শুক্রবার, ৯ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে বিএনপির পাঁচ প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সরকারকে পাঁচ প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপি। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব প্রস্তাব তুলে ধরেন। তিনি স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, সব রাজনৈতিক দল, এনজিও এবং সামাজিক সংগঠনের সমন্বয়ে একটি জাতীয় আপৎকালীন পরামর্শক কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেন। মির্জা ফখরুল বলেন, এই পাঁচটি জিনিস করোনা নিয়ন্ত্রণে প্রধান টার্গেট হিসেবে নির্ধারণ করতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, করোনা মহামারীর বিরুদ্ধে যে লড়াই সেটা বস্তুত একটি দীর্ঘস্থায়ী লড়াই। চলমান লকডাউন অকার্যকর ও নিষ্ঠুর রসিকতায় পরিণত হয়েছে। এ  লকডাউনে দরিদ্র কর্মজীবী মানুষের জীবিকানির্বাহের সব পথ ‘শাটডাউন’ হয়ে গেছে। এ সময় বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাঈল জবিউল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, অন্তত ৮০ ভাগ মানুষকে অতি দ্রুত টিকা প্রদান করতে হবে। সমন্বিত ও সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নসহ অবিলম্বে দেশে টিকা উৎপাদনের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি সারা দেশে করোনা আক্রান্ত রোগীদের সর্বাত্মক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের জিডিপির ৬-৭ শতাংশ অর্থাৎ বর্তমান ৬ লাখ কোটি টাকার বিরাট বাজেটের একটি সামান্য অংশ এ খাতে বরাদ্দ করলেই দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে মানবিক সহায়তা দেওয়া সম্ভব। এ ক্ষেত্রে সরকারের সদিচ্ছা ও আন্তরিকতাটাই মুখ্য। আপৎকালীন সমন্বয় কমিটি গঠন ছাড়াও বিএনপির দেওয়া অপর চারটি প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে- দরিদ্র মানুষকে ঘরে রাখার জন্য তাদের ঘরে নগদ অন্তত এককালীন ১৫ হাজার টাকা এবং খাদ্য পৌঁছে দিতে হবে। দ্বিতীয়ত, মানুষকে বাইরে বের হওয়ার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মানা এবং মাস্ক ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। তৃতীয়ত, অন্তত ৮০ ভাগ মানুষকে অতি দ্রুত টিকা দিতে হবে। এ জন্য একটি সমন্বিত ও সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ প্রণয়ন করে জাতির সামনে উপস্থাপন করতে হবে এবং তা বাস্তবায়ন করতে হবে। অবিলম্বে দেশে টিকা উৎপাদনের কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। চতুর্থত, বর্তমানে সারা দেশে করোনা আক্রান্ত রোগীদের সর্বাত্মক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য সারা দেশে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সরবরাহ, আইসিইউ ও করোনা বেড বৃদ্ধিসহ অত্যাবশ্যকীয় চিকিৎসা সামগ্রী ও পর্যাপ্ত চিকিৎসক/স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ করতে হবে। মির্জা ফখরুল আরও বলেন, বাংলাদেশে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে ৫ কোটিরও বেশি মানুষ কাজ করেন। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) ও ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) সাম্প্রতিক এক জরিপের ফলাফল বলছে, কভিডের আঘাতে দেশে নতুন করে দরিদ্র হয়েছে ২ কোটি ৪৫ লাখ মানুষ।

সর্বশেষ খবর