, ঠেলাগাড়িওয়ালা, ফুটপাথে খাবার বিক্রি করে, চা দোকানদার তাদের জন্য প্রণোদনা বা ক্যাশ ট্রান্সফার হয়নি। এই বাজেট স্বজন তোষণের বাজেট। এই সরকার স্বজন তোষণের অর্থনীতি চালু করেছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী ড. আবদুল মঈন খান তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে এমন একটি বাজেট উপহার দিয়েছে যা হলো একটি ‘অধমর্ণের বাজেট’। মোট বাজেটের ৩৫.৫৬%, অর্থাৎ এক-তৃতীয়াংশের বেশিই হলো ঘাটতি, যা বৈদেশিক অথবা অভ্যন্তরীণ সোর্স থেকেই ঋণের মাধ্যমে পূরণ করতে হবে।

বাজেটে সাধারণ মানুষের উন্নয়ন নেই : এর আগে দুপুরে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, পত্র-পত্রিকায় বাজেট সম্পর্কে যতটুকু দেখেছি, তাতে সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক কোনো উন্নয়নের জায়গা নেই। এখন সাধারণ মানুষের নয়, সরকারের মদদপুষ্টদের উন্নয়ন হচ্ছে। বিএনপির স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপদযাপন কমিটির উদ্যোগে ‘১৯৭৮ সালের ৩ জুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন : বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং একদলীয় শাসনের অবসান’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালামের সঞ্চালনায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের সাবেক নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বিকল্পধারা বাংলাদেশের (একাংশ) সভাপতি অধ্যাপক নূরুল আমিন ব্যাপারী প্রমুখ বক্তব্য দেন। সভাপতির বক্তব্যে ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে না আনা গেলে দেশের মুক্তি নেই। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে, গণতন্ত্রের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে সরকার বিকৃত করে নতুন প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর