রাজধানীর হাতিরঝিলের সৌন্দর্য রক্ষায় বাণিজ্যিক স্থাপনা উচ্ছেদসহ ১০ দফা নির্দেশনা দিয়েছে হাই কোর্ট। বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ গতকাল এ রায় দেয়। আদালতে আবেদনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মনজিল মোরসেদ।

হাতিরঝিলের সৌন্দর্য রক্ষায় হাই কোর্টের ১০ দফা নির্দেশনা হচ্ছে- এক. তুরাগ নদের রায়ের নীতি অনুসারে ঢাকার হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ী প্রকল্পকে জনগণের সম্পত্তি ঘোষণা করা। দুই. ঢাকার হাতিরঝিল প্রকল্পে হোটেল, রেস্তোরাঁ, দোকানসহ সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্থাপন অবৈধ ঘোষণা করা হলো। ৬০ দিনের মধ্যে ওইসব বাণিজ্যিক স্থাপনা উচ্ছেদ করতে হবে। তিন. প্রকল্প এলাকায় বাণিজ্যিক স্থাপনা নিষিদ্ধ। চার. প্রকল্পের সংরক্ষণ, উন্নয়ন, পরিচালনার জন্য আলাদা একটি কর্তৃপক্ষ গঠন করে প্রধানমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে পরিচালনা করতে হবে। পাঁচ. প্রকল্পের স্থায়ী পরামর্শক হিসেবে থাকবে বুয়েটের প্রকৌশল বিভাগ। যৌথ পরামর্শক হবে সেনাবাহিনীর ২৪ ব্রিগেড। ছয়. প্রকল্প এলাকায় জনসাধারণের জন্য ভূগর্ভস্থ শৌচাগার তৈরি করতে হবে। সাত. প্রকল্প এলাকায় সুপেয় পানির ব্যবস্থা করতে হবে। আট. হাঁটা, সাইকেল চালানো ও প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা চলাচলের ব্যবস্থা থাকতে হবে। নয়. প্রকল্প এলাকার লেকে মাছের অভয়ারণ্য গড়তে হবে। দশ. প্রকল্প এলাকায় বাণিজ্যিক কোনো স্থাপনা হবে না। এ ছাড়া রায়ে বাঙালি বিজ্ঞানী স্যার জগদীশ চন্দ্র বসুর নামে প্রকল্পের নামকরণের পরামর্শ দেওয়া হয়। রায়ে আদালত বলেছে, হাতিরঝিল প্রকল্প এলাকা হলো ঢাকার ফুসফুস। এ জন্য এর সুরক্ষা অপরিহার্য। রায়কে চলমান হিসেবে রাখা হয়েছে।