মঙ্গলবার, ২৯ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

গণপরিবহন বন্ধে ভোগান্তিতে কর্মজীবী মানুষ

► দু-তিন গুণ ভাড়া দিয়ে যেতে হয় কর্মস্থলে ► বিকল্প পরিবহন সংকটে অফিসগামী যাত্রীরা ► ঢাকা ছাড়া মানুষের চাপ ছিল ঘাটে ঘাটে

নিজস্ব প্রতিবেদক

গণপরিবহন বন্ধে ভোগান্তিতে কর্মজীবী মানুষ

রাজধানীতে গতকাল ছিল দীর্ঘ যানজট -বাংলাদেশ প্রতিদিন

গণপরিবহন বন্ধ থাকায় গতকাল দিনভর চরম দুর্ভোগে পড়েন কর্মজীবী মানুষ। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী গতকাল সকাল থেকেই গণপরিবহন, শপিং মল, দোকানসহ সব বিপণিবিতান বন্ধ ছিল। কিন্তু সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিল্প-কারখানা, গার্মেন্টসহ অন্যান্য অফিস, ব্যাংক-বীমাসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান খোলা ছিল। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েন কর্মজীবীরা।

গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বিকল্প পরিবহন বিশেষ করে সিএনজি, রিকশা, অটোরিকশায় দি¦গুণ, কোথাও কোথাও তিন গুণ ভাড়া দিয়ে কর্মক্ষেত্রে যেতে হয় মানুষের। সেই সঙ্গে বিকল্প পরিবহন কম থাকায় দুর্ভোগও পোহাতে হয় যাত্রী সাধারণের।

সকাল থেকে রাজধানীর বাড্ডা, রামপুরা, মৌচাক, শাহবাগ, ফার্মগেট, গাবতলী, মিরপুর, শ্যামলীসহ বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে অফিসগামীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গণপরিবহন না চলায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় অপেক্ষা করতে হয়েছে অনেককে। মাঝে মাঝে দু-একটি সিএনজি অটোরিকশা বা রাইড শেয়ারিংয়ের গাড়ি দেখা মিললেও প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম ছিল। অনেকেই হুড়োহুড়ি করে বিকল্প পরিবহনে ওঠেন। ভাড়াও গুনতে হয় দি¦গুণের বেশি। গতকালও ছিল ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ। ঢাকার বিভিন্ন প্রবেশমুখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়াকড়ি উপেক্ষা করেই রাজধানী ছাড়তে দেখা যায় অনেককে। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া, বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ঘরমুখো মানুষের চাপ ছিল প্রচ-।  অভিযোগ উঠেছে, ৩-৪ গুণ ভাড়া গুনে বাংলাবাজার ঘাটে পৌঁছেন যাত্রীরা।

নিজস্ব প্রতিবেদক ও জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

মাদারীপুর : শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে প্রতিদিনই বাড়ছে যাত্রীদের চাপ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীর চাপ আরও বৃদ্ধি পায়। সকালে দক্ষিণাঞ্চলমুখী যাত্রীদের ভিড় ছিল অনেক বেশি। সেই তুলনায় ঢাকাগামী যাত্রীদের চাপ ছিল সহনীয় পর্যায়ে। লঞ্চ বন্ধ থাকায় ফেরিতেই যাত্রীরা গাদাগাদি করে পদ্মা পাড়ি দেন। ফলে ঘাট এলাকা বা ফেরিতে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বালাই দেখা যায়নি কোথাও। অনেককেই দেখা গেছে মাস্কবিহীন। যাত্রী ও যানবাহনগুলোকে পারাপারের অপেক্ষায় ঘাটে আটকে থাকতে দেখা যায়।

জানা যায়, দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে যাত্রীরা মোটরসাইকেল, থ্রি-হুইলার, ইজিবাইকসহ বিভিন্ন হালকা যানবাহনে ৩-৪ গুণ ভাড়া দিয়ে বাংলাবাজার ঘাটে আসেন। ফেরিতে পদ্মা পাড়ি দিয়ে আবার হালকা যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ঢাকায় পৌঁছেন। লকডাউনের সপ্তম দিনেও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুট হয়ে যাত্রীদের ভিড় ছিল। ঘাট এলাকা বা ফেরিতে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো লক্ষণই দেখা যায়নি। বিআইডব্লিউটিসি কাঁঠালবাড়ী ঘাটের ম্যানেজার মো. সালাউদ্দিন মিয়া জানান, পণ্যবাহী ট্রাকের সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য ব্যক্তিগত যানবাহন চলাচলও স্বাভাবিক রয়েছে। তবে ১৬টি ফেরি চালু  রয়েছে।

মানিকগঞ্জ : কঠোর লকডাউন ঘোষণার পর শহর ছেড়ে বাড়ি ফিরছেন লোকজন। গতকালও বিপুলসংখ্যক মানুষ ঢাকা আরিচা মহাসড়ক হয়ে গন্তব্যে যান। যাত্রীবাহী পরিবহন বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েন যাত্রীরা। ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ও হেমায়েতপুর সিংগাইর-মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কে কোনো পরিবহন চলাচল করছে না। ফলে এ সড়কেও পরিবহন না থাকায় লোকজন বিভিন্ন মাধ্যমে যাতায়াত করছে। তবে এই দুই রাস্তায় পণ্যবাহী ট্রাকসহ প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেল, ভ্যান, রিকশা, হ্যালোবাইক ছোট যানবাহন চলাচল করছে। যাত্রীরা বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেল, ভ্যান, রিকশা হ্যালোবাইকসহ বিভিন্ন পন্থায় গন্তব্যে যান। গতকাল সারা দিনই সড়ক-মহাসড়কে পাটুরিয়াগামী লোকজনের চাপ দেখা যায়। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার লোকদের যাতায়াতের অন্যতম পথ হচ্ছে পাটুরিয়া দৌলতদিয়া নৌপথ। ঘাটে তেমন চাপ নেই। লোকজন সহজেই ফেরিতে পার হতে পারছেন। পরিবহন না থাকায় রাস্তায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। পুলিশ লকডাউন বাস্তবায়ন করতে কাজ করে যাচ্ছে। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়েই রাস্তায় চলাচল করছে বিভিন্ন যানবাহন। কঠোর বিধিনিষেধের কারণে শহরের বড় বড় মার্কেট ও বিপণিবিতানগুলো বন্ধ ছিল। তবে ছোট ছোট দোকানপাট খোলা রয়েছে। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং আরিচা কাজিরহাট নৌরুটে প্রয়োজনীয় ফেরি দিয়ে পণ্যবাহী ট্রাক অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি কাজে ব্যবহৃত যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। তবে এই দুই নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। বিআইডব্লিউটিসির আরিচা অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক জিল্লুর রহমান বলেন, পরিবহন না থাকায় ঘাঠে কোনো চাপ নেই। বেলা ১২টার পর যানবাহনের জন্য ফেরি বসে থাকে। এই নৌরুটে ১৪টি ফেরি চলাচল করছে। 

মুন্সীগঞ্জ : সকাল থেকেই লকডাউন বিধি উপেক্ষা করে শিমুলিয়া ঘাটে উপস্থিত হওয়া দক্ষিণবঙ্গগামী যাত্রী পারাপার হন। হাইওয়ে দিয়ে সিএনজি, লেগুনা ও অটো চলাচল করছে এখনো। ফলে যাত্রীরা অনায়াসেই মাওয়া-শিমুলিয়া ঘাটে এসে পৌঁছে যাচ্ছে দ্রুত। যাত্রীর চাপ ও ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ থাকায় দিনভর ব্যাহত হয় পণ্যবাহী গাড়ি পারাপার। ফলে ঘাট এলাকায় একদিকে তৈরি হয় এসব গাড়ির দীর্ঘ সারি, অন্যদিকে ভোগান্তিতে পড়েন শত শত ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানচালক। ১৮ থেকে ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় অপেক্ষা করেও ফেরিতে উঠতে পারেননি এসব গাড়ির চালক। ফেরিতে ওঠার অপেক্ষায় রয়েছে ব্যক্তিগত প্রাইভেট কারসহ ৪ শতাধিক ট্রাক। এর মধ্যে কোনো চালক ৮ ঘণ্টা, কেউ ১৮ ঘণ্টা আবার অনেকে ২৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করেও ফেরিতে উঠতে পারেননি। লকডাউনে দোকান বন্ধ থাকায় খাবার ও বিভিন্ন সমস্যা পোহাতে হয়েছে তাদের। বিশেষ করে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে তাদের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।

রাজবাড়ী : গতকাল দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় দেখা যায়, স্বাভাবিকভাবে নৌরুট দিয়ে পণ্যবাহী পরিবহন পারাপার করছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ। পণ্যবাহী পরিবহনের সঙ্গে যাত্রীবাহী প্রাইভেট কার, আ্যম্বুলেন্স ও বেশ কিছু যাত্রী পারাপার হচ্ছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. ফিরোজ শেখ বলেন, দৌলতদিয়া ফেরিঘাট দিয়ে ঢাকামুখী যাত্রীর কোনো চাপ নেই। ঢাকা থেকে সেভাবে যাত্রী দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে আসেনি। তবে পণ্যবাহী যানবাহন পারাপারের জন্য নৌরুটে ১৪টি ফেরি চলাচল করছে।

গাজীপুর : গাজীপুরের সড়ক-মহাসড়কের লকডাউনের মধ্যেও নানা বয়সী নানা শ্রেণি-পেশার লোকজন দূর-দূরান্তের সঙ্গে আসা-যাওয়া করছেন। ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে সিএনজি অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ইজিবাইকসহ হালকা যানবাহনের পাশাপাশি পিকআপভ্যান এবং ট্রাকে চড়ে যাচ্ছেন দূর-দূরান্তে। কালিয়াকৈরের চন্দ্রায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক দিয়ে গতকাল সকালে কিছু কিছু গণপরিবহন সকাল থেকে চলাচল করতে দেখা গেছে। একইভাবে খোলা থাকা শিল্পপ্রতিষ্ঠানের অনেকেই তাদের কর্মস্থলে যাচ্ছেন এসব হালকা যানবাহনে। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের রাজেন্দ্রপুর এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে প্রয়োজন ছাড়া কোনো যানবাহন ঢাকামুখী প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের চেকপোস্টে কড়াকড়ি দেখা গেছে, গাড়ি ঘুরিয়ে দিয়েছে। প্রায় প্রতিটি গাড়িকেই জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

নারায়ণগঞ্জ : ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সাইনবোর্ড, শিমরাইল চিটাগাং রোডের ফুটপাথ দিয়ে হাজার হাজার মানুষ হাঁটছে, আবার কেউবা অপেক্ষায় গণপরিবহনের। এর মধ্যে বেশির ভাগ মানুষ প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস ও পিকআপভ্যানে করে ছুটছে গ্রামের বাড়ি। অ্যাম্বুলেন্সও ভাড়া করেছেন অনেকে। সাইনবোর্ডে হায়েস গাড়িতে জ্যামে পড়া যাত্রী নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ার ফল ব্যবসায়ী তোহা মিলন জানান, ফেনী যাচ্ছি তিন গুণ ভাড়া দিয়ে। পরিবার আগেই পাঠিয়ে দিয়েছি। ফল আর আসবে না। আগামী ১ জুলাই থেকে কোনো গাড়ি আসবে না ফলের। বেকার বসে থাকব। এর মধ্যে ঈদ আসছে। আর সরকার ছুটি নাও দিতে পারে। এই লকডাউন ঈদের আগে আর থামবে না। তাই আগামী বৃহস্পতিবারের আগেই দেশের বাড়ি যাইতেই হবে। নইলে নারায়ণগঞ্জে কাজ না করে না খাইয়া থাকতে হবে। পুরো পরিবার নিয়ে যানবাহনের অপেক্ষায় শত শত মানুষকে রাস্তায় দেখা গেছে। পিকআপভ্যান বা ট্রাক আসলেই গাদাগাদি করে দৌড়ে প্রতিযোগিতা করে উঠছে মানুষ। মূলত মানুষের মধ্যে মূল আতঙ্ক লকডাউনে কাজ না থাকলে শহরে থেকে গেলে না খেয়ে মরতে হবে। এর চেয়ে গ্রামের বাড়ি ভালো।

চট্টগ্রাম : করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ার কারণে চট্টগ্রামে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় পথে পথে ভোগান্তিতে পড়েছে অফিসগামী সাধারণ যাত্রীরা। গতকাল নগরীর বিভিন্ন মোড়ে রিকশার আধিপত্যের পাশাপাশি যাত্রীদের ভোগান্তিও দেখা গেছে। সীমিত পরিসরে লকডাউন চলাকালে রাস্তায় দেখা গেছে কিছু কিছু প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেলও। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে কঠোর হয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যে ১২টি টিম এবং প্রতিটি উপজেলায় তিনটি করে টিম দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অমান্য করলেই কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে  বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা। তাহের নামে এক রিকশা যাত্রী বলেন, লকডাউনে নগরীতে রিকশা আর রিকশা। গণপরিবহন না থাকায় রিকশা ভাড়া বেড়ে যায় কয়েক গুণ। নিরুপায় হয়ে চড়তে হচ্ছে রিকশায়। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যঝুঁকি কমানোর কথা বললেও দুর্ভোগ শতগুণে বেড়েছে। হাজার হাজার মানুষের এই দুর্ভোগ দেখার কেউ নেই। বেসরকারি ব্যাংকের কর্মী মিনহাজ বলেন, লকডাউনে মানুষ কষ্টের মধ্যে পড়েছে। গণপরিবহন বন্ধ, কিন্তু অফিস খোলা। মানুষ কীভাবে যাতায়াত করবে? আবার বলা হচ্ছে, যাদের অফিস খোলা থাকবে তারা অফিসের নিজস্ব পরিবহন ব্যবহার করবেন। যেসব প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব পরিবহন নেই তারা কীভাবে যাবে, সে চিন্তা কেউ করে না। দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে রিকশায় যেতে হচ্ছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনে সাধারণের তুলনায় চাহিদা বেড়েছে রিকশার। বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, জিইসি, চকবাজার, অক্সিজেন, নিউমার্কেট, আগ্রাবাদ, ২ নম্বর গেট, লালখান বাজার, দেওয়ানহাট, একে খান মোড়, কর্ণফুলী ব্রিজসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে গণপরিবহনের জন্য অপেক্ষারত অগণিত মানুষের ভিড় দেখা যায়। এদের মধ্যে বেশির ভাগই অফিসগামী। গন্তব্য একই স্থানে হওয়ায় অনেককে ভাড়া ভাগাভাগি করেও রিকশায় উঠতে দেখা গেছে। কেউ কেউ পণ?্য পরিবহনের ভ্যান ও মালবাহী পিকআপে দাঁড় করানোর চেষ্টা করেন অফিসে যাওয়ার জন্য। আবার অনেকে প্রাইভেট কার দেখলেই চেষ্টা করেছেন রাইড নেওয়ার।

বরিশাল : লকডাউনের কারণে বরিশাল থেকে অভ্যন্তরীণ এবং দূরপাল্লা রুটের লঞ্চ এবং বাস বন্ধ রয়েছে। এ কারণে জরুরি প্রয়োজনে যারা বিভিন্ন গন্তব্যে যাচ্ছেন তারা পড়েন ভোগান্তিতে। স্থানীয় বিভিন্ন যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়ায় স্বল্প দূরত্বে যাচ্ছেন তারা। লকডাউন বাস্তবায়নে কঠোর ভূমিকায় রয়েছে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে করোনা সুরক্ষাসামগ্রী বিতরণ এবং জনসচেতনতা সৃষ্টিতে অভিযান চালানো হয়েছে। এদিকে ফাঁকফোকর গলে ব্যাটারিচালিত কিছু রিকশা, অটোরিকশা এবং থ্রি-হুইলার চলাচল করছে। দ্বিগুণ-তিন গুণ ভাড়া দিয়ে বিভিন্ন গন্তব্যে যাচ্ছেন জরুরি প্রয়োজনে রাস্তায় নামা মানুষ। প্রয়োজনীয় সংখ্যক যানবাহন না পাওয়ায় হেঁটেও গন্তব্যে যাচ্ছেন অনেকে। চরম দুর্ভোগের শিকার হন তারা।

সর্বশেষ খবর