শনিবার, ২৪ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

করোনায় ফকির আলমগীরের মৃত্যু

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

করোনায় ফকির আলমগীরের মৃত্যু

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন একাত্তরের কণ্ঠযোদ্ধা, গণসংগীত শিল্পী ফকির আলমগীর। ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চার দিন ধরে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন এই শিল্পী। শুক্রবার রাত ১০টা ৫৬ মিনিটে তাঁর মৃত্যু হয় (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

ফকির আলমগীরের বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তিনি স্ত্রী সুরাইয়া আলমগীর ও তিন ছেলেসহ অসংখ্য ভক্ত ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একুশে পদকপ্রাপ্ত এই শিল্পীর মৃত্যুতে এক শোকবার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, এ দেশের সংগীতাঙ্গনে বিশেষ করে গণসংগীতকে জনপ্রিয় করে তুলতে তাঁর ভূমিকা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, ফকির আলমগীরের ডান ফুসফুসের ক্রমশ উন্নতি হলেও বাঁ ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ে গতকাল। পাশাপাশি রক্তে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় শংকিত ছিলেন চিকিৎসকরা। রাত সাড়ে ৯টার দিকে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলে সব আশা শেষ হয়ে যায়। করোনাভাইরাসের দুই ডোজ টিকা নেওয়ার পরও ১৪ জুলাই এই সংগীত শিল্পীর করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। শ্বাসকষ্ট বাড়তে থাকলে পরদিন তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়।  ষাটের দশক থেকে গণসংগীতের সঙ্গে যুক্ত ফকির আলমগীর ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠী ও গণশিল্পী গোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে শামিল হন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি যোগ দেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে। স্বাধীনতার পর পাশ্চাত্য সংগীতের সঙ্গে দেশজ সুরের মেলবন্ধন ঘটিয়ে বাংলা পপগানের বিকাশে ভূমিকা রাখেন ৭১ বছর বয়সী এ শিল্পী। সংগীতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য সরকার ১৯৯৯ সালে ফকির আলমগীরকে একুশে পদক দেয়। ১৯৪৯ সালে ভাঙ্গায় জন্মগ্রহণ করেন ফকির আলমগীর? তিনি সাংস্কৃতিক সংগঠন ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা, গণসংগীত চর্চার আরেক সংগঠন গণসংগীত শিল্পী পরিষদের সাবেক সভাপতি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর করা ফকির আলমগীর গানের পাশাপাশি নিয়মিত লেখালেখিও করতেন।

সর্বশেষ খবর