বৃহস্পতিবার, ১ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

ক্ষমা চেয়ে আবেদন করলে রাষ্ট্রপতি খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে পারেন

-------- আইনমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

ক্ষমা চেয়ে আবেদন করলে রাষ্ট্রপতি খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে পারেন

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদন মঞ্জুর করে সরকার তার দন্ডাদেশ স্থগিত রেখে মুক্তি দিয়েছে। সেখানে বিদেশে না যাওয়ার শর্ত রয়েছে। এখন তা বদলানোর সুযোগ নেই। কোনো সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে মুক্তি দিতে হলে আইনের মাধ্যমেই দিতে হবে, অন্যভাবে নয়। এ ক্ষেত্রে একটা উপায় আছে, তারা মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে পারেন বা ৪০১ ধারায় সরকারের কাছে ক্ষমা চাইতে পারেন। ক্ষমা চাইলে উনারা বিবেচনা করলে ক্ষমা করতে পারেন। আর সেই ক্ষমা চাইতে গেলে অবশ্যই দোষ স্বীকার করে চাইতে হবে। গতকাল জাতীয় সংসদে  ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে আইন মন্ত্রণালয় খাতে মঞ্জুরি দাবির ওপর সংসদ সদস্যদের ছাঁটাই প্রস্তাবের বক্তব্যের পর আইনমন্ত্রী তার বক্তব্যে এ কথা জানান। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। বাজেট পাসের আলোচনায় বিএনপির দুই সংসদ সদস্য ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর বক্তব্য দিতে গিয়ে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানোর দাবি তোলেন। পরে সে প্রসঙ্গ টেনে আইনমন্ত্রী বলেন, উনার পরিবারের সদস্যরা দরখাস্ত করলেন। উনারা দরখাস্তে বলেছিলেন উনাকে বিদেশ নিয়ে যেতে হবে। তাদের আবেদনে আইনের ধারার কথা উল্লেখ ছিল না। ওই আবেদনকে আমরা ৪০১ হিসেবে ট্রিট করে দুটো শর্ত দিয়ে তার দন্ডাদেশ স্থগিত রেখে মুক্তি দিয়েছি। শর্ত দুটি হচ্ছে তিনি বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং তিনি দেশে থেকে চিকিৎসা নেবেন। তারা (খালেদা জিয়ার পরিবার) এটা গ্রহণ করেছিলেন। গ্রহণ করে তারা বেগম জিয়াকে জেলখানা থেকে বাসায় নিয়ে যান।

বিএনপি নেতারা ‘কথায় কথায় বিদেশ পাঠানোর কথা বলেন’ মন্তব্য করে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘একটি দরখাস্ত যখন নিষ্পত্তি হয়ে যায়, সেটা কি আবার পুনর্বিবেচনা করা যায়? উনারা তো দরখাস্ত করে শর্ত মেনে মুক্ত করে এনেছেন। তারপর এখন বলছেন বিদেশে যেতে হবে। আবার দরখাস্ত করলেন। এটা কী রকম কথা! ওই দরখাস্ত তো শেষ (নিষ্পত্তি)। সেটার ওপর তো আর কেউ কিছু করতে পারবে না। ৪০১-এর যে দরখাস্ত হিসেবে সেটা নিষ্পন্ন হয়ে গেছে। ওটা তো মঞ্জুর হয়েছে।

মন্ত্রী চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, আইনে ছয়টি সাব-সেকশন আছে। এর মধ্যে কোথাও যদি দেখাতে পারেন আবার দরখাস্ত করতে পারবেন, আবার পুনর্বিবেচনা করতে পারবেন তাহলে আমি আইন পেশায় থাকব না। সংসদে বক্তৃতা দিয়ে বা অন্য কোনোভাবে খালেদাকে মুক্ত করার সুযোগ নেই মন্তব্য করে বিএনপি নেতাদের আইন পড়ে দেখার পরামর্শ দেন আনিসুল হক। তিনি বলেন, উনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তো চিকিৎসা পাননি কোথায়? উনারা এমন নজির দেখাতে পারবেন না যে আমরা বাধাগ্রস্ত করেছি। তাহলে চিকিৎসা পাননি এ কথা বলেন কেন? নিরর্থক পলিটিক্যাল স্টান্টবাজি করলে তো হবে না।

সর্বশেষ খবর