শুক্রবার, ৯ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

উন্নত দেশ টিকার পাহাড় গড়ে তুলছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

উন্নত দেশ টিকার পাহাড় গড়ে তুলছে

ড. মুহাম্মদ ইউনূস

শান্তিতে নোবেলজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, পৃথিবীর মাত্র শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ মানুষকে এ পর্যন্ত কভিড-১৯ এর টিকা দেওয়া হয়েছে, অথচ উন্নত দেশগুলো তাদের নিজেদের জন্য টিকার পাহাড় গড়ে তুলেছে। টিকা উৎপাদনে ব্যক্তিপ্রতি ১ মার্কিন ডলারের বিপরীতে টিকা বিতরণে ৫ ডলার করে খরচ করতে হচ্ছে। মহামারী শুরুর পর থেকে ওষুধ কোম্পানিগুলোর সম্পদ তরতর করে বাড়ছে।

১১তম সামাজিক ব্যবসা দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রফেসর ইউনূস। গতকাল রাজধানীর ইউনূস সেন্টার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

প্রফেসর ইউনূস বলেন, মহামারী মোকাবিলায় এখন পর্যন্ত কোনো একক বৈশ্বিক পরিকল্পনা দেখছি না। তিনি সবার প্রতি তাদের নিজ নিজ সরকার, প্রতিষ্ঠান ও কর্তৃপক্ষকে একটি সার্বিক সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করার জন্য জোরালো আবেদন করতে আহ্বান জানান।

গত ২৮ জুন থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত পাঁচ দিনব্যাপী ১১তম সামাজিক ব্যবসা দিবসের অনুষ্ঠান হয়। বিশ্বের ১১০টি দেশের ২ হাজারেরও বেশি প্রতিনিধি এই অনুষ্ঠানে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরেক নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী টিমোর লেস্টের সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসে রামোস হোরতা, ইউএনএইডস-এর নির্বাহী পরিচালক উইনি বিয়ানিমা এবং ড্যানোনের সাবেক প্রধান নির্বাহী ইম্যানুয়েল ফেবার। লুক্সেমবার্গের গ্রান্ড ডাচেস মারিয়া টেরেসা বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইউএনএইডস-এর নির্বাহী পরিচালক উইনি বিয়ানিমা বলেন, একটি কোভ্যাক্স টিকা উৎপাদনে ৬০ সেন্ট খরচ হলেও এর দাম রাখা হচ্ছে গড়ে ১০ ডলার করে। এ কারণে যত দ্রুত সম্ভব স্থানীয়ভাবে এই টিকার উৎপাদন খুবই জরুরি।

সেশনের অন্য বক্তারা বলেন, এই মহামারী কতদিন স্থায়ী হবে তা কোনো বৈজ্ঞানিক সমস্যা নয়- সমস্যা হচ্ছে টিকা। এই টিকার একচেটিয়া স্বত্ব নিয়ে নিচ্ছে উন্নত দেশগুলো। ফলে গরিব দেশগুলো বর্ণবাদের মতো বঞ্চিত হচ্ছে। কভিড-১৯ এর টিকাকে একটি বৈশ্বিক সর্বসাধারণের পণ্যে পরিণত করতে প্রফেসর ইউনূসের বিশ্বব্যাপী উদ্যোগ ও প্রচারণায় আলোচকরা একমত পোষণ করেন। ভার্চুয়াল প্ল্যাটফরমে অনুষ্ঠিত এ বছরের সামাজিক ব্যবসা দিবসের মূল প্রতিপাদ্য ছিল শূন্য নিট কার্বন নিঃসরণ, দারিদ্র্য দূরীকরণে শূন্য সম্পদ কেন্দ্রীকরণ এবং সবার জন্য উদ্যোক্তা প্রতিভা বিকাশের সুযোগ সৃষ্টি করে শূন্য বেকারত্বের একটি ‘তিন শূন্য’র পৃথিবী গড়ে তোলার মাধ্যমে ‘মহামারী পূর্ব পৃথিবীতে আর ফিরে যেতে চাই না’।

সর্বশেষ খবর