শনিবার, ৩ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

বায়তুল মোকাররমে উপস্থিতি কম করোনামুক্তির দোয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

মহামারী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বৃহস্পতিবার সকালে সারা দেশে শুরু         হয়েছে সর্বাত্মক লকডাউন। লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে গতকাল রাজধানীর প্রধান সড়ক ছিল ফাঁকা। জুমার নামাজে মুসল্লির সংখ্যাও ছিল কম। জুমার নামাজ শেষে বৈশ্বিক মহামারী করোনা থেকে মুক্তি চেয়ে বিশেষ মুনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় মুসল্লিরা সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশে মোনাজাতে দুহাত তুলে কান্নায় ভেঙে পড়েন। গতকাল  রাজধানীর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের বিভিন্ন মসজিদে বিশেষ মোনাজাতে করোনা মহামারী থেকে মুক্তি চেয়ে দোয়া করেন ইমাম, খতিবসহ ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। পবিত্র জুমার দিনে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে দেখা যায়, অন্যান্য জুমার দিনের তুলনায় গতকাল মুসল্লির সংখ্যা ছিল কম। মসজিদে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। করোনা সুরক্ষার জন্য দূরত্ব বজায় রেখে মুসল্লিদের মসজিদের ভিতরে অবস্থান নিতে দেখা যায়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় কর্তৃপক্ষের নানা উদ্যোগ থাকায় মুসল্লিদের মধ্যে মাস্ক ব্যবহার, দূরত্ব রক্ষার বিষয়টি লক্ষ্যণীয় ছিল। নামাজ শেষে করোনা মহামারী থেকে দেশ ও জাতির মুক্তির জন্য মোনাজাত করা হয়েছে। করোনায় কর্মহীন দরিদ্র মানুষের পাশে থাকতে মুসল্লিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মিজানুর রহমান। স্বাস্থ?্যবিধি মেনে সতর্কভাবে চলাফেরা করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যতটুকু সম্ভব লোকসমাগম এড়িয়ে চলুন। নিজে সতর্ক থাকুন, অন্যদেরও সতর্ক করুন। তাহলে আমরা সবাই সুস্থ থাকতে পারব। লকডাউনে কর্মহীনদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে মুফতি মিজানুর রহমান বলেন, এ বিপদের সময়ে যার যতটুকু সামর্থ আছে, তা নিয়ে অসহায় কর্মহীনদের পাশে দাঁড়ান। বিপদে এগিয়ে আসুন। আপনি ভালোমতে খেয়ে-পরে আছেন, আপনার প্রতিবেশীদেরও খোঁজ নিন, পাশে থাকুন। গতকাল স্বাস্থ?্যবিধি মেনে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র জুমার নামাজ পড়া হয়েছে। লকডাউনের কারণে জুমার নামাজে মুসল্লির উপস্থিতি ছিল কম। অধিকাংশ মুসল্লিকে মাস্ক পরে নামাজ আদায় করতে দেখা গেছে। নামাজ শেষে সরকারি নির্দেশনা মেনে অনেক মুসল্লি মসজিদে সুন্নত নামাজ আদায় না করে বাসায় চলে যেতেও দেখা যায়। জাতীয় মসজিদ ছাড়াও ঢাকার কলাবাগান, পান্থপথ, আজিমপুর, মিরপুর, বাড্ডা, বনশ্রী, সেগুনবাগিচাসহ সারা দেশের মসজিদে জুমার নামাজের পর মোনাজাতে নানা প্রসঙ্গে সৃষ্টিকর্তার সাহায্য প্রার্থনা করা হয়। মসজিদের ইমাম ও খতিবরা করোনার সংক্রমণ থেকে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মানুষের সুরক্ষা, অসুস্থদের দ্রুত আরোগ্য লাভ, মহামারী পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি এবং দেশ ও জাতির সার্বিক কল্যাণ কামনা করে নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন।

সর্বশেষ খবর