শনিবার, ৩ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

আইসিইউ নেই ৩৭ জেলায়

হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা সংকটে মারা যাচ্ছেন রোগী

জয়শ্রী ভাদুড়ী

করোনায় আক্রান্ত হয়ে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন আলী জাহিদ। তার ফুসফুসের ৭০ শতাংশ সংক্রমিত হয়ে পড়ায় আইসিইউতে নেওয়া হয়েছিল। অক্সিজেন মাত্রা কমে যাওয়ায় তাকে হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা দ্বারা অক্সিজেন দেওয়া জরুরি হয়ে পড়ে। কিন্তু মাত্র দুটি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা দিয়ে হাসপাতালের ১৫ জন সংকটাপন্ন রোগীর চিকিৎসা করা সম্ভব হয়নি। অক্সিজেন সংকটে মারা যান আলী জাহিদ। হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা সংকটে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে গত ১৩ ঘণ্টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাতজনের মৃত্যু হয়েছে।

আইসিইউ, হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা সংকটে দেশের জেলা ও বিভাগীয় শহরগুলোয় বাড়ছে করোনা রোগীর মৃত্যু। পাঁচ দিন ধরে শতাধিক প্রাণহানি ঘটছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রাণভরে নিঃশ্বাস নিতে অনেকের করতে হচ্ছে প্রাণান্ত চেষ্টা। এ মুমূর্ষু সময়ে মিলছে না আইসিইউ। সীমান্ত ও আশপাশের জেলাগুলোয় ছড়িয়ে পড়েছে সংক্রমণ। কিন্তু এখনো দেশের ৩৭ জেলায় নেই করোনা রোগীদের জন্য আইসিইউর ব্যবস্থা। এজন্য শত কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে রোগী নিয়ে বিভাগীয় শহরের হাসপাতালে ছুটছেন স্বজনরা। হাসপাতালগুলোয় বাড়ছে ভিড়, রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। আইসিইউর জন্য রোগীর দীর্ঘ সিরিয়াল। একজন মারা গেলে আরেকজনকে বাঁচাতে নেওয়া হচ্ছে আইসিইউতে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরসূত্রে জানা যায়, দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ৩৭টিতেই কভিড চিকিৎসার জন্য আইসিইউ নেই। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগের পাঁচ, চট্টগ্রামের আট, রংপুরের ছয়, সিলেটের দুই, বরিশালের চার, খুলনার চার, রাজশাহীর ছয় ও ময়মনসিংহের দুটি জেলা রয়েছে। সারা দেশে মোট আইসিইউ শয্যা ২ হাজার ৪২০টি। এর মধ্যে ১ হাজার ২১৮টি ঢাকা মহানগরীতে এবং ৫৯টি চট্টগ্রাম মহানগরে। বাকি ১ হাজার ১৪৩টি আইসিইউ শয্যা রয়েছে ২৫ জেলায়। ঢাকা ও চট্টগ্রাম বাদে বিভিন্ন জেলায় ‘হাই ফ্লো নেজাল ক্যানোলা’-সংবলিত আইসিইউ সমতুল্য শয্যা আছে ১ হাজার ৬০৩টি। ১১ জেলায় সে রকম শয্যাও নেই। বগুড়ায় আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক আবদুর রহমান টুলু জানান, হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা সংকটে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। আরও ১০ জনের অবস্থা সংকটাপন্ন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ২৫০ শয্যার এ হাসপাতালে গতকাল সকাল ৭টা পর্যন্ত ২২৩ জন করোনা রোগী ভর্তি ছিলেন। যার অধিকাংশেরই উচ্চমাত্রার অক্সিজেন প্রয়োজন। কিন্তু হাসপাতালটিতে মাত্র দুটি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা থাকায় দুজনের অতিরিক্ত কাউকে উচ্চমাত্রার অক্সিজেন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক শফিক আমিন কাজল জানান, হাসপাতালটিতে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহ চালু হলেও সব শয্যায় উচ্চমাত্রার অক্সিজেন সরবরাহের জন্য প্রয়োজনীয় হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা যুক্ত করা হয়নি। এমনকি আট শয্যা নিয়ে চালু করা আইসিইউ ইউনিটেরও মাত্র দুটিতে হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা রয়েছে। এখন যে রোগীরা ভর্তি হচ্ছেন বেশির ভাগেরই অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৬০-৭২-এর মধ্যে। তাদের হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা দিয়ে উচ্চমাত্রার অক্সিজেন সরবরাহ করা প্রয়োজন।

খুলনায় আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক সামছুজ্জামান শাহীন জানান, খুলনা বিভাগের ঝিনাইদহে করোনা সংক্রমণ, মৃত্যু বাড়লেও সেখানে মুমূর্মু রোগীর চিকিৎসায় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) নেই। ফলে এ জেলার রোগীদের আইসিইউর প্রয়োজনে খুলনা ও যশোরে নেওয়া হয়। বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় জানিয়েছে, বিভাগের ১০ জেলায় মোট ৪৯টি আইসিইউ শয্যা আছে। কিন্তু রোগীর চাপে হাসপাতালে গেলেই আইসিইউ শয্যা পাওয়া যায় না। পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে আইসিইউ শয্যা পেতে সেখানে ভর্তি একজনের মৃত্যুর অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে রোগীর স্বজনদের। এ অবস্থা সামলাতে খুলনা মেডিকেলে অতিরিক্ত ২০, কুষ্টিয়ায় ৬, সাতক্ষীরায় ১২ ও যশোরে ২০টি হাই ডিফেন্স ইউনিট (এইচডিইউ) চালু করা হয়েছে। খুলনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের সমন্বয়কারী ডা. মো. খসরুল আলম জানান, হাসপাতালের নতুন অক্সিজেন প্লান্টটি দীর্ঘদিনেও চালু না হওয়ায় অক্সিজেন সরবরাহে চাপ বাড়ছে। করোনা রোগীর প্রায় প্রত্যেকের অক্সিজেন সাপোর্ট প্রয়োজন হচ্ছে ও হঠাৎ করে শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. রাশিদা সুলতানা বলেন, ‘পরিস্থিতি সামলাতে নড়াইল, কুষ্টিয়া, বাগেরহাট, চুয়াডাঙ্গা ও মাগুরায় আইসিইউ সেবা চালু করা হয়েছে। খুলনা ও যশোরে আইসিইউর সঙ্গে এইচডিইউর সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে।’

জানা যায়, বিভাগীয় শহর হওয়ায় খুলনা ডেডিকেটেট হাসপাতালে করোনা রোগীর চাপ তুলনামূলক বেশি। ফলে এখানে আইসিইউ সক্ষমতা আরও বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জেলা সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ জানান, খুলনা ডেডিকেটেট হাসপাতালে লিকুইড অক্সিজেন প্লান্টটি স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। জরুরি অবস্থা মোকাবিলায় হাসপাতালের পুরনো লিকুইড অক্সিজেন প্লান্টের সক্ষমতা দ্বিগুণ বাড়িয়ে করোনা রোগীর জন্য অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে।

রাজশাহীতে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক কাজী শাহেদ জানান, করোনা রোগীর চাপ সামলাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বেসামাল হয়ে পড়েছেন। সাধারণ ওয়ার্ডগুলো একের পর এক করোনা ওয়ার্ডে রূপান্তর করছেন; সম্প্রসারণ হতে হতে এখন হাসপাতালের এক চতুর্থাংশ করোনা ইউনিটে রূপান্তর হয়েছে। তার পরও বেড সংকুলান করতে পারছেন না কর্তৃপক্ষ। এমন অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেলে একটি আইসিইউ বেডের আশায় দিনের পর দিন অপেক্ষা করছেন রোগীরা। অবস্থা এমন হয়েছে একটি আইসিইউ খালি পেতে অন্তত ৭৭ জন রোগী সিরিয়ালে আছেন। জানা গেছে, আইসিইউ পেতে নাম লেখানো রোগীর ক্রমিক ৭৭ পর্যন্ত উঠেছে। আইসিইউতে থাকা রোগীদের কারও একটু উন্নতি হলে তাকে সাধারণ ওয়ার্ডে দেওয়া হচ্ছে। আবার কেউ মারা গেলে শয্যা খালি হচ্ছে। তারপর ক্রমিক অনুযায়ী ফোন করে আইসিইউতে রোগী ডাকা হচ্ছে। প্রতিদিন সাত থেকে ১০ জন পর্যন্ত রোগীকে আইসিইউতে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে। ক্রমিকের ৭৭ নম্বর রোগীকে আইসিইউ পেতে কয়েক দিন অপেক্ষা করার বিকল্প থাকছে না। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন করে আইসিইউ শয্যা বাড়ানোর মতো অবকাঠামো নেই বলে জানিয়েছেন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার শামীম ইয়াজদানী। তিনি বলেন, ‘এ মুহূর্তে আমাদের আইসিইউ বাড়ানোর মতো আর স্ট্র্যাকচারাল ক্যাপাসিটি নেই। যা ছিল সবই করলাম। এখন আইসিইউ বেড ২০টি। এখানে বেড পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করার বিকল্প নেই। কারণ রোগীর চাপ অনেক। কেউ সুস্থ বা মারা না গেলে অন্যজনকে বেড দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’ রংপুরে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক নজরুল মৃধা জানান, রংপুর বিভাগের আট জেলার মধ্যে মাত্র দুই জেলায় আইসিইউ বেড রয়েছে মাত্র ২৬টি। এর মধ্যে রংপুরে ১০ ও দিনাজপুরে ১৬টি। এইচডিইউ বেড রয়েছে মাত্র ১১টি। প্রতিটি জেলা সদরে ১০টি করে আইসিইউ বেডের চাহিদা পাঠানো হলেও কয়েক মাস পার হওয়ার পরও তার কোনো অগ্রগতি হয়নি। দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাধারণ বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১২০ জন। সেখানে ১৬টি আইসিইউ বেডের সব কটিতেই রোগী রয়েছেন। এ ছাড়া দিনাজপুরের ১১টি এইচডিইউ বেডের সব কটিতেই রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। রংপুরে করোনা হাসপাতালের সাধারণ বেডে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৫৫ জন এবং আইসিইউ বেডে আটজন।

রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. জাকিরুল ইসলাম বলেন, জেলা সদরের হাসপাতালগুলোয় আইসিইউ বেডের চাহিদা পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া জেলা হাসপাতালগুলোয গুরুতর অসুস্থ রোগীকে হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা দিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। চট্টগ্রামে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক রেজা মুজাম্মেল জানান, চট্টগ্রাম বিভাগের ১০ জেলায় আইসিইউ শয্যা অপ্রতুল হওয়ায় রোগীদের পোহাতে হয় দুর্ভোগ। চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিভাগে দেশের অন্য বিভাগের চেয়ে আইসিইউ, এইচডিইউ ও ভেন্টিলেটর বেশি আছে। অন্য বিভাগের চেয়ে চট্টগ্রামের অবস্থা অনেক ভালো। রোগী নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয়সূত্রে জানা যায়, বান্দরবান ১০০ শয্যা সদর হাসপাতালে আইসিইউ ও এইচডিইউ নেই, ভেন্টিলেটর আছে দুটি। রাঙামাটি ১০০ শয্যা সদর হাসপাতাল ও খাগড়াছড়ি ১০০ শয্যা সদর হাসপাতালে আইসিইউ, এইচডিইউ ও ভেন্টিলেটর কিছুই নেই। ফেনী ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে দুটি আইসিইউ, চারটি ভেন্টিলেটর থাকলেও এইচডিইউ নেই। নোয়াখালী শহীদ ভুলু করোনা সেন্টারে আইসিইউ ও এইচডিইউ নেই, শুধু পাঁচটি ভেন্টিলেটর আছে। লক্ষ্মীপুর ১০০ শয্যা সদর হাসপাতালে আইসিইউ ও এইচডিইউ নেই, ভেন্টিলেটর আছে দুটি। চাঁদপুর ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে আইসিইউ ও এইচডিইউ নেই, ভেন্টিলেটর ২৬টি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে আইসিইউ, এইচডিইউ ও ভেন্টিলেটর নেই। সিলেটে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক শাহ্ দিদার আলম নবেল জানান, আইসিইউর একটি বেডের জন্য সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকে ঘুরছেন রোগীর স্বজনরা। যার ভাগ্য প্রসন্ন তিনি সিট পেয়ে যাচ্ছেন, আর কেউ ফিরছেন চোখের জল নিয়ে। সিলেটে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেওয়ায় কয়েক দিন ধরে তৈরি হয়েছে এমন পরিস্থিতি। সিলেট বিভাগের একমাত্র কভিড ডেডিকেটেড ১০০ শয্যার শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালেও মিলছে না আইসোলেশন বেড।

শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. সুশান্ত কুমার মহাপাত্র জানান, হাসপাতালটির ৮৪টি আইসোলেশন বেডে ৭৪ জন রোগী ভর্তি আছেন। আর আইসিইউর ১৬টি বেডের সব কটিই রোগীতে পূর্ণ। ফলে আইসিইউ সাপোর্ট লাগবে এমন গুরুতর অসুস্থ কোনো রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা সম্ভব হচ্ছে না। এ ছাড়া আইসোলেশনের যে ১০টি বেড খালি আছে তা খুব বেশি সময় খালি থাকার সম্ভাবনা নেই। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন বেশির ভাগেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান তিনি। ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দুই ব্লক মিলে আইসিইউ বেড ২০টি। এর মধ্যে কভিড রোগীদের জন্য ১০টি ও অন্য রোগীদের জন্য ১০টি বেড বরাদ্দ। গতকাল দুপুরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ২০টি বেডের সব কটিই রোগীতে পূর্ণ। হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় জানান, হাসপাতালে কভিড সাসপেকটেড ও আক্রান্ত রোগী আগের চেয়ে বেশি আসছেন। চিকিৎসা নিয়ে মানুষের মধ্যে আস্থা বাড়ায় রোগীরা হাসপাতালমুখী হওয়ায় চাপ বাড়ছে।

সিলেট প্রাইভেট হাসপাতাল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. নাসিম আহমদ জানান, হাসপাতালে ভর্তি কভিড রোগীদের আগের চেয়ে অনেক বেশি অক্সিজেন সাপোর্ট দিতে হচ্ছে। এ অবস্থায় অক্সিজেন সংকট দেখা দেওয়ারও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে জানান তিনি।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর