বৃহস্পতিবার, ২৪ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

এনআইডি সেবা টেবিল চেয়ার নয় যে উঠিয়ে নিয়ে গেলাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

এনআইডি সেবা টেবিল চেয়ার নয় যে উঠিয়ে নিয়ে গেলাম

সরকার ইতিমধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন কার্যক্রম স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করলেও এ বিষয়ে আলোচনা করার ওপর জোর দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। তিনি বলেছেন, আলোচনা করতে হবে। কীভাবে নেবে না নেবে অবশ্যই তা নিয়ে আলোচনা হবে। এটা তো টেবিল চেয়ার নয় যে উঠিয়ে নিয়ে  গেলাম। এর পরে সরকার কী সিদ্ধান্ত... কী দেবে না দেবে তা পরের কথা। গতকাল আগারগাঁওয়ের নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠান শেষে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হন প্রধান নির্বাচন কমিশনার নূরুল হুদা। বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, আমাদের চিঠি পাঠিয়েছে, এটা নিয়ে যেতে চায়। এর পরও আমাদের সঙ্গে তাদের কথা বলতে হবে। আলোচনার জায়গা থাকছে। এটা তো বড় প্রতিষ্ঠান, এটা বড় ধরনের কমপ্লিকেটেড বিষয়। সিইসির মতে, সরকারের রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী সুরক্ষা সেবা বিভাগের দায়িত্বে এনআইডি কার্যক্রম যুক্ত করে প্রয়োজনীয় সংশোধন এনে প্রজ্ঞাপন জারির পরও আলোচনার সুযোগ রয়েছে। ইসির যে দক্ষ লোকবল রয়েছে তাদের দিয়ে সেবাটা দিতে পারি, এটা আমাদের যুক্তি। ইভেনচুয়ালি কী হবে না হবে তা তো এখন বলা যাবে না। এক যুগ আগে নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার শুরু থেকেই এ কাজ নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে চলছিল। ইসির আপত্তির মধ্যেই সম্প্রতি সে দায়িত্ব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের হাতে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে সরকার। বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও ইসির মধ্যে চিঠি চালাচালি চলছে।

 এনআইডি কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে দেওয়ার বিষয়ে মে মাসের মাঝামাঝি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একটি চিঠি নির্বাচন কমিশনে পাঠায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। তখনই বিষয়টি নিয়ে আপত্তি ওঠে ইসিতে। আগের মতোই তা ইসির অধীনে রাখার পক্ষে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জুনের প্রথম সপ্তাহে চিঠি দেওয়া হয়। সর্বশেষ ২১ জুন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ইসি সচিবালয়কে আরেকটি চিঠি দেয়।

তাতে বলা হয়, সরকার জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম ‘আইনানুগভাবে’ নির্বাচন কমিশন থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ অবস্থায় ইসি যেন নির্দেশনাগুলো যথাযথভাবে প্রতিপালন করে।

এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে সিইসি বলেন, নিশ্চয় সচিব পর্যায়ে এ বিষয়ে কথাবার্তা হবে। ক্যাবিনেট থেকে আমরা চিঠি পেয়েছি। তাদের আমরা উত্তর দিয়েছি। আমরা এই পর্যায়ে আছি। যদি এ বিষয়ে আমাদের কাছে মতামত, পরামর্শ বা তারা কী করতে চায় তারা আনুষ্ঠানিকভাবে কমিশনের সচিবের সঙ্গে বসে, তখন আমাদের বক্তব্য তুলে ধরা হবে। নির্বাচন কমিশন ২০০৭-০৮ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকার কাজ শুরু করে। বর্তমানে দেশের ১১ কোটি ১৭ লাখের বেশি নাগরিক ভোটার তালিকাভুক্ত। ভোটার তালিকার সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার কাজটিও হয় ইসির মাধ্যমে। ২০১০ সালে ইসির অধীনে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ একটি আইনগত ও প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি পায়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর