শিরোনাম
বুধবার, ৯ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

তথ্য সংগ্রহ করে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে

------- আসাদুজ্জামান খান

বিশেষ প্রতিনিধি

তথ্য সংগ্রহ করে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, দেশে সাইবার আইন কার্যকর থাকার পরও একটি গোষ্ঠী ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে দেশ ও দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের কুৎসা ও মিথ্যাচার করে সাইবার অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে। যারা ভিকটিম হচ্ছেন বা সংক্ষুব্ধ হচ্ছেন তারা পরিত্রাণের জন্য সাইবার আইনে মামলা করছেন। সেই মামলাগুলো আমলে নিয়ে অভিযুক্তদের বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে।

গতকাল সচিবালয়ে নিজ দফতরে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘যারা দেশের বাইরে অবস্থান করে ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে এই অপরাধগুলো করছেন, তাদের অনুরোধ করছি তারা যেন এমন জঘন্য কাজ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। আমাদের এ আহ্বানে অনেকেই সাড়া দিয়েছেন। যারা সাড়া দিচ্ছেন না তাদের নিয়ে আমরা বিকল্প পন্থা চিন্তা করছি। বিদেশের মাটিতে বসে যারা এই ন্যক্কারজনক কাজ অব্যাহত রেখেছেন, আমরা তাদের সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনার পরিকল্পনা করছি। যারা এসব মিথ্যাচার করছে তারা বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে থাকলে তাদের বাংলাদেশে ফিরে আসতে হবে এবং দেশে ফিরে যাতে আইনের মুখোমুখি হতে হয় আমরা সেই ব্যবস্থাও করছি। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা সব ধরনের প্রক্রিয়া গ্রহণ করছি।’ তিনি বলেন, ‘কারও কারও বিরুদ্ধে ভুয়া আইডিতে ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব, টিকটকসহ বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে বর্তমান সরকার, সরকারপ্রধান, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির বিরুদ্ধে গুজব রটানো ও অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ রয়েছে। অনেকে শনাক্ত হলেও তারা বিদেশে অবস্থান করায় তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছে না। সে কারণেই আমরা সার্ভিস প্রোভাইডারগুলোকে রেজিস্টার্ড কোম্পানি করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। স্বাধীনতাবিরোধীরাও এখন চক্রান্তের সহজ পথ হিসেবে বেছে নিয়েছে ইউটিউব বা ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দক্ষ কর্মকর্তারা ২৪ ঘণ্টা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত সম্মানহানি, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস বা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে এমন বিষয়গুলো নজরদারি করছেন। তারা গুজব রটনাকারীদের শনাক্তে নিয়মিত সাইবার মনিটরিং করছেন। পরে শনাক্ত আইডি বন্ধে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) জানানো হচ্ছে। বিটিআরসি এসব আইডির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে।

সর্বশেষ খবর