বুধবার, ২৩ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

ঢাকায় ৭১ চট্টগ্রামে ৫৫ শতাংশ বস্তিবাসীর শরীরে অ্যান্টিবডি

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের দুই মহানগরীর ঢাকা ও চট্টগ্রামে বস্তি ও বস্তিসংলগ্ন এলাকার সোয়া ৩ হাজার মানুষের নমুনা পরীক্ষা করে অধিকাংশের শরীরে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডি পাওয়ার কথা জানিয়েছে আইসিডিডিআরবি। এর মধ্যে ঢাকায় অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে ৭১ শতাংশের নমুনায়; চট্টগ্রামে এ হার ৫৫ শতাংশ।

অর্থাৎ বস্তিবাসীদের এ অংশ কোনো না কোনো সময় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন অথবা কোনো না কোনোভাবে করোনাভাইরাসের সংস্পর্শে এসেছিলেন। এর ফলে তাদের শরীরে ওই ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রাকৃতিক সুরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে। গতকাল এক ওয়েবিনারে নতুন গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করে আইসিডিডিআরবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত বছরের অক্টোবর থেকে এ বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ঢাকা এবং চট্টগ্রামের বস্তি এবং বস্তি সংলগ্ন এলাকার মানুষের এ মধ্যে গবেষণা চালানো হয়। গবেষণায় গৃহস্থালি পর্যায়ে সাক্ষাৎকার গ্রহণ, রক্তচাপ পরীক্ষা ও পুষ্টি পরিস্থিতি জানার পাশাপাশি মোট ৩ হাজার ২২০ জনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আইসিডিডিআরবির প্রধান গবেষক ডা. রুবহানা রাকিব এবং ড. আবদুর রাজ্জাক এ গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করেন। আইসিডিডিআরবি বলছে, এ গবেষণার মূল উদ্দেশ্য ছিল বস্তি এবং বস্তির বাইরে বসবাসকারীদের রক্তে কভিড-১৯ এর উপস্থিতি এবং তার সম্ভাব্য কারণ নির্ণয় করা। ফলাফল বিশেষণ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩ হাজার ২২০ জন অংশগ্রহণকারীর মধ্যে চট্টগ্রামের তুলনায় ঢাকায় সেরোপজিটিভিটির হার বেশি। ঢাকায় ৭১ শতাংশ এবং চট্টগ্রামে তা ৫৫ শতাংশ। বস্তিতে এ হার ৭২ শতাংশ, আর বস্তি সংলগ্ন এলাকায় ৬২ শতাংশ।

অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বয়স্ক ও তরুণদের সেরোপজিটিভিটির হার প্রায় সমান। নারীদের মধ্যে সেরোপজিটিভিটির হার ৭০ দশমিক ৬ শতাংশ যা, পুরুষদের ৬৬ শতাংশের তুলনায় বেশি। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যে ২ হাজার ২০৯ জনের নমুনায় ভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে, তাদের মধ্যে কেবল ৩৫ দশমিক ৫ শতাংশের বেলায় করোনাভাইরাসের মৃদু উপসর্গ দেখা দিয়েছিল। আইসিডিডিআরবি জানিয়েছে, বস্তির বাইরে বা বস্তিসংলগ্ন এলাকার নিম্ন-মধ্যম আয়ের মানুষের তুলনায় বস্তিতে করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডি সেরোপ্রিভ্যালেন্স বেশি। আইসিডিডিআরবির নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমিদ আহমেদ বলেন, তাদের এ গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিলে করোনাভাইরাসের ঝুঁঁকি এড়ানো যায়। মানুষকে কায়িক পরিশ্রম করতে হবে, ব্যয়াম করতে হবে। করোনাভাইরাস থেকে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর