মঙ্গলবার, ৩ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

দুই মামলায় ৬ দিনের রিমান্ডে ঈশিতা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেফতার ইশরাত রফিক ঈশিতা ও তার সহযোগী শহিদুল ইসলাম দিদারের ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। এর আগে গতকাল এই দুই আসামিকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এরপর প্রতারণা ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের দুই মামলায় পাঁচ দিন করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মো. আশেক ইমাম তাদের প্রতারণার মামলায় তিন দিন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রবিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর মিরপুর-১ নম্বর থেকে সহযোগী শহিদুল ইসলাম ওরফে দিদারসহ ঈশিতাকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযানে ভুয়া আইডি কার্ড, ভুয়া ভিজিটিং কার্ড, ভুয়া সিল, ভুয়া সার্টিফিকেট, প্রত্যয়নপত্র, পাসপোর্ট, ল্যাপটপ, ৩০০ পিস ইয়াবা, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ ও মোবাইল ফোন জব্দ করে র‌্যাব। র‌্যাব জানায়, ঈশিতা ২০১৩ সালে ময়মনসিংহের একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করেন। এরপর মিরপুরের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চাকরি করার সময় শৃঙ্খলাজনিত কারণে তিনি চাকরিচ্যুত হন। এরপর আর কোনো হাসপাতালে তিনি চাকরিতে যোগদান করেননি। ঈশিতা বিভিন্ন সাইটে চিকিৎসাশাস্ত্রে গবেষণাধর্মী প্রবন্ধ, আর্টিক্যাল ও থিসিস পেপার প্রকাশনা করেছেন। তিনি মূলত অনলাইনে প্রাপ্ত বিভিন্ন গবেষণাধর্মী প্রকাশনা এডিট করে গবেষণাধর্মী প্রকাশনা তৈরি করতেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন। রবিবারের সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, গ্রেফতার হওয়া ইশরাত রফিক ঈশিতা পেশায় একজন চিকিৎসক। যিনি বিভিন্ন মাধ্যমে একজন আলোচক, চিকিৎসাবিজ্ঞানী, গবেষক, পিএইচডিসম্পন্ন, মানবাধিকারকর্মী, সংগঠক, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদমর্যাদার এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার সদস্যসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত রয়েছেন বলে ভুয়া পরিচয় দিতেন। ঈশিতা ভুয়া পরিচয়ের বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতেই ভুয়া নথিপত্র তৈরি ও প্রচার-প্রচারণা চালাতেন। গ্রেফতার ঈশিতা চিকিৎসাশাস্ত্রের বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ও গবেষক হিসেবে নিজের পরিচয় দিতেন। তার ভুয়া বিশেষজ্ঞ ডিগ্রিগুলোর মধ্যে রয়েছে এমপিএইচ, এমডি, ডিও। এ ছাড়া ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ হিসেবেও নিজের পরিচয় দিতেন।

সর্বশেষ খবর