বুধবার, ৯ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে

নিজস্ব প্রতিবেদক

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে। করোনা পরবর্তী জটিলতাগুলো কেটে যাচ্ছে তাঁর। কিডনি, লিভার আর হার্টের সমস্যা ছাড়া আর সবগুলো রোগের ক্ষেত্রেই উন্নতি হয়েছে। তবে কভিড পরবর্তী শারীরিক দুর্বলতা, কম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও হাসপাতাল থেকে সংক্রমণের আশঙ্কার কথা বিবেচনায় রেখেও আগামী সপ্তাহেই বাসায় নিয়ে যাওয়া হতে পারে তাঁকে। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এ সম্পর্কে বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, করোনা পরবর্তী জটিলতাগুলো আল্লাহর রহমতে কেটে যাচ্ছে ম্যাডামের। তবে ক্রোনিক কিডনি সমস্যা, লিভার ডিজিজ ও হার্টের সমস্যাগুলো এখনো উদ্বেগজনক অবস্থায় রয়েছে। এ জন্য তাঁর আরও উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। বিশেষ করে তাঁর এ অতিশয় দুর্বল শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একেবারেই কম। এ অবস্থায় বিদ্যমান লিভারের সমস্যাটার জন্য উন্নত চিকিৎসার কোনো বিকল্প নেই। অপর একজন চিকিৎসক জানান, পোস্ট কভিড জটিলতাগুলোও কেটে যাচ্ছে সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর। কেবিনে বসে তরল খাবার খেতে পারছেন। গতকাল দুজনের সহযোগিতায় কেবিনের ভিতরেই হাঁটাচলার চেষ্টা করেছেন। ফুসফুসের সমস্যাও তেমন একটা নেই। ডায়াবেটিস ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে। শুধু কিডনি জটিলতা আর হার্টের সমস্যাটাই রয়ে গেছে। তাঁর সঙ্গে রয়েছে সেই পুরনো আর্থ্রাইটিসের সমস্যাটা। দীর্ঘমেয়াদি এসব রোগের চিকিৎসা বাসায় থেকেই করতে পারেন। তাছাড়া করোনা পরবর্তী দুর্বল শরীরে হাসপাতালে অবস্থানের ক্ষেত্রে সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি থাকায় চিকিৎসকরা তাঁকে বাসায় স্থানান্তরের চিন্তা-ভাবনা করছেন বলে জানা গেছে।

প্রতি এক দিন পর পর মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে পর্যালোচনা করছেন।

আজকালের মধ্যে তারা আবারও বৈঠক করে তাঁর শারীরিক অবস্থার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন বলে জানা গেছে। এ সম্পর্কে নাম প্রকাশ না করে একজন চিকিৎসক জানান, পোস্ট কভিড জটিলতাগুলো প্রায় কেটে গেছে খালেদা জিয়ার। এখন কিডনি ও হার্টের সমস্যা দুটোই রয়ে গেছে। সেই সঙ্গে রয়েছে আর্থ্রাইটিসের সমস্যাটা। তবে এক্ষেত্রে হাত-পায়ের ব্যথাটাও কিছুটা কমতির দিকে। ফলে তিনি আজ (গতকাল) কেবিনের ভিতরেই নার্সের সহযোগিতায় হাঁটার চেষ্টা করেছেন। শারীরিক অবস্থার উন্নতির এ ধারা অব্যাহত থাকলে এবং নতুন করে আর কোনো জটিলতা দেখা না দিলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালের কেবিন থেকে বাসায় ফিরে যেতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন সংশ্লিষ্ট ওই চিকিৎসক।      

সর্বশেষ খবর