বৃহস্পতিবার, ২৪ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

সরকারি কর্মকর্তাদের সামাজিক ক্লাবে প্রেসিডেন্ট হতে বাধা কোথায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকারি কর্মকর্তারা কোনো সামাজিক বা পেশাজীবী ক্লাব, প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালন করতে পারেন কি না তা নিয়ে সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায় বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলছে। জাতীয় সংসদেও এই নিয়ে আলোচনায় অংশ নিয়েছেন সংসদ সদস্যরা।

 খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারি বিধি অনুযায়ী অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের সভাপতি বা অন্য কোনো পদে থাকতে বাধা নেই। এই কারণে সরকারি কর্মকর্তাদের অনেকে বিভিন্ন ক্লাবেও সভাপতিসহ অন্যান্য পদে নির্বাচিত হওয়ার অনেক দৃষ্টান্ত আছে। চট্টগ্রাম বোট ও ঢাকা বোট ক্লাব, বিভিন্ন গল্ফ ক্লাব, অফিসারস ক্লাবসহ অনেক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে রয়েছেন সরকারি কর্মকর্তারা। এ ছাড়া কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ ক্লাবের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন জেলা প্রশাসকরা। অনেক জেলায় প্রেস ক্লাবের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন জেলা প্রশাসক। অনেক উপজেলায় প্রেস ক্লাবের সভাপতির দায়িত্বেও পালন করছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। এতে কোনো আইনগত  বাধা নেই। তাই দীর্ঘদিন থেকেই সামাজিক ও পেশাজীবী ক্লাবের দায়িত্ব পালন করছেন অনেক সামরিক বেসামরিক সরকারি কর্মকর্তারা। এমনকি ঢাকা ক্লাবের নির্বাচনেও প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন একজন সচিব। অবশ্য ভোটে তিনি পরাজিত হন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহিদ খান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সামাজিক ক্লাবের সভাপতি পদে থাকতে সরকারি চাকরিজীবীদের বাধা নেই। কোনো রুল বলে না যে, তিনি কোনো সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হতে পারবেন না। আমাদের অফিসার্স ক্লাব রয়েছে। ময়মনসিংহ বা কিশোরগঞ্জ ক্লাব যেটা আছে, সেগুলো মূলত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্লাব। সেখানে জেলা প্রশাসক পদাধিকারবলে সভাপতি থাকেন। যেমন পুলিশে পুলিশ ক্লাব’ আছে, কাস্টমসের কাস্টমস ক্লাব’ আছে এগুলো হলো এক ধরনের ক্লাব।

তিনি বলেন, আইনগত কোনো বাধা না থাকলেও আমাদের নিজেদের বের করে নিতে হবে সরকারি কর্মকর্তা থাকা অবস্থায় আমরা কোনো ধরনের ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত হতে পারব। আর কোনো ধরনের ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত হতে পারব না। তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের কোনো ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত হতে খেয়াল রাখতে হবে কিছু বিষয়। যেমন ক্লাবে মদ বেচাকেনা হয় কি না। ক্লাবটা ব্যবসার জন্য গড়ে তোলা হচ্ছে কি না। ক্লাবে অনৈতিক কোন কাজ হয় কি না। যারা বির্তক সৃষ্টি করতে পারে তাদের ক্লাবে ঢুকতে দেওয়া হয় কি না। মধ্যরাত পর্যন্ত ক্লাব খোলা থাকে কি না। ঢাকা ক্লাব ১১ টার সময় বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের ক্লাব (অফিসার্স ক্লাব) ১০/১১টায় বন্ধ হয়ে যায়। এই সব বিষয় চিন্তা করে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঠিক করতে হবে তারা ক্লাবের মেম্বার হবেন কি না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর