মঙ্গলবার, ৮ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

কারা পাচার করছে তাদের তথ্য দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক

কারা পাচার করছে তাদের তথ্য দিন

‘দেশ থেকে অর্থ পাচারে কারা জড়িত, তাদের বিষয়ে কোনো তথ্য আমার কাছে নেই। আপনাদের কাছে থাকলে আমাকে জানান’- এ ধরনের তথ্য বিরোধী দলের কারও কাছে থাকলে তা দিতে অনুরোধ জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, ‘নামগুলো আমাদের দিন। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব। এতে কাজটি করা আমাদের জন্য সহজ হবে। অর্থ পাচার ঠেকাতে সরকার সক্রিয় রয়েছে। এ অপরাধে এখনো অনেকেই জেলে আছে। বিচার হচ্ছে। আগে যেমন ঢালাওভাবে চলে যেত, এখন তেমন পরিস্থিতি নেই।’ গতকাল স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদে সম্পূরক বাজেট পাসের আগে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশের আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এক বছরের মধ্যে ১৫টি আইন প্রণয়ন করা হবে। সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনায় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের মঞ্জুরি দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় পার্টি ও বিএনপির সংসদ সদস্যরা বিভিন্ন ছাঁটাই প্রস্তাব আনেন। বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা বিদেশে টাকা পাচার, পুঁজিবাজারের অব্যবস্থাপনাসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সমালোচনা করেন। এর জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের মানুষের কষ্টে অর্জিত টাকা বিদেশে চলে যাবে, আপনাদের যেমন লাগে, আমারও তেমনই লাগে। আমি অনিয়ম, বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে। আমরা সবাই চাই, এগুলো বন্ধ করতে হবে। বন্ধ হচ্ছে। আগের মতো অবস্থা নেই। আগে সিমেন্টের নাম করে বালু আসত। একটার নাম করে আরেকটা আসত। আন্ডারইনভয়েসিং, ওভারইনভয়েসিং আগের মতো হয় না। একদম বন্ধ হয়ে গেছে বলব না। তবে পত্রপত্রিকায় দেখতে পাই না। এগুলো বন্ধ করার জন্য আগামী ছয় থেকে ১২ মসের মধ্যে ১৫টি আইন দেখতে পাবেন। আমি নিজে জানি কীভাবে এগুলো হয়। কারা করে জানি না। অদক্ষ ব্যবস্থাপনা, ইনএফেকটিভ ম্যানেজমেন্টের জন্য এগুলো হয়। আমরা সংস্কারমুখী কাজ করব। নতুন নতুন আইন করব। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে দায় নিয়ে কাজ করতে পারে, সে ব্যবস্থা করে দেব। কোনো টলারেন্স নেই এখানে। টাকা এখন দেশে আসে।’

তিনি বলেন, ‘গত ১২ বছরে ঋণের সুদহার ১২ দশমিক ১ ভাগ থেকে কমিয়ে ৭ দশমিক ৩ ভাগ করা হয়েছে। এখন ব্যাংকের শাখা দ্বিগুণ হয়েছে। চাহিদা বেড়ে গেছে। গ্রামে গ্রামে ব্রাঞ্চ হয়েছে। দেশের মানুষ সেবা পাচ্ছে। ২০০৬ সালে খেলাপি ঋণের হার ছিল ১৩ দশমিক ৬ শতাংশ। এখন ৮ শতাংশে নেমে এসেছে। ২০০৬ সালে টোটাল লোন আউটস্ট্যাডিং ছিল ১ লাখ ৫২ হাজার কোটি টাকা, যা এখন আট গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ১১ লাখ ৮৭ হাজার কোটি টাকা হয়েছে। আমরা যদি ডেটা দেখি, পুঁজিবাজারের মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন ১ লাখ ৪ হাজার কোটি টাকা থেকে আজকে পাঁচ গুণ বেড়ে ৫ লাখ ৩ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। আমরা যখন দায়িত্বভার গ্রহণ করি, পুঁজিবাজারে দৈনিক ২৮ কোটি টাকা লেনদেন হতো, যা এখন ৩০ গুণ বেড়ে ৯১০ কোটি টাকা হয়েছে। তাহলে পুঁজিবাজার বসে গেল কেমন করে বুঝতে পারছি না। পুঁজিবাজারে হয়তো (আপনাদের) লেনদেন নেই, পুঁজিবাজার সম্পর্কে হয়তো তথ্য রাখেন না, সেজন্য এমনটা বলছেন।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর