সোমবার, ১২ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

রেকর্ড ২৩০ জনের মৃত্যু

শনাক্ত ১১ হাজার ৮৭৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

রেকর্ড ২৩০ জনের মৃত্যু

করোনাভাইরাসের তান্ডব বাড়ছেই। ভয়ঙ্কর ভাইরাসটি গত ২৪ ঘণ্টায় কেড়ে নিয়েছে ২৩০ জনের প্রাণ। মহামারী শুরুর পর এক দিনে এত মৃত্যু আগে কখনো দেখেনি দেশ। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ১১ হাজার ৮৭৪ জন, যা এক দিনে সর্বোচ্চ রোগী শনাক্তের নতুন রেকর্ড। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত সংবাদ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪০ হাজার ১৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে শনাক্তের হার ছিল ২৯.৬৭ শতাংশ। গতকাল পর্যন্ত দেশে মোট করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ১০ লাখ ২১ হাজার ১৮৯ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৬ হাজার ৪১৯ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ৭৪ হাজার ৫০১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৩৬২ জন।

গত এক দিনে মারা যাওয়া ২৩০ জনের মধ্যে ১৩৩ জন ছিলেন পুরুষ ও ৯৭ জন নারী। হাসপাতালে ২১১ জন ও বাড়িতে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। বয়স বিবেচনায় মৃতদের মধ্যে ১১১ জন ছিলেন ষাটোর্ধ্ব, ৫১ জন পঞ্চাশোর্ধ্ব, ৪২ জন চল্লিশোর্ধ্ব, ১৯ জন ত্রিশোর্ধ্ব ও সাতজনের বয়স ছিল ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে খুলনা বিভাগে। এ ছাড়া ৫৬ জন ঢাকা, ৩৯ জন চট্টগ্রাম, ২৬ জন রাজশাহী, ২২ জন রংপুর, আটজন বরিশাল, আটজন সিলেট ও পাঁচজন ময়মনসিংহ বিভাগে মারা গেছেন।

এদিকে নমুনা পরীক্ষায় গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪১.৯২ শতাংশ শনাক্তের হার ছিল সিলেট বিভাগে। এর পরই বরিশাল বিভাগে শনাক্তের হার ছিল ৩৮.৬৭ শতাংশ, রংপুর বিভাগে ৩৪.৮৪ শতাংশ, খুলনা বিভাগে ৩৩.৩৫ শতাংশ, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৩ শতাংশ, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩০.৩২ শতাংশ, ঢাকা বিভাগে ২৬.৮৭ শতাংশ ও রাজশাহী বিভাগে ২৩.৮৫ শতাংশ।

সংকটাপন্ন রোগী হু হু করে বাড়তে থাকায় হাসপাতালে শয্যা, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও চিকিৎসক সংকট প্রবল হয়েছে। রোগী সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। সংকট প্রবল হয়েছে আইসিইউ, অক্সিজেন ও হাই ফ্লো নেজাল ক্যানুলার। গতকাল বরগুনা জেলা সদর হাসপাতাল, মাগুরা সদর হাসপাতাল, কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল, যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল, দিনাজপুর সদর হাসপাতাল, দিনাজপুরের এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, ফেনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসমূহ, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, চট্টগ্রামের আল মানাহিল নার্চার জেনারেল হাসপাতাল, ৫০০ শয্যা কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে শয্যার চেয়ে বেশি রোগী ভর্তি ছিল। অন্য হাসপাতালগুলোয়ও কমে এসেছে খালি শয্যা। অনেক জেলায় কোনো আইসিইউ শয্যাই ফাঁকা ছিল না গতকাল। এ ছাড়া শুধু উপজেলাই নয়, এখন পর্যন্ত দেশের অনেক জেলায় কোনো আইসিইউ শয্যাই স্থাপিত হয়নি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর