সোমবার, ২১ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা
গৃহহীনদের ৫৩ হাজার ঘর প্রদান

আওয়ামী লীগ সবসময় মানুষের পাশে থাকে : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগ সবসময় মানুষের পাশে থাকে : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গণভবনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ‘টাইগার মাল্টিপল লঞ্চ রকেট/ মিসাইল সিস্টেম’-এর অন্তর্ভুক্তি উপলক্ষে সিস্টেমের একটি রেপ্লিকা উপহার দেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ -পিআইডি

মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে বিনামূল্যে ভূমিহীন-গৃহহীন ৫৩ হাজার ৩৪০টি পরিবারকে গতকাল ঘর প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত জানুয়ারিতে প্রথম পর্যায়ে ৬৯ হাজার ৯০৪টি পরিবারকে ঘর প্রদানের পর আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও ৫৩ হাজার ৩৪০ পরিবারকে দুই শতক জমির মালিকানাসহ সেমিপাকা ঘর উপহার দিলেন তিনি। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারা দেশের ৪৫৯টি উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীন এসব মানুষকে ঘর দেওয়ার এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন এবং সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিরা প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে জমির দলিল ও ঘরের চাবি উপকারভোগীদের হাতে তুলে দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজকে যারা ঘর পেয়েছেন, তাদের কষ্ট দূর করা এবং তাদের মুখের হাসি আমার জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া। ক্ষমতা মানে ভোগবিলাস নয়, ক্ষমতা হলো মানুষের সেবা করা। মানুষের জন্য কাজ করা। তিনি বলেন, পুরো বাংলাদেশ আমি ঘুরেছি। গ্রামে-গঞ্জে, মাঠে-ঘাটে। আওয়ামী লীগ সবসময় মানুষের অধিকার নিয়ে পাশে থাকে। মানুষের জন্য কাজ করে। জাতির পিতা মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্ব দিয়েছেন। তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। তিনি বলেন, করোনার কারণে আমি যেতে না পারায়, আমার পক্ষ থেকে স্থানীয় সংসদ সদস্য, ডিসি এবং ইউএনও উপকারভোগীদের হাতে জমির দলিল ও ঘরের চাবি তুলে দেবেন। দলিলে জমির মালিকানা স্বামী ও স্ত্রীর যৌথ নামে করে দেওয়া হয়েছে। তাদের নামে স্থায়ী দলিলের পাশাপাশি নামজারি করে খাজনা দাখিলাও দেওয়া হয়েছে। সেমিপাকা ঘরে আছে দুটি রুম, একটি বড় বারান্দা, রান্নাঘর ও টয়লেট। পাশাপাশি সুপেয় পানি ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থাও আছে। এ ছাড়াও আত্মনির্ভরশীল করতে ওইসব পরিবারের সদস্যদের কর্মসংস্থানের জন্য নানা ধরনের প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। মুজিববর্ষে ‘বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’- প্রধানমন্ত্রীর এমন সিদ্ধান্তের আলোকে আজকের আশ্রয়ণের মধ্য দিয়ে গত ছয় মাসে মোট ১ লাখ ২৩ হাজার ২৪৪টি পরিবারকে ভূমি ও গৃহ প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়া গত বছর প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে সরকারের সিনিয়র সচিব ও সচিবরা তাদের নিজস্ব অর্থায়নে ১৬০টি পরিবারকে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সেমিপাকা গৃহনির্মাণ করে দিয়েছেন। তারও আগে জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবারকে বহুতল ভবনে একটি করে ফ্ল্যাট প্রদানের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ৪ হাজার ৪০৯টি পরিবারকে খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস গণভবন থেকে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। তিনি অনুষ্ঠানে ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে শেখ হাসিনা মডেল’ শীর্ষক একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন করেন। অনুষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রী চারটি উপজেলার উপকারভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময়ও করেন। একসঙ্গে এত মানুষকে বিনামূল্যে বাড়িঘর দেওয়ার ঘটনা পৃথিবীতে নজিরবিহীন উল্লেখ করে ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে আরও ১ লাখ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে বিনামূল্যে জমিসহ ঘর প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা এদেশের দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েছিলেন। মানুষ একটা যখন ঘর পায় তার মধ্যে যে আনন্দ, তার মুখে যে হাসি, এর থেকে বড় পাওয়া আর কিছু নয়। আমি মনে করি, আমার জন্য এর থেকে বড় পাওয়া আর কিছু হতে পারে না। যখন এই মানুষগুলো এই ঘরে থাকবে, তখন আমার বাবা-মার আত্মা শান্তি পাবে। লাখো শহীদের আত্মা শান্তি পাবে। 

বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ২১ বছর যারা ক্ষমতায় ছিলেন, তারা কেবল ‘লুটপাটের রাজনীতি’ করে গেছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরা ক্ষমতায় থেকে শুধু লুটপাটের রাজনীতি করে গেছে, দেশ ও জনগণের উন্নয়নের জন্য তাতে কোনো চিন্তাই ছিল না। জনগণের কল্যাণে কিছু করেনি। তিনি বলেন, মানুষের সেবক হিসেবে যখনই প্রথম সরকার গঠন করি, আমি ঘোষণা দিয়েছিলাম যে, জনগণের সেবক হিসেবেই আমরা নিজেকে তৈরি করেছি এবং সেভাবেই সাহায্য করে যাচ্ছি, সেবক হয়েই জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের লক্ষ্য দেশের সব ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষ ঘর পাবে, দেশে একটি মানুষও ঠিকানাবিহীন থাকবে না। এই মহতী কর্মকান্ডে প্রশাসনের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধিসহ অনেকেই এগিয়ে আসায় সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকারের কর্মকান্ডে উৎসাহিত হয়েই সচিব এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ বেসরকারি খাতেও অনেকে এগিয়ে এসে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। সবার ভিতরে এই চেতনা জেগেছে যে- ছিন্নমূল মানুষ যারা বস্তিতে, ফুটপাথে, রেললাইনের ধারে ঝড়-বৃষ্টিতে ভিজে মানবেতর জীবনযপন করছে সে যখন একটা আশ্রয় পায় তখন তার জীবনটাই বদলে যায়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা গুচ্ছগ্রাম নির্মাণের মাধ্যমে ভূমিহীনদের খাসজমি দেওয়া এবং তাদের জন্য গৃহনির্মাণের কাজ শুরু করেছিলেন। সেই থেকে যাত্রা শুরু। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে এই সীমিত আর্থিক সম্পদ নিয়েই আমার কিন্তু ছিন্নমূল মানুষ, গৃহহারা মানুষ, ভূমিহীন মানুষ- তাদের পুনর্বাসন কাজ শুরু করি। ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষকে স্থায়ী ঠিকানা দিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট থেকে ৫ কোটি টাকা অনুদান দিয়ে তহবিল চালু করা হয়। পরে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এগিয়ে আসেন। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত আমরা সরকারের প্রথম পাঁচ বছর, আর তারপর দ্বিতীয়বার এবং আজকে আমরা সরকারে আছি একটানা তৃতীয়বার। এর মধ্যে আমরা প্রায় ১০ লাখের ওপর মানুষকে গৃহনির্মাণ করে দিতে সক্ষম হয়েছি। জাতির পিতা এই দেশ স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। আমাদের লক্ষ্য তাঁর সৃৃষ্ট এই বাংলাদেশে একটি মানুষও গৃহহারা থাকবে না, ভূমিহীন থাকবে না। ‘আমাদের দেশটা দুর্যোগপ্রবণ একটি দেশ’- সে কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাজেই এই ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনকে ঘরবাড়ি করে দেওয়া এবং জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা করে দেওয়ার মাধ্যমে পুনর্বাসনের লক্ষ্য নিয়েই তাঁর সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এই ঘরবাড়ি নির্মাণে আমরা সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী- যাদেরই দায়িত্ব দিয়েছি, তারা অনেক আন্তরিকতার সঙ্গে সেই কাজগুলো করেছেন। তিনি বলেন, ছিন্নমূল মানুষকে একটা ঠিকানা করে দেওয়ার মাধ্যমে মাথা গোঁজার একটা ঠাঁই করে দেওয়ার এ প্রকল্পকে কেবল আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমেই নয়, ত্রাণ ও দুর্যোগ পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের নানাবিধ প্রকল্পের মাধ্যমেও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সরকারপ্রধান আরও বলেন, ঢাকা শহরে আমাদের যে বস্তিবাসী আছে, তারা ভাড়া দিয়েই যখন থাকবে তখন ভালোভাবে থাকুক। আমরা তাই বস্তিবাসীর জন্য ভাড়ায় থাকায় জন্য ফ্ল্যাট নির্মাণ করে দিচ্ছি। তাদের ভাড়া দিয়েই থাকতে হবে। যে টাকাটা তারা ভাড়া দেয় একটা বস্তির ঘরের জন্য, ঠিক সেই টাকাটাই তারা ভাড়া দেবে কিন্তু তারা থাকবে একটু ভালো পরিবেশে। সে প্রকল্পটাও আমরা নিয়েছি, খুব শিগগিরই পুনর্বাসন শুরু করে দেব। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এভাবেই সমাজের একেবারে নিম্নস্তরে পড়ে থাকা মানুষগুলো তাদের টেনে তোলা, তাদের মূল জনগণের সঙ্গে অন্তর্ভুক্তি করা, সেটাই আমরা করে যাচ্ছি, এটিই আমাদের লক্ষ্য। অর্থাৎ অর্থনৈতিক নীতিমালায় আমাদের প্রথম কাজ হচ্ছে একেবারে গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত তৃণমূল মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়া। অর্থ সংগ্রহ করে তাদের জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা করা, তাদের বাসস্থান শিক্ষা চিকিৎসা স্বাস্থ্যের ব্যবস্থা করা- এই নীতিমালাটিই হচ্ছে আমাদের আওয়ামী লীগের নীতি। এটিই আমাদের জাতির পিতা শিক্ষা দিয়েছেন এবং সেই নীতিমালা নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। যার শুভফলটা পাচ্ছে এদেশের মানুষ। সমাজে একেবারে হতদরিদ্র মানুষ তারা কিন্তু আস্তে আস্তে নিজের পায়ে দাঁড়াতে শিখছে, উঠে আসছে এবং সেটিই আমাদের লক্ষ্য। প্রধানমন্ত্রী এ সময় চলমান করোনা মহামারীতে দেশবাসীকে যথাযথ স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিধি মেনে চলার জন্য পুনরায় আহ্বান জানিয়ে বলেন, কভিড-১৯ সহসাই যাচ্ছে না। তাই সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করুন। যাতে এই ভাইরাস একজনের কাছ থেকে অপরজনকে সংক্রমিত করতে না পারে। পাশাপাশি তিনি সরকারের টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত রাখা এবং আরও জোরেশোরে শুরু করার কথা উল্লেখ করে বলেন, সবাই আল্লাহর কাছে দোয়া-প্রার্থনা করুন, বাংলাদেশসহ বিশ্ববাসী যেন এই করোনা থেকে মুক্তি পায়। প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানের উদ্বোধনের পর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের কালাপুর ইউনিয়নের মাইজদিহি গ্রাম, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বেতাগী ইউনিয়ন এবং শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার উপকারভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এসময় উপকারভোগীরা বিশাল প্রাপ্তির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু কামনা করে বক্তব্য রাখেন। এ ছাড়া দেশের আরও ৪৫৫টি উপজেলা ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিল।

অত্যাধুনিক রকেট সিস্টেম পেল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী : বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে আধুনিক টাইগার মাল্টিপল লঞ্চ রকেট/মিসাইল সিস্টেম (টাইগার এমএলআরএস) প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ উপলক্ষে গতকাল দুপুরে সাভার সেনানিবাসের মিলিটারি পুলিশ সেন্টার অ্যান্ড স্কুলে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সেনাবাহিনীর একটি আর্টিলারি ইউনিটকে অন্তর্ভুক্তিকরণ সনদ প্রদান করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবর্তিত বিশ্বের নিরাপত্তা ব্যবস্থার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সর্বোচ্চ পেশাদারি দক্ষতা ও উৎকর্ষতা অর্জনে মনোযোগী হওয়ার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্যের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অতীতের সাফল্য অব্যাহত রেখে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি যে কোনো ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলায় সর্বদা প্রস্তুত থাকবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতার হাত ধরেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পুনর্গঠন শুরু হয়। তাঁর অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়নে আওয়ামী লীগ সরকার যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই সেনাবাহিনীর আধুনিকায়ন এবং সম্প্রসারণে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বঙ্গবন্ধু প্রণীত ‘প্রতিরক্ষা নীতি ১৯৭৪’ এর ভিত্তিতে বর্তমান সরকার নতুন করে ‘প্রতিরক্ষা নীতি ২০১৮’ এবং ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ প্রণয়ন করে যার বাস্তবায়নে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, আধুনিক ও উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বর্তমান সরকার বিভিন্ন মেয়াদে সেনাবাহিনীতে অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্র, সেনা বিমান ও হেলিকপ্টারসহ মর্ডান ইনফ্যান্ট্রি গেজেট, বিভিন্ন আধুনিক ইঞ্জিনিয়ারিং সরঞ্জামাদি ইত্যাদি সংযোজন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সামাজিক সেবায় অবদান রেখে যাচ্ছে। তেমনি অবকাঠামোগত উন্নয়নেও আমাদের সেনাবাহিনী অবদান রেখে যাচ্ছে। পাশাপাশি বিশ্বশান্তি রক্ষায় অবদান রেখে যাচ্ছে। করোনাকালের এই মহামারী মোকাবিলায় সম্মুখসারির যোদ্ধা হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে আমাদের সেনাবাহিনী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে আজ যুক্ত হচ্ছে এনএমআরএস আধুনিক টাইগার মাল্টিপল মিসাইল, যা টাইগার এমএনআরএস নামে পরিচিত। আধুনিক এই যন্ত্রটি আমাদের সেনাবাহিনীকে অনেক শক্তিশালী করবে, মনোবল ও আত্মবিশ্বাস বাড়াবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর