সোমবার, ২ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

মধ্যরাতে ডিবির অভিযান মডেল পিয়াসা ও মৌ আটক

বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক

মধ্যরাতে ডিবির অভিযান মডেল পিয়াসা ও মৌ আটক

রাজধানীর গুলশান বারিধারায় আলোচিত মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসার বাসায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, ইয়াবা ও সিসা উদ্ধার করেছে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তল্লাশি অভিযান শেষে পিয়াসাকে আটক করে গোয়েন্দা দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশ জানায়, তার বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেলিংয়ের অভিযোগও রয়েছে। প্রায় একই সময়ে ডিবি পুলিশের অপর একটি দল মোহাম্মদপুরে মডেল মৌয়ের বাসায় অভিযান চালায়। সেখান থেকে পুলিশ বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদসহ মৌকে আটক করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযানের সময় ওই বাসায় মদের আসর চলছিল।

জানা গেছে, গতকাল রাতে গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের একটি দল বারিধারার ৯ নম্বর রোডের ৩ নম্বর বাসায় অভিযান চালায়। বাসাটি বিতর্কিত মডেল পিয়াসার। ডিবি পুলিশ পিয়াসার ঘরে তল্লাশি শুরু করে। এ সময় তারা তার ঘরের টেবিলের ওপর রাখা চার প্যাকেট ইয়াবা জব্দ করে। তবে ভিতরে কতগুলো ট্যাবলেট রয়েছে এ বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ ছাড়াও পিয়াসার রান্নাঘরের ক্যাবিনেটে থরে থরে সাজানো বিদেশি মদ উদ্ধার করে। অভিযানের এক পর্যায়ে তারা পিয়াসার ফ্রিজ খুলে        একটি আইসক্রিমের বাক্স থেকে সিসা তৈরির কাঁচামাল এবং বেশ কয়েকটি ই-সিগারেটের সন্ধান পায়। এ ছাড়াও তার কাছ থেকে চারটি স্মার্টফোনও জব্দ করা হয়। অভিযানের সময় পিয়াসাকে একটি রুমে রাখা হয়। তার সঙ্গে ডিবির দুজন নারী অফিসার ছিলেন। অভিযান শেষে নারী সদস্যরা পিয়াসাকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে ডিবি অফিসে নিয়ে যান।

ডিএমপির সিরিয়াস ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মহিদুল ইসলাম বলেন, ‘কিছু সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তার বাসায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। তাকে আটক করা হয়েছে।’

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের মে মাসে বনানীর রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণের শিকার হন দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী। ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার এজাহারে নাম ছিল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসার। প্রথমে মামলা করতে ভুক্তভোগীদের সহযোগিতা করেছিলেন পিয়াসা। কিন্তু পরবর্তীতে সেই পিয়াসার বিরুদ্ধেই আবার মামলা তুলে নেওয়ার হুমকির অভিযোগে জিডি করেছিলেন ভুক্তভোগীদের একজন। চার বছর পর আবারও আলোচনায় সেই পিয়াসা। ডিবি পুলিশের অপর অভিযানটি পরিচালনা করা হয় মোহাম্মদপুরের ২২/৯ নম্বর বাবর রোডের বাসায়। বাসাটি কথিত মডেল মরিয়ম আক্তার মৌয়ের। পুলিশ ওই বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ উদ্ধার করে। এ সময় মৌয়ের বাসায় মদের আসর চলছিল। পুলিশ মৌকে আটক করে গোয়েন্দা দফতরে নিয়ে যায়। অভিযান শেষে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর বিভাগের যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, এরা সংঘবদ্ধ ব্ল্যাকমেল চক্রের সদস্য। উচ্চবিত্তদের সঙ্গে সম্পর্ক করে পরে ব্ল্যাকমেল করে। নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায় করে। এ ধরনের অসংখ্য অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর