শিরোনাম
বুধবার, ৯ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

তথ্য সংরক্ষণ করতে নতুন আইন হচ্ছে

---- জুনাইদ আহমেদ পলক

রফিকুল ইসলাম রনি

তথ্য সংরক্ষণ করতে নতুন আইন হচ্ছে

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘিœত হয়, এমন বিষয় ছড়ানো হয়। পাশাপাশি নানা ধরনের গুজব প্রচারও করা হয় অনেক সময়। এসব অপরাধ ঠেকাতে ‘তথ্য সুরক্ষা আইন’ প্রণয়ন করতে যাচ্ছি। এটি খসড়া পর্যায়ে রয়েছে। যাতে করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে বাংলাদেশে তথ্য সংরক্ষণ করতে হবে। ইতিমধ্যে সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স ও তুরস্ক এ ধরনের আইন করেছে। আইসিটি, তথ্য ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় যৌথভাবে কাজ  করছে। গতকাল সন্ধ্যায় বাংলাদেশ প্রতিদিনকে টেলিফোনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।  জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বিদেশি প্রতিষ্ঠান ও বিদেশ থেকে পরিচালিত হওয়ার কারণে সোশ্যাল মিডিয়ায় সংঘটিত অপরাধ দমনে আমাদের স্থানীয় আইন সেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করতে পারি না। তিনি বলেন, মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলোকে দেশের আইনের আওতায় আনাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। এ আইনটি করা সম্ভব হলে অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো আমরাও বাংলাদেশের তথ্যগুলো দেশে রাখতে বাধ্য করতে সক্ষম হব। ফলে অপকর্মকারীদের আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হব।

 যা এখন পারছি না।

 আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ২০০৮ সালে ডিসেম্বরের নির্বাচনের আগে বঙ্গবন্ধুকন্যা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা জাতিকে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ভিশন দিলেন। এরপর ডিজিটাল বাংলাদেশের অবকাঠামো তৈরি হলো। এক যুগে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঈর্ষণীয় সাফল্য এসেছে। এখন আর্থিক ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম সবকিছু প্রযুক্তিনির্ভর হচ্ছে। সে কারণে ডিজিটাল নিরাপত্তাও জরুরি হয়ে পড়েছে। আমাদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়াতে চেষ্টা করছি।

আমরা ১০৪ ও ৩৩৩ হেল্প সেন্টার স্থাপন করেছি।  সেখানে যে কোনো নাগরিক ফোন করে অভিযোগ জানাতে পারেন। আইনগত সহায়তা পান।  জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, দেশের ১২ কোটি মানুষ ইন্টারনেট সেবার আওতায় এসেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় যেভাবে তথ্য প্রযুক্তি সেবা গ্রাম পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। এতে সহজেই সবাই ইন্টারনেট সেবার আওতায় এসেছেন।

অনেকেই ফেসবুক, ইউটিউবসহ নানা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করছেন। তিনি বলেন, সিভিল এভিয়েশন, এনবিআর, নির্বাচন কমিশন, বিটিআরসি, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাকে সাইবার হামলা থেকে রক্ষা করতে পারে সে জন্য বিশেষ টিম গঠন করেছি। যেমন ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাইবার হামলা করে অর্থ চুরি করা হয়েছিল। সে ঘটনা যেন পুনরায় না ঘটে সেজন্য প্রযুক্তি সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি। তিনি বলেন, কেউ যদি সোশ্যাল মিডিয়ায় মহান মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও জাতির পিতার অবমাননা করেন, তাহলে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। ডিজিটাল লিটারিসি কাউন্সিলটা আমরা নতুনভাবে স্থাপন করছি। যেখানে ‘জনতার সরকার’ নামে একটা পোর্টাল হবে, সেখানে জনতার মতামত আসবে, নতুন করে কীভাবে অপপ্রচার হচ্ছে, দেশের মাটিতে কারা অপপ্রচার করছে তাদের চিহ্নিত করতে পারব।

এসব অপকর্মকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারি সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বিদেশের মাটিতে বসে যদি কেউ অপপ্রচার করে, আমরা তাদের শাস্তির আওতায় আনতে পারি না। এখন অ্যামাজন, গুগল যেমন বাংলাদেশে সার্ভার স্থাপন করে ভ্যাট দিচ্ছে। তেমনি ফেসবুক, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশে সার্ভার স্থাপন করতে বলছি। তারা বাংলাদেশে সার্ভার স্থাপন করলেই সামাজিক অপরাধগুলো বন্ধ করা সহজ হবে।

সর্বশেষ খবর