বিএনপি বলেছে, খালেদা জিয়ার ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। সরকার খালেদা জিয়াকে ভয় পায়। এ জন্য অন্যায়ভাবে আটকে রেখে তাঁকে রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে চায়। তাঁর উন্নত চিকিৎসার পথে বাধা সৃষ্টি করে তাঁকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে চায়। বেগম খালেদা জিয়ার কিছু হলে এর সব দায়-দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে।
সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হলে বিএনপি চেয়ারপারসনকে দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চাইতে হবে- জাতীয় সংসদ আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের এমন বক্তব্যের জবাবে বিএনপির পক্ষে কেন্দ্রীয় দফতরের দায়িত্বে থাকা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স এই মন্তব্য করেন। গতকাল দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, যিনি কোনো অপরাধই করেননি তাঁর ক্ষমা চাওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। আইনমন্ত্রীর এই বক্তব্যের মাধ্যমে সরকারের হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের প্রতিফলন ঘটেছে যা ভ্রষ্টাচার ছাড়া কিছুই নয়। আমরা আইনমন্ত্রীর সংসদে প্রদত্ত বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সরকারকে ছলচাতুরী ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরিহার করে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে তাঁর সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করার জন্য আমরা আহ্বান জানাচ্ছি। এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, আইনমন্ত্রীর বক্তব্য সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ এবং রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ ও কলুষিত করার ব্যর্থ চেষ্টা। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া কভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ৫৩ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। বর্তমানে তিনি লিভার, কিডনি ও হার্টের বিভিন্ন জটিলতায় তীব্র অসুস্থ অবস্থায় নিজ বাসভবনে চিকিৎসাধীন আছেন। তাঁর চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দিয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে আরও উন্নত সেন্টারে চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছেন; যা বাংলাদেশে সম্ভব নয়। সংসদে আইনমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আইনমন্ত্রী বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদনটি নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। সেটি আবার পুনঃবিবেচনা করা যায় না। শর্ত মেনে মুক্ত করা হয়েছে। সরকার নিজেই এই শর্ত সংশোধন করেছে। আবার শর্ত সংশোধন বা শিথিল করা যাবে না- এই বক্তব্য সঠিক নয়। সিআরপিসির ৪০১ ধারায় বিষয়টি উন্মুক্ত আছে। সরকার যে কোনো শর্ত পরিবর্তনের ক্ষমতা রাখে। তা একেবারেই সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে।