সরকারি বিধিনিষেধের সময় অকারণে ঘর থেকে বের হলে তাকে গ্রেফতার করে মামলা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, এমনও হতে পারে প্রথম দিন ডিএমপিতে পাঁচ হাজার মানুষ গ্রেফতার হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতে চালান করা হয়েছে। এবার আমরা অত্যন্ত শক্ত থাকব। গতকাল ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ডিএমপি কমিশনার বলেন, সঙ্গত কারণ ছাড়া কেউ যদি ঘর থেকে বের হয় তবে তাকে গ্রেফতার করা হবে। তার বিরুদ্ধে দন্ডবিধি ২৬৯ ধারায় মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হবে। এ ধারায় সর্বোচ্চ ছয় মাসের জেল, অর্থদন্ড ও উভয়দ- হতে পারে। আবার মোবাইল কোর্ট দিয়ে তাদের তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে আজ ১ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত বিধিনিষেধ আরোপের প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। সরকার জরুরি সেবা বলতে যে প্রতিষ্ঠানগুলোকে বুঝিয়েছে, পণ্যবাহী গাড়িগুলোকে বুঝিয়েছে এর বাইরে কোনো ধরনের যানবাহন আমরা শহরে চলতে দেব না। কাঁচা বাজার করা, ওষুধ কেনা, কভিড টেস্ট বা টিকা দিতে যাওয়ার সময় রিকশা ব্যবহার করা যাবে। যন্ত্রচালিত যানবাহন ব্যবহার করতে পারবে না। ভিড় কমাতে কাঁচাবাজারের বেশির ভাগ দোকান আমরা রাস্তায় নিয়ে আসব। খাবারের দোকান থেকে খাবার নিতে পারবে, কেউ বসে খেতে পারবে না। মাস্ক না পরে কেউ যেন বের না হন সেটি নিশ্চিত করব। বিদেশ থেকে যারা আসবেন, তাদের পরিবহনের জন্য গাড়ি ব্যবহার করা যাবে। একটু অসুবিধা হবে যদি তাকে কেউ আনতে যেতে চায়। সে ক্ষেত্রে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হতে হবে। ডিএমপি প্রধান বলেন, সব অফিস-আদালত, শপিং মল, যে কোনো ধরনের সমাবেশ বন্ধ থাকবে। নানা অজুহাতে মানুষ রাস্তায় বের হয়, কারও উত্তরে যদি সন্তুষ্ট না হই তাহলে তাকে আইনি ঝামেলায় পড়তে হবে। কেউ যানবাহন ব্যবহার করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। সামাজিক অনুষ্ঠান ও সব ক্লাব বন্ধ থাকবে। ব্যাটারিচালিত গাড়ি বন্ধ থাকবে। প্রয়োজন ছাড়া ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করা যাবে না। পুলিশ আইন প্রয়োগে যত শক্ত হবে, আপনার পরিবারের সদস্যরা তত বেশি নিরাপদ থাকবে। আমি সবাইকে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানাব।
