মঙ্গলবার, ১৩ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রতিষ্ঠায় সমঝোতা স্বাক্ষর

নয়াদিল্লি প্রতিনিধি

ভারতের রাজধানীর ঐতিহ্যপূর্ণ দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে গতকাল ‘বঙ্গবন্ধু’ নামাঙ্কিত পদ বা চেয়ার সৃষ্টি করা হয়। এ উপলক্ষে চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কীর্তিমালার উল্লেখ করে বলেন, তাঁর দিশায় আজ বাংলাদেশ, বিশ্বের অন্যতম উন্নয়নশীল হয়েছে। উন্নয়নের  সেই বাংলাদেশ মডেল থেকে আমরা ভারতীয়রা অনেক কিছু শিখছি। ভবিষ্যতেও শিখব। চুক্তিস্বাক্ষরের সময়ে পররাষ্ট্র সচিব ছাড়াও ছিলেন ভারতীয় সংস্কৃতি পরিষদের সভাপতি ড. বিনয় সহস্রবুদ্ধে, অধিকর্তা দীনেশ পট্টনায়ক, বাংলাদেশ হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরান, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যকরী উপাচার্য পি সি যোশী। পররাষ্ট্র সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মার্চ মাসে ঢাকা সফরে গিয়ে চলতি বর্ষকে ‘ত্রিবেণি’ বলে অভিহিত করেছিলেন। কারণ এই বর্ষে মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী, মুজিব জন্মশতবর্ষ এবং ভারত-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী একত্রে উদযাপিত হচ্ছে। মার্চে ঢাকায় তিনি বলেছেন, তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু স্মরণে একটি অধ্যাপনার চেয়ার তৈরি করবেন। আজ তাঁর সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হলো। তিনি এও বলেন, ভবিষ্যতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ভারতীয় চেয়ার স্থাপিত হবে। পররাষ্ট্র সচিব বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু বা জাতির পিতা- যা ই সম্বোধন করুন, নামটি উচ্চারণের সঙ্গে সঙ্গে এক ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বর উল্লেখ হয়ে যায়। যিনি রাষ্ট্রের দিশা নির্দেশ দেন। বঙ্গবন্ধু উপলব্ধি করেছিলেন ভারতীয় ও বাংলাদেশিদের ভবিষ্যৎ অভিন্ন সূত্রে গ্রোথিত। তাই সেই বন্ধনকে সুদৃঢ় করতে ভারত আজ প্রতিবেশী প্রথম ও অ্যাকট ইস্ট নীতি নিয়ে চলছে। তিনি এও বলেন, ‘আজকে কভিড অতিমারীর সময়ে বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতৃত্বের বার্তা অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। যে অতিমারী এখন বিভেদ তৈরি করছে। তা-ই চরমপন্থা ও উগ্রদর্শনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার যে নীতি বঙ্গবন্ধু করেন, আজ তা-ই অনুসরণ প্রয়োজন। শ্রিংলা বলেন, বঙ্গবন্ধু ভারতেও শ্রদ্ধেয়। তাঁর আদর্শে ভারতীয়রাও উদ্বুদ্ধ হয়।’

সর্বশেষ খবর