মঙ্গলবার, ৬ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ল ১৪ জুলাই পর্যন্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনা সংক্রমণ রোধে দেশব্যাপী চলমান কঠোর বিধিনিষেধের লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে ১৪ জুলাই পর্যন্ত করা হয়েছে। গতকাল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সময় বাড়ানোর আদেশ জারি হয়। এর আগে লকডাউনের মেয়াদ এক সপ্তাহ বাড়ানোর সুপারিশ করে কভিড-১৯বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনাভাইরাসজনিত রোগ কভিড-১৯ সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আগের সব বিধিনিষেধ ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় সুরক্ষা স্মারকের নির্দেশনার অনুবৃত্তিক্রমে ৭ জুলাই মধ্যরাত থেকে ১৪ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত এ বিধিনিষেধের সময়সীমা বাড়ানো হলো।

দেশে করোনার সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ ধারণ করলে ১ জুলাই থেকে সারা দেশে কঠোর বিধিনিষেধের লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে শুরু থেকে পুলিশ, র‌্যাবের পাশাপাশি মাঠে রয়েছে বিজিবি ও সেনাবাহিনী। তারা বিভিন্ন জায়গায় টহল দিচ্ছে। রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে চেকপোস্টে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। জরুরি ছাড়া অযৌক্তিক কারণে কেউ বাইরে বের হলে তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে গ্রেফতার ও জরিমানা করা হচ্ছে। এ ছাড়া জরুরি পরিষেবায় নিয়োজিতরা পরিচয়পত্র দেখিয়ে তাদের গন্তব্যে বা কর্মস্থলে যেতে পারছেন। এর আগে রবিবার দেশের চলমান সর্বাত্মক লকডাউন ১৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানোর সুপারিশের কথা জানায় কভিড-১৯বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ বলেন, ‘যে পরামর্শের ওপর ভিত্তি করে সরকার এ কঠোর লকডাউন দিল সেখানে জাতীয় কমিটি ১৫ দিনের কথা বলেছিল। ১৫ দিনের নিচে তো কোনোভাবেই বৈজ্ঞানিকভাবে কিছুই কাজ হবে না।’

ঈদে পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত : জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, দেশব্যাপী করোনার ঊর্ধ্বগতির কারণে চলমান সর্বাত্মক লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে। ঈদে লকডাউন থাকবে কি না সে বিষয়ে পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথাও জানান তিনি। ঈদের আগে পরিস্থিতি বিবেচনায় কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এমন প্রশ্নে গতকাল গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন তিনি। ফরহাদ হোসেন আরও জানান, প্রতিনিয়ত আমরা দেখছি করোনা সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে ওঠানামা করছে। তাই পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা সিদ্ধান্ত নেব। ১২ অথবা ১৩ তারিখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত দিতে পারব। গভীরভাবেই এ বিষয়টি মনিটরিং করা হচ্ছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঈদের সময় নিয়ন্ত্রণ করাটা খুব কঠিন। ওই সময়টাতে কী কী থাকবে, কী করলে ভালো হবে, কীভাবে করলে ভালো হবে সে বিষয়ে সরকার পরিকল্পনা করছে। সময় হলে পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত জানাতে পারব। তিনি জানান, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় যে বিশেষজ্ঞরা রয়েছেন তাদের এবং আমাদের টেকনিক্যাল কমিটির পরামর্শ অনুযায়ী লকডাউন বাড়ানো হয়েছে।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর