মঙ্গলবার, ৮ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

ফাইজারের টিকা পাবেন সিরিয়াল অনুযায়ী নিবন্ধিতরাই

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ফাইজারের টিকা সিরিয়াল অনুযায়ী নিবন্ধিত ব্যক্তিরাই পাবেন। সরকার নির্ধারিত চারটি টিকাদান কেন্দ্রে এই টিকা দেওয়া হবে। গতকাল রাজধানীর বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসে ‘জাতীয় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন ২০২১’ উপলক্ষে এক আলোচনা   সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, রাতে ফাইজারের টিকার ডায়লুয়েন্ট আসবে। ফাইজারের টিকা ও সিনোফার্মার টিকা দুটোই চলমান থাকবে। ১৩ তারিখে সিনোফার্মা থেকে আরও ৬ লাখ টিকা আসবে। তখন থেকে ফাইজারের টিকাদান কার্যক্রমও শুরু হবে। তিনি আরও বলেন, ‘সিনোফার্মের সঙ্গে আমরা চুক্তিবদ্ধ হচ্ছি, তারা যেন আপাতত আগামী তিন মাসে দেড় কোটি টিকা দেয়।’ মন্ত্রী বলেন, সিনোভ্যাকও টিকা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশে তারা টিকা তৈরিও করতে চায়। সিনোভ্যাকের টিকা ব্যবহারের জন্য জরুরি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তাদের সঙ্গে আলোচনা প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। তারা যদি আমাদের এখানে দিতে পারে এবং দেশীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তৈরি করতে পারে, তাহলে সে সুযোগও করে দেওয়া হবে।’ রাশিয়ার টিকা পেতে চুক্তি খসড়া পর্যায়ে আছে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, রাশিয়া ইতিবাচক টিকার বিষয়ে। দ্রুতই চুক্তি চূড়ান্ত হয়ে যাবে। করোনার চিকিৎসায় রোগী প্রতি খরচের বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট বের করেছে যে যারা সাধারণ শয্যায় থাকেন, তাদের জন্য প্রতিদিন ১৫ হাজার টাকা এবং আইসিইউতে ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়।

সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই টিকা ঢাকা শহরের মানুষকে দেওয়া হবে। কারণ এই টিকার কোল্ড চেইন ব্যবস্থাপনা পুরো দেশে নেই। ইতিমধ্যে নিবন্ধন করেছেন এমন ব্যক্তিরা এই টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। ফাইজারের টিকা কবে নাগাদ দেওয়া শুরু হবে, তা এখনো ঠিক করেনি স্বাস্থ্য অধিদফতর। এই টিকার দ্বিতীয় ডোজ ২৮ দিন পর দিতে হবে। ২৭ মে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয় ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। এই টিকা মাইনাস ৯০ ডিগ্রি থেকে মাইনাস ৬০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়। এই তাপমাত্রার সংরক্ষণ পাত্র দেশে খুব কম আছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুসারে, দেশে করোনাভাইরাসের টিকা পেতে এখন পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৭২ লাখ ৪৮ হাজার ৮২৯ জন। এর মধ্যে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৫৮ লাখ ২০ হাজার ১৫ জন। উপহার হিসেবে পাওয়া চীনের ৫ লাখ সিনোফার্মের টিকার মধ্যে পর্যবেক্ষণের জন্য ৫০১ জন মেডিকেল শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রায় ১ হাজার ২০০ জন চীনের নাগরিকও এই টিকা নিয়েছেন। নিবন্ধন করে এখনো কোনো টিকা পাননি ১৪ লাখ ২৭ হাজার ৫৭৫ জন। এদের মধ্যে ৫০ হাজার ৩১০ জন মানুষ ফাইজারের টিকা পাবেন। টিকা সংকটের কারণে বর্তমানে করোনা টিকার জন্য নিবন্ধন বন্ধ রয়েছে।

সর্বশেষ খবর