সোমবার, ২ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা
আদালতে চাঞ্চল্যকর জবানবন্দি

দেড় লাখ টাকার চুক্তিতে কারা ভোগ করেন মিনু

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

দেড় লাখ টাকার চুক্তিতে কুলসুম আকতার কুলসুমীর বদলে মিনু বেগম কারাভোগ করেন। যাবজ্জীবন আসামির পরিবর্তে অন্যজন কারাভোগ করা মামলায় গ্রেফতার হওয়া কুলসুম আকতার কুলসুমী ও তার সহযোগী মর্জিনা বেগম আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে এ তথ্য উল্লেখ করেন। গতকাল চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালতে এ জবানবন্দি দেন তারা। জবানবন্দি শেষে আদালত কুলসুম আক্তার কুলসুমী ও সহযোগী মর্জিনা আক্তারকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।  

কোতোয়ালি থানার ওসি নেজাম উদ্দিন বলেন, ‘গ্রেফতারকৃতরা দেড় লাখ টাকায় চুক্তি করে কুলসুমীর পরিবর্তে মিনুকে কারাগারে পাঠান। যদিও চুক্তি মতো টাকা পরিশোধ করা হয়নি মিনুকে। এ ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া দুজন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।’ কোতোয়ালি থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হত্যা মামলার প্রধান আসামি কুলসুমী যাবজ্জীবন সাজা থেকে বাঁচতে মর্জিনা বেগমের মাধ্যমে মো. শাহাদাত হোসেনের সঙ্গে আলোচনা করেন। পরে মো. নুর আলম কাওয়াল ও শাহাদাত বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে ভাড়ায় বন্দী হিসেবে খাটার জন্য ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। তাদের প্রস্তাবে রাজি কুলুসুমী। মিনুকে টাকার লোভ দেখিয়ে এবং এক মাসের মধ্যে জামিন করিয়ে দেবেন বলে চুক্তি করেন। ২০১৮ সালের ১২ জুলাই মিনুকে মর্জিনা বেগমের সঙ্গে আদালতে পাঠান। গ্রেফতার মো. শাহাদাত হোসেন ও মর্জিনা বেগম মিনুকে আদালতে কুলসুম সাজিয়ে হাজির করেন এবং কুলসুম হিসেবে ডাক দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মিনু হাজতে ঢুকে যায়। পরবর্তীতে মিনু কারাগারে যাওয়ার পর গ্রেফতার মো. শাহাদাত হোসেন ও নুর আলম কাওয়াল মর্জিনা বেগমের কাছ থেকে পাওনা ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা চাইলে মর্জিনা ও কুলসুম আক্তার কুলসুমী টাকা জোগাড় করতে না পারায় কালক্ষেপণ করতে থাকেন। টাকা দিতে না পারায় স্থানীয়ভাবে সালিশি বৈঠক করেন। একপর্যায়ে মর্জিনা ও কুলসুম আক্তার কুলসুমী টাকা দিতে না পেরে ইপিজেড এলাকায় আত্মগোপন করে থাকেন।

অন্যদিকে টাকা না পেয়ে শাহাদাত হোসেন ও নুর আলম কাওয়াল ছিন্নমূল এলাকায় কুলসুম আক্তার কুলসুমী ও মর্জিনা বেগমের থাকা দুটি প্লট জোর করে দখল করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর