বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, খুব দ্রুত তিস্তা নদীর খনন কাজ শুরু হবে। চীনের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলাপ আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। বাজেট অধিবেশনের পর এ বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর হবে। তিস্তা নদী খনন করার পর নদীর দুই ধারে বিস্তীর্ণ এলাকায় বিভিন্ন ধরনের শিল্প কারখানা স্থাপন করা হবে। এর মাধ্যমে হাজারো মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। গতকাল সকালে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিকে তার রংপুর শহরের বাসভবনে প্রধানমন্ত্রী বরাবর তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের ৬ দফা দাবি সংবলিত স্মারকলিপি প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানী, সাধারণ সম্পাদক শফিয়ার রহমান, স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক ড. তুহিন ওয়াদুদ প্রমুখ। ৬ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে নদী সুরক্ষায় মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন, অভিন্ন নদী হিসেবে ভারতের সঙ্গে ন্যায্য হিস্যার ভিত্তিতে তিস্তা চুক্তি সম্পন্ন, তিস্তা নদীতে সারা বছর পানির প্রবাহ ঠিক রাখতে জলাধার নির্মাণের কথা বলা হয়। এছাড়া তিস্তার ভাঙন ও বন্যা ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনসহ অন্যান্য দাবিও তোলা হয়। এদিকে, দুপুরে বাণিজ্যমন্ত্রী রংপুর নগরীর নবদীগঞ্জে হিমাগার মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় মন্ত্রী বলেন, চালের দাম যেন সিন্ডিকেট চক্রের কারসাজিতে না বাড়ে সে দিকটি দেখা হচ্ছে। শুধু সয়াবিন তেল ছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য অনেকটাই স্বাভাবিক রয়েছে। তিনি হিমাগার মালিকদের সঙ্গে তাদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন এবং সমাধানে পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন।
