বুধবার, ৩০ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা
সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ব্যবস্থা হয়ে গেছে, জুলাই থেকে ফের গণটিকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ব্যবস্থা হয়ে গেছে, জুলাই থেকে ফের গণটিকা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা দেশের সব নাগরিককে বিনামূল্যে টিকা দেব বলে ঘোষণা করেছি। টিকা সংগ্রহে যত টাকাই প্রয়োজন হোক না কেন, সরকার তা দেবে। তিনি বলেন,  টিকার ব্যবস্থা হয়ে গেছে, জুলাই মাসে আরও টিকা আসবে, তখন গণটিকা শুরু হবে। গতকাল জাতীয় সংসদে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় সংসদ নেতা এসব কথা বলেন। বেলা ১১টায় জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়।  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, করোনার টিকা নিয়ে যখন গবেষণা চলছিল, তখন থেকেই বাংলাদেশ টিকার জন্য যোগাযোগ শুরু করেছিল। ভারতে হঠাৎ সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ভারত টিকা রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এতে বাংলাদেশ সাময়িকভাবে সমস্যায় পড়েছে। কিন্তু এখন টিকার ব্যবস্থা হয়ে গেছে। এখন আর কোনো সমস্যা হবে না। চীন, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্রসহ ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী সব কোম্পানির সঙ্গে সরকারের যোগাযোগ অব্যাহত আছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, জুলাই মাস থেকে আরও ভ্যাকসিন আসবে। ব্যাপকভাবে ভ্যাকসিন প্রদান শুরু হবে।

সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেন, টিকা কেনার জন্য বাজেটে ১৪ হাজার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বিভিন্ন উৎস থেকে ইতিমধ্যে ১ কোটি ১৪ লাখ ৬ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন সংগ্রহ করা হয়েছে। যারা বিদেশ যাচ্ছেন, তাদের আগে টিকা দেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যাতে বিদেশে গিয়ে তাদের কোয়ারেন্টাইন করতে না হয়। স্বাস্থ্য খাতকে সবচেয়ে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, গত বছর আমরা করোনার প্রথম ঢেউ সফলভাবে মোকাবিলা করেছি। সেই অভিজ্ঞতায় দ্বিতীয় ঢেউয়ে আমরা দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। মহামারী মোকাবিলা করে জনস্বাস্থ্য ও জনজীবন সুরক্ষিত করতে আমরা সক্ষম হব। করোনা নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য খাতে অতিরিক্ত বরাদ্দ, প্রণোদনা ও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থার কথা জানান সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, করোনা মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ এখনো বিদ্যমান থাকায় যে কোনো জরুরি চাহিদা মোকাবিলায় আমরা এই বাজেটে ১০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দ রেখেছি। দ্রুততম সময় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ১০ হাজার চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংগ্রহ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। ভবিষ্যতে স্বাস্থ্য খাতে অভিঘাত থেকে মুক্তি পেতে সমন্বিত বিজ্ঞান গবেষণা ও উন্নয়ন তহবিল গঠন করা হয়েছে। বাজেটে এই খাতে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। করোনার সংক্রমণ ও অভিঘাত মোকাবিলায় সরকারের নেওয়া নানা উদ্যোগের বিস্তারিত তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব সত্ত্বেও সরকারের পদক্ষেপে আমাদের অর্থনীতি পূর্ণাঙ্গভাবে পুনরুদ্ধারের পথে রয়েছে। জনগণকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, জীবন-জীবিকার সুরক্ষা দেওয়া এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে কোনো উদ্যোগ নেওয়ার প্রয়োজন হলে দ্রুততার সঙ্গে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব। মানুষের পাশে আমরা দাঁড়াব।

বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একদিকে সারা বিশ্ব করোনায় আক্রান্ত, অপরদিকে আমাদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। আমরা জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছি। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছি। একই সময় বাংলাদেশকে আমরা উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করতে পেরেছি। এই তিনটি গৌরবময় অধ্যায়ের মাঝে করোনায় জর্জরিত। তিনি বলেন, মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব সত্ত্বেও সরকারের পদক্ষেপে আমাদের অর্থনীতি পূর্ণাঙ্গভাবে পুনরুদ্ধারের পথে রয়েছে।

শিক্ষার্থীদের টিকা দিয়ে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হবে : কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের করোনা টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, টিকা কর্যক্রম সম্পন্ন হলে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হবে। আর করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান?খুলে দেওয়া হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশ মতো ভ্যাকসিন দেওয়ার বয়সের একটি সীমাবদ্ধতা রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্কুল থেকে শুরু করে উচ্চ শিক্ষায় যারা আছে, সবাই যেন ভ্যাকসিন পায় এবং দ্রুত যেন আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে পারি ; সেই ব্যবস্থা নেব। সরকার শিক্ষাকে সব থেকে গুরুত্ব দেয় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নসহ সার্বিক মানবসম্পদ উন্নয়নকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বাজেটে।

করোনাকালে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত থাকার প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, করোনা মহামারীর প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের পাঠ্যক্রমের ধারাবাহিকতা রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। ‘আমার গৃহ আমার স্কুল’, ‘ঘরে বসে শিখি’সহ সংসদ টেলিভিশনের মাধ্যমে দূরশিক্ষণের কার্যক্রম চলছে। বাংলাদেশ বেতার, কমিউনিটি রেডিও এবং অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে। এতে করে প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থীর দীর্ঘ এক বছর শিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত রাখা সম্ভবপর হয়েছে। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করেছি এবং বৃত্তি, উপবৃত্তি দেওয়া হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু না থাকায় শিক্ষার্থীদের খুবই কষ্ট হচ্ছে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, কভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল মাদরাসা খুলে দেওয়া হবে।

করোনায় ১৭ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি : করোনা মহামারীতে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ক্ষতি হয়েছে বলে সংসদে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী ২০১৯-২০ এবং ২০২০-২১ অর্থবছরে করোনাভাইরাসজনিত কারণে দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে আনুমানিক ১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ সময় অর্থনৈতিক অভিঘাত থেকে উত্তরণে আমরা ১৫ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ ২৩টি প্রণোদনা প্যাকেজ প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছি। করোনায় বন্ধুপ্রতিম দেশ ও সংস্থাকে বাংলাদেশ পাশে পেয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের টিকা সংগ্রহসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় উন্নয়ন সহযোগীদের পাশে পেয়েছি। মহামারী নিয়ন্ত্রণে সরকারের উদ্যোগ ও প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ অর্থবছরে ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাজেট সহায়তা ঋণ পেয়েছি। ২০২১-২২ অর্থবছরে আরও প্রায় দুই বিলিয়ন ডলারের বাজেট সহায়তা আমরা পেতে যাচ্ছি। এর পাশাপাশি টিকা কিনতে ভ্যাকসিন সাপোর্ট বাবদ আরও দুই বিলিয়ন ডলার সহায়তার আশ্বাস পেয়েছি। বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি অনেক বৃদ্ধি পাওয়ায় এ সহায়তা পাওয়া সহজ হয়েছে।

মহামারীর সময়ও অর্থনীতি গতিশীল : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মহামারীর সময়ও আমরা অর্থনীতি গতিশীল রাখতে সক্ষম হয়েছি। যদিও এর নেতিবাচক প্রভাব আমাদের অর্থনীতির ওপর পড়েছে। এ পরিস্থিতিতে আমরা মানুষের স্বাস্থ্যসুরক্ষা ও জীবিকার সুযোগ অব্যাহত রাখতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে সময়োচিত নানাবিধ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব সত্ত্বেও সরকারের পদক্ষেপে আমাদের অর্থনীতি পূর্ণাঙ্গভাবে পুনরুদ্ধারের পথে রয়েছে। আমাদের সরকার সংকটকালে দেশের মানুষের পাশে আছে। মানুষের পাশে থাকবে। তিনি  বলেন, করোনাভাইরাসের ফলে আমাদের আমদানি-রপ্তানিসহ অর্থনীতির ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়ে। এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য আমরা প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নেই। তিনি বলেন, কোভিড-১৯ এ সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করতে আমরা আগেই বিস্তারিত পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। আমরা সরকারি ব্যয় বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ব্যাংক ব্যবস্থাপনা থেকে স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা প্রদান, সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম বৃদ্ধি ও বাজারে মুদ্রা সরবরাহ বৃদ্ধি করার উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা আশুকরণীয়, স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ নিয়েছি। আমাদের অন্যতম লক্ষ্য পুনরুদ্ধার কার্যক্রমের মাধ্যমে জনগণকে সুরক্ষা দেওয়া। সব শ্রেণির মানুষ যাতে সুবিধা পায় সে ব্যবস্থা করা। সব পরিকল্পনা সফলভাবে বাস্তবায়নের কাজ আমরা গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করেছি। সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজের কথা উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের প্রণোদনা প্যাকেজগুলো অত্যন্ত সন্তোষজনকভাবে এগিয়ে চলছে। ২৩ প্যাকেজের ১ লাখ ২৮ হাজার ৪৪১ কোটি টাকার বিপরীতে মে ২১ পর্যন্ত বাস্তবায়ন হার ৭১ দশমিক ৫০ শতাংশ। এ পর্যন্ত ৬ কোটি ৫ লাখ ব্যক্তি এবং ১ লাখ ৬ হাজার প্রতিষ্ঠান সরকারের এসব উদ্যোগের মাধ্যমে প্রত্যক্ষভাবে উপকৃত হয়েছে। প্যাকেজ কার্যক্রম থাকায় এ সংখ্যা সামনে আরও বাড়বে। তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও সেবা খাতের ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে ৪১ হাজার কোটি টাকা স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে গত মে পর্যন্ত ৩ হাজার ২৮৮ হাজার প্রতিষ্ঠানকে ৩২ হাজার ৫৩৬ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। কুটির ও মাঝারি শিল্পের মধ্যে ২০ হাজার কোটি টাকার তহবিলের মধ্যে মে মাস পর্যন্ত ৯৬ হাজার ৬৭৫টি এসএমই প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ১৪ হাজার ৭৭২ কোটি টাকা স্বল্পসুদে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। প্রাপ্তদের মধ্যে নারী উদ্যোক্তা রয়েছেন ৫ হাজার ২৫৩ জন। তিনি বলেন, বাণিজ্যিক ব্যাংকে ঋণের বিপরীতে ১ হাজার ২৯০ কোটি টাকা সুদ ভর্তুকি প্রদান করা হয়েছে। অতীতে দেশে কখনো সুদ ভর্তুকি দেওয়া হয়নি। এতে ৭২ লাখ ৮০ হাজার ঋণগ্রহীতা সুবিধা পেয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের সময়োচিত ও সাহসী পদক্ষেপের ফলে এ দুর্যোগের সময় জীবন ও জীবিকা যেমন রক্ষা করা গেছে তেমনি অর্থনৈতিক কর্মকান্ডও সচল রাখা সম্ভব হয়েছে। ফলে দেশের অর্থনীতি সার্বিকভাবে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব সত্ত্বেও সরকারের বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজের ফলে দেশের অর্থনীতি পূর্ণাঙ্গ পুনরুদ্ধারের পথে রয়েছে। আগামী অর্থবছরের বাজেট প্রসঙ্গে সংসদ নেতা বলেন, এ বাজেট দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা ও জীবন-জীবিকা সুরক্ষা এবং মহামারীর অর্থনৈতিক প্রভাব দৃঢ়তার সঙ্গে কাটিয়ে ওঠার ওপর প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। বাজেট বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে দারিদ্র্যবিমোচনসহ আমাদের উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে। তিনি বলেন, আমরা উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন চাই। আমরা প্রবৃদ্ধি চাই। আবার সমাজের দরিদ্র মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ঘটাতে চাই। প্রবৃদ্ধির সুফলটা যেন তৃণমূলের মানুষ পায় সেটাই চাই।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর