শনিবার, ১৯ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

করোনার টিকা সহজলভ্য করতে পদক্ষেপ নিন

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

করোনার টিকা সহজলভ্য করতে পদক্ষেপ নিন

সবার জন্য করোনাভাইরাসের টিকা সহজলভ্য করতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়ার জন্য জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসকে অনুরোধ জানিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে এ মোমেন। বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে এ বিশ্ব সংস্থার মহাসচিবের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে তিনি এ অনুরোধ জানান। জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিব সবার টিকাপ্রাপ্তির বিষয়ে    জি-৭ সম্মেলনে তার নেওয়া উদ্যোগ এবং টিকা তৈরিতে বাংলাদেশের সক্ষমতার তথ্য উপস্থাপন করার কথা তুলে ধরেন। গতকাল জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়। স্থায়ী মিশনের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সদ্যসমাপ্ত জি-৭ সম্মেলনে করোনাভাইরাসের টিকাকে ‘সবার জন্য’ ঘোষণা করায় জাতিসংঘ মহাসচিবকে ধন্যবাদ জানান মোমেন। অ্যান্তোনিও গুতেরেস দ্বিতীয় মেয়াদে জাতিসংঘ মহাসচিবের দায়িত্ব পাওয়ায় তাকে অভিনন্দন জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রথম মেয়াদে তার ‘বিচক্ষণতাপূর্ণ নেতৃত্বের’ প্রশংসা করেন। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের দিকে দৃষ্টি রাখায় জাতিসংঘ মহাসচিবকে ধন্যবাদ জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, মিয়ানমারের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমান্বয়ে খারাপ হচ্ছে। এ অবস্থায় মহাসচিবের ব্যক্তিগত উদ্যোগের বিশেষ প্রয়োজন। মিয়ানমারের ১১ লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যে মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব বৈঠকে তার প্রশংসা করেন।

 তিনি বলেন, ‘বিশ্বে সবচেয়ে বড় শরণার্থী ক্যাম্প চালানোর যে উদারতা বাংলাদেশ দেখাচ্ছে তা কখনো বিশ্ব ভুলবে না। বিবৃতিতে বলা হয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন এ সময় ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য গড়ে তোলা আশ্রয়ন প্রকল্পের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার কথা মহাসচিবকে অবহিত করেন এবং সেখানে জাতিসংঘকে সম্পৃক্ত করার ওপর জোর দেন। অন্যদিকে বাংলাদেশের সঙ্গে জাতিসংঘের ‘গভীর সম্পর্ক’ থাকার বিষয়টি তুলে ধরে মহাসচিব শান্তিরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন এবং নারী ক্ষমতায়নসহ জাতিসংঘের সব কাজে বাংলাদেশের ‘দৃঢ় নেতৃত্বের ভূমিকার প্রশংসা’ করেন জাতিসংঘ মহাসচিব। জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে সাক্ষাতের পর বৃহস্পতিবার বিকালে এ সংস্থার শান্তিরক্ষা ও রাজনৈতিক বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল রোজমেরি ডিকার্লোর সঙ্গে বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে এ মোমেন। সেখানে মিয়ানমারের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার ওপর তার প্রভাব নিয়ে আলোচনা হয় বলে মিশনের বিবৃতিতে জানানো হয়। দুই বৈঠকেই জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর